ইসলামিক পিকচার | ইসলামিক ছবি ২০২৪ | লেখা পিকচার | Islamic Quotes Wallpapers
ইসলামিক পিকচার | ইসলামিক ছবি | লেখা পিকচার | Islamic Quote Wallpapers Bangla
আজকের এই পোস্টে আপনারা একসাথে ১০০ এর বেশি ইসলামিক ছবি পাবেন ।
কোরানের আয়াত, হাদিসের ছবি সহ বিভিন্ন ইসলামিক লেখা পিকচারের সংগ্রহশালা।
ছবি গুলো কোনটাই আমার নিজের তৈরি না, অন্য মুসলিম ভাইয়েরা এগুলো ডিজাইন করছে আমি সেগুলো কালেক্ট করে একসাথে এখানে পোস্ট করছি।
আপনারাও নিজেদের নামে চালিয়ে দিয়েন না। ছবিতে ডিজাইনার এর নাম বা তাদের পেজের নাম আছে।
রাসূল ﷺ ইফতারের সময় বলতেনঃ
❝পিপাসা দূরীভূত হয়েছে, শিরা-উপশিরাগুলো সিক্ত হয়েছে এবং ইনশাআল্লাহ প্রতিদানও নির্ধারিত হয়েছে।❞(সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ২৩৫৭)
- ইসলামিক পিকচার download
- ইসলামিক প্রোফাইল পিকচার
- কুরআনের পিকচার
- ইসলামিক ইমেজ ২০২৪
- ইসলামিক ছবি বাংলা
- ইসলামিক ছবি facebook
- আরবি লেখা পিকচার
ছোট হাদীস লেখা পিক
লেখা পিকচার 2024
- বিরহের লেখা পিকচার
- ছন্দ লেখা পিকচার
- লেখা পিকচার ২০২৪
- লেখা পিকচার ডাউনলোড
- ইসলামিক লেখা পিকচার
- লাভ পিকচার লেখা
- রোমান্টিক লেখা ফটো
- ভালোবাসার পিকচার ছবি
অতঃপর যদি তারা বিমুখ হয়, তবে বল, ‘আমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট, তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই। আমি তাঁরই উপর তাওয়াক্কুল করেছি। আর তিনিই মহাআরশের রব’।
|সূরা আত-তাওবাহ, ৯ঃ১২৯|
|সূরা আত-তাওবাহ, ৯ঃ১২৯|
ইসলামিক পিকচার download
Download 70+ HD Islamic Photo At Flickr : Islamic Picture
- ইসলামিক পিকচার download
- ইসলামিক প্রোফাইল পিকচার
- কুরআনের পিকচার
- ইসলামিক ইমেজ
- ইসলামিক ছবি বাংলা
- আল্লাহ লেখা পিকচার
- ইসলামিক ছবি facebook
- আরবি লেখা পিকচার
Bengali Inspirational Quotes With Images
- ইসলামিক ছবি
- বাংলা ইসলামিক ছবি facebook
- ইসলামিক লেখা
- ইসলামিক পিকচার 2024
- ইসলামিক photo
- ইসলামিক ইমেজ
- ইসলামিক নারীর ছবি
- আরবি লেখা পিকচার
ইসলামিক পিকচার 2024
অনেকেই অনলাইনে বিভিন্ন ইসলামিক ছবি খুজেন। কোরানের আয়াত,হাদিস এর লেখা ভিত্তিক ছবি চান।
সুন্দর সুন্দর ওয়ালপেপার খোজ করেন, ইসলামিক ওয়ালপেপার।
কিন্তু অনলাইনে বাংলাতে এমন ছবি খুবই কম। যাও পাওয়া যায় তার কোয়ালিটি তেমন ভালো নয়।
হাতেগোনা কিছু ফেসবুক পেজ,ব্লগ আছে যেগুলোতে ভালো মানের ইসলামিক পিকচার শেয়ার করা হয়।
তাই ভাবলাম আমিও কিছু ছবি শেয়ার করি।

সুন্দর সুন্দর ওয়ালপেপার খোজ করেন, ইসলামিক ওয়ালপেপার।
কিন্তু অনলাইনে বাংলাতে এমন ছবি খুবই কম। যাও পাওয়া যায় তার কোয়ালিটি তেমন ভালো নয়।
হাতেগোনা কিছু ফেসবুক পেজ,ব্লগ আছে যেগুলোতে ভালো মানের ইসলামিক পিকচার শেয়ার করা হয়।
তাই ভাবলাম আমিও কিছু ছবি শেয়ার করি।

ছোট হাদীস লেখা পিক
ইসলামিক বাংলা লেখা ছবি
ছোট হাদীস লেখা পিক HD
![]() |
Add caption |
ইসলামিক বাংলা লেখা ছবি
ইসলামিক পিকচার 2024
![]() |
ইসলামিক পিকচার 2024 |
![]() |
ইসলামিক লেখা পিকচার |
- Islamic Quote In Bangla
মুসলিমদের কৌশলে কুফরি গণতন্ত্র খাওয়ানোর নেতাদের বাস্তব চিত্র ( এরা বাইরে ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল হিসাবে পরিচিত যেমন জামাত শিবির)
গণতান্ত্রিক রাজনীতি অংশগ্রহণ করা দলগুলোর ইসলামপন্থার দাবীদার লোকেরা সর্বদা এই দাওয়াহ করে থাকে যে, জনগণ ইসলাম চায় না, তাই ক্ষমতায় যাওয়ার সময় কিংবা ক্ষমতায় গিয়ে ইসলামের কথা বললে কিংবা ইসলামী টার্মগুলো ইউস করলে, বিশেষ করে খিলাফাহ, জিহাদ, হুদুদ সর্বোপরি শরীয়াহ কায়েমের বিষয়টা উপস্থাপন করলে জনগণই এর বিরোধিতা করবে। তাই ক্ষমতায় টিকে থাকতে হলে, অবশ্যই শরীয়াহ কায়েমের বিষয়টি এড়িয়ে যেতে হবে, এমনকি দরকার হলে শরীয়াহ কায়েমের দাবীকে অস্বীকার করতে হবে। কেবল মাত্র জনগণ থেকে যখন শরীয়াহ কায়েমের জন্য দাবী উঠবে তখন শরীয়াহ কায়েম করা হবে? না তখন বিষয়টা ভেবে দেখা যাবে।
.
বাস্তবে কি হয়? জনগণের কোন অংশ যদি শরীয়াহ কায়েমের দাবী করে, তখন তাদেরকে সেভাবেই দমন করা হবে, যেভাবে পুরোদুস্তর সেকুলার গোষ্ঠি জঙ্গী দমন করে। আপনারা তাদের কথার প্রতারণাটা বুঝার চেষ্টা করুন। জনগণ যখন চাইবে তখন তারা শরীয়াহ কায়েম করবে, কিন্তু জনগণের মধ্যে থেকে প্রথমে যারাই চাইবে তারা কিন্তু জঙ্গীবাদের অপবাদের জেল খাটবে অথবা মরবে, অথবা নিস্ক্রিয় থাকতে বাধ্য হবে।
.
আদৌ কি জনগণ চায় না? বাই ডিফল্ট মুসলিম মাত্রই শরীয়াহ চায়। কিন্তু অন্য কোন প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে হয়ত তারা ইনিশিয়ালি তাকিয়া করে, অথবা তারা বুঝেই না। যারা বুঝে না, তাদের জাস্ট বুঝাতে হবে, অর্থাৎ দাওয়াত। এরপর যেসব প্রভাবের কারণে তারা প্রকাশ করতে পারে না, সেগুলোকে দূর করতে হবে। সেইসব প্রভাব কি আসলে? সেগুলো হল আন্তার্জাতিক তাগুত গোষ্ঠি এবং তাদের চ্যালা-চামুন্ডারা।
.
জনগণ হচ্ছে তরলের মত। তাদের পিছনে যারা বেশী কাজ করবে, তারা তাদের সুরেই কথা বলবে। অর্থাৎ জনগণ শরীয়াহ চায় না বিষয়টা তা না। বরং শরীয়াহ বনাম অন্য কিছু এই অপশনই তো জনগণের সামনে দেয়া যাচ্ছে না। জনগণ চাপিয়ে দেয়া সেকুলারিসমের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে নি, তারা ইসলামের বিরুদ্ধেও করবে না। বরং তাদেরকে হয়ত সেকুলার গোষ্ঠি উসকানী দিবে। তাই দোষটা জনগণের না, দোষটা হচ্ছে সেকুলার গোষ্ঠি এবংআন্তর্জাতিক তাগুত গোষ্ঠির। এদেরকে মাইনাস করলেই শর্তহীন শরীয়াহ কায়েম করা যাবে। এখন নিজেরাই যদি সেকুলার হয়ে যাই, তাহলে তো মহা বিপদ। গণতান্ত্রিক রাজনীতি অংশগ্রহণ করা দলগুলো সর্বদা আন্তর্জাতিক তাগুত গোষ্ঠির ফ্রেইমওয়ার্ককে স্যাটিসফাই করতে গিয়ে দোষ চাপাচ্ছে জনগণের উপর যে, জনগণ শরীয়াহ চায় না। অথচ তারা সরাসরি স্বীকার করতে পারত যে, আসলে আমরা ইউরোপ-আমরিকা কিংবা প্রাচ্যের বাকিসব কুফফার গোষ্ঠদের ভয় করি, তাদের সমীহ চাই, অন্তত টিকে থাকার জন্য হলেও। না তারা নিজেদের দাবী করে যে তারা রুখসত না হিকমতের চর্চা করছে, অথচ তাদের কথা দিয়েই তাদের খন্ডন করা সম্ভব।
.
তারা আগে ঠিক করুক যে, কেন তারা শর্তহীন শরীয়াহ কায়েমের কথা বলবে না, তা কি জনগণের চায় না এজন্য নাকি আন্তার্জাতিক তাগুত গোষ্ঠি চায় না এজন্য। জনগণ যদি চায় আর আন্তার্জাতিক তাগুত গোষ্ঠি যদি না চায়, তবে তারা কাদের পক্ষ নিবে? কাদের পক্ষ নেয়, সেটা আপনারা ইতিহাস ঘাটলে দেখতে পাবেন। তারা যদি নিজেদের পরিবর্তনের দাবী করে, কিংবা বলে যে, নাহ সমগ্র জনগণকে এক হয়ে শরীয়াহ চাইতে হবে, তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে কিভাবে ১, ১০, ১০০ বাদ দিয়ে ১০০০ এ পৌছানো সম্ভব, যে সমগ্রহ জনগণ একসাথো শরীয়াহর দাবী করবে? ইনিশিয়ালি কিছু লোক দাবী করলে তাদের সাথে কি আচরণ করা হবে? এমনকি সমগ্র জনগণ দাবী করলেও তো তাদের পক্ষে কিছু নেতা হয়ত ফ্রন্ট লাইনে থাকবে, তাদের সাথে কি আচরণ করা হবে? যদি সমগ্র জনগণকে জোর করতে হয়, তাহলে আর তাদের আর অন্যসব সেকুলার গোষ্ঠির মাঝে পার্থক্য কি থাকলো? জনগণকে তো সেই বিপ্লব করেই শাসক গোষ্ঠিকে শরীয়াহ কায়েমে বাধ্য করা লাগছে।
Tags
- Islamic Photo
- Bangla Islamic Photo
- Hadis In Bangla
- Quran Ayat Photo
- Islamic Quote In Bangla
- Bangla Quote Photo
আল্লাহর জন্য ভালোবাসা
“আল্লাহর জন্য ভালোবাসা” সম্পর্কে জাহেলী যুগে মানুষের কোন ধারণা ছিল না। স্বাদেশিকতা বংশ সম্পর্ক বা অনুরূপ কিছু ছিল তাদের পরস্পর সম্পর্কের মূল ভিত্তি। আল্লাহর বিশেষ দয়ায় ইসলামের আলো উদ্ভাসিত হল।
পরস্পর সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় উৎকর্ষতা আসল। ধর্মীয় সম্পর্ক সর্বোচ্চ ও সুমহান সম্পর্ক হিসেবে রূপ লাভ করল। এ-সম্পর্কের উপরেই প্রতিদান, পুরস্কার, ভালোবাসা ও ঘৃণা সাব্যস্ত হল। ইসলামের বিকাশের সাথে সাথে ইসলামি ভ্রাতৃত্ব ও আল্লাহর জন্য ভালোবাসা ইত্যাদি পরিভাষা চালু হল।
আল্লাহর জন্য ভালোবাসা-এর অর্থ হচ্ছে, এক মুসলিম ভাই অপর মুসলিম ভাইয়ের কল্যাণ ও আল্লাহর আনুগত্য কামনা করা। সম্পদের মোহ, বংশ বা স্থান ইত্যাদির কোন সংশ্লিষ্টতা এক অপরের সম্পর্কের ও ভালোবাসার মানদণ্ড হবে না।
আল্লাহর জন্য ভালোবাসার কতিপয় ফজিলত:
১. আল্লাহর জন্য ভালোবাসা স্থাপনকারীদেরকে আল্লাহ ভালোবাসেন :-আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত : রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন – এক ব্যক্তি অন্য গ্রামে বসবাসকারী নিজ ভাইয়ের সাথে সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে বের হল।
মহান আল্লাহ তার জন্য পথে একজন ফেরেশতা মোতায়েন করে রাখলেন। যখন সে ফেরেশতা সে ব্যক্তির নিকটবর্তী হল, বলল তুমি কোথায় যাও ? সে বলল, এই গ্রামে বসবাসকারী আমার এক ভাইয়ের সাথে সাক্ষাৎ করা আমার উদ্দেশ্য।
ফেরেশতা বলল, তার কাছে তোমার কোন পাওনা আছে কি-না ? সে বলল, না। কিন্তু আমি তাকে আল্লাহর জন্য ভালোবাসি। তখন ফেরেশতা বলে উঠল, নিশ্চয় আমি তোমার নিকট আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরিত দূত। মহান আল্লাহ অবশ্যই তোমাকে ভালোবেসেছেন যে রকম তুমি তাকে আল্লাহর জন্য ভালোবেসেছ।
(সহীহ মুসলিম:৪৬৫৬)
হাদিসে কুদসীতে আছে মহান আল্লাহ বলেন : আমার জন্য পরস্পর ভালোবাসা স্থাপনকারী, পরস্পর উঠা-বসা-কারী, পরস্পর সাক্ষাৎকারী, পরস্পর ব্যয়কারীদের জন্য আমার ভালোবাসা অবধারিত। (আহমদ:২১৭১৭)
২. মহান আল্লাহর জন্য পরস্পর ভালোবাসা স্থাপনকারী আল্লাহর আরশের ছায়াতলে অবস্থান করবে, যে দিন তাঁর আরশের ছায়া ব্যতীত কোন ছায়া থাকবে না : রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন :- “সাত ব্যক্তি, আল্লাহ তাদেরকে তাঁর ছায়াতলে ছায়া দিবে, যে দিন তাঁর ছায়া ব্যতীত কোন ছায়া থাকবে না…এবং দুজন ব্যক্তিকে, যারা আল্লাহর জন্য তারা পরস্পর পরস্পরের প্রতি ভালোবাসা স্থাপন করেছে, তাঁর ভালোবাসায় তারা একত্রিত হয়েছে, এবং তাঁর ভালোবাসায় তারা পৃথক হয়েছে।(বুখারী:৬২০)
রাসূলুল্লাহ সা: আরো বলেন: আল্লাহ কিয়ামত দিবসে বলবেন, আমার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে পরস্পর ভালোবাসা স্থাপনকারীরা কোথায় ? আজ – যে দিন আমার ছায়া ব্যতীত কোন ছায়া থাকবে না- আমি তাদের ছায়া দেব। (সহীহ মুসলিম:৪৬৫৫)
৩. আল্লাহর জন্য ভালোবাসা জান্নাতে প্রবেশের বিশেষ মাধ্যম: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “ঈমানদার না হওয়া পর্যন্ত তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। পরস্পর ভালোবাসা স্থাপন না করা পর্যন্ত তোমরা ঈমানদার হতে পারবে না। (সহীহ মুসলিম:৮১)
এক সাথি আরেক সাথির উপর প্রভাব বিস্তার করে বিধায় প্রত্যেক মুসলমানের কর্তব্য হচ্ছে সাথি গ্রহণের ক্ষেত্রে যাচাই-বাছাই করা। রাসূলুল্লাহ সা: বলেন: মানুষ তার বন্ধুর রীতি-নীতির উপর পরিচালিত হয়, সুতরাং তোমাদের প্রত্যেকের উচিত, কে তোমাদের বন্ধু হবে এ ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা করা। (তিরমিজি:২৩০০)
ভাল সাথির বেশ কিছু গুণাবলি
দীনদার ও তাকওয়াবান হওয়া : তাকওয়াবানের কিছু আলামত নিচে উল্লেখ করা হল।
আল্লাহ প্রদত্ত অকাট্য বিধি-বিধান পালনে যত্নবান হওয়া। যেমন সালাত কায়েম, জাকাত প্রদান-ইত্যাদি।
গালিগালাজ, অভিশাপ, গীবত ইত্যাদি। থেকে নিজের জিহ্বাকে পরিচ্ছন্ন রাখা।
নিজ সাথিকে ভাল উপদেশ দেওয়া।
সজনদেরকে ভালোবাসা।
অশ্লীলতা ও পংকিলতা থেকে দূরে থাকা।
ভাল কাজে সহযোগিতা প্রদান, পাপের কাজে নিরুৎসাহিত করা।
আল্লাহ তাআলা বলেন: “বন্ধুরা সেই দিন হয়ে পড়বে একে অপরের শক্র, মুত্তাকীরা ব্যতীত।” [সূরা আয-যুখরুফ:৬৭] রাসূলুল্লাহ সা: বলেন: “ঈমানদার ব্যতীত সাথি গ্রহণ করো না, মুত্তাকী ব্যতীত কেহ যেন তোমার খাবার ভক্ষণ না করে। (তিরমিজি:৩২১৮)
২. বুদ্ধিমান হওয়া : নির্বোধকে সাথি হিসেবে গ্রহণে কোন কল্যাণ নেই। কেননা সেই লাভ করতে গিয়ে ক্ষতি করে বসবে।
৩. সুন্দর চরিত্রবান হওয়া: কেননা দুশ্চরিত্রবান সাথির অশুভ কর্মে তুমি আক্রান্ত হয়ে পড়বে, কষ্টে নিপতিত হবে।
৪. সুন্নত মোতাবেক চলা : সাথি বিদআতী হলে তোমাকে বিদআতের দিকে নিয়ে যাবে, তোমার চিন্তা চেতনাকে কলুষিত করবে,
ধর্মীয় ভ্রাতৃত্ব বন্ধনের আদবসমুহ:
ধর্মীয় ভ্রাতৃত্ব বন্ধনের ক্ষেত্রে বেশ কিছু আদব রয়েছে যা মেনে চললেই আল্লাহর জন্য ভালোবাসার দাবি যথার্থ প্রমাণিত হবে। নীচে কতিপয় আদব উল্লেখ করা হল।
ধর্মীয় ভ্রাতৃত্ব বন্ধনের ক্ষেত্রে বেশ কিছু আদব রয়েছে যা মেনে চললেই আল্লাহর জন্য ভালোবাসার দাবি যথার্থ প্রমাণিত হবে। নীচে কতিপয় আদব উল্লেখ করা হল।
• সালাম প্রদান ও হাসি-মুখে সাক্ষাৎ করা: রাসূলুল্লাহ সা: বলেন :- কোন ভাল কাজকে কখনো তুচ্ছ জ্ঞান করনা, এমনকি তা যদিতোমার ভাইয়ের সাথে হাসোজ্জ্বল চেহারায় সাক্ষাৎ করা ও হয়। (সহীহ মুসলিম:৪৭৬০)
• উপঢৌকন প্রদান: ভালোবাসা বৃদ্ধি ও মনোমালিন্য দূরীকরণে এর রয়েছে বিরাট প্রভাব। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: তোমরা একে অপরকে উপহার প্রদান কর, তোমাদের পরস্পর ভালোবাসা বৃদ্ধি পাবে। (মুয়াত্তা:১৪১৩)
• এক ভাই অপর ভাইয়ের জন্য দুআ করা: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন :- কোন মুসলিম বান্দা যখন তার ভাইয়ের পিছনে তার জন্য দুআ করে তখন ফেরেশতা বলে উঠে তোমার জন্য ও অনুরূপ।(সহীহ মুসলিম:৪৯১২)আর ইহা তার সারা জীবন এমনকি মৃত্যুর পরে ও অব্যাহত থাকবে।
• অপর ভাইয়ের নিকট ভালোবাসার কথা প্রকাশ করা: রাসূলুল্লাহ সা: বলেন: মানুষ যখন তার ভাইকে ভালোবাসে সে যেন তাকে অবহিত করে যে, সে তাকে ভালোবাসে।” এবং তাকে বলবে: নিশ্চয় আমি তোমাকে আল্লাহর জন্য ভালোবাসি। জওয়াবে সে বলবে: যে ব্যাপারে তুমি আমাকে ভালোবেসেছ সেটা তোমার নিকট পছন্দ হয়েছে। (আবুদাউদ:৪৪৫৯)
• দেখা-সাক্ষাতের ক্ষেত্রে ভারসাম্য রক্ষা করা: যাতে কমও না হয় আবার বেশিও না হয় কম হলে সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যাবে, বেশি হলে বিরক্ত হয়ে পড়বে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন :- “বিরতি দিয়ে দেখা-সাক্ষাৎ কর, ভালোবাসা বৃদ্ধি পাবে।
কবি বলেন: বিরতি দিয়ে দেখা-সাক্ষাৎ কর, ভালোবাসা বৃদ্ধি পাবে, যে বার বার দেখা-সাক্ষাৎ করে অস্বস্তিবোধ তাকে দূরে সরিয়ে দিবে।
• সাহায্য করা ও প্রয়োজন মেটানো: ইহা তিন পর্যায়ে বিভক্ত করা যায়।
১- সর্বোচ্চ পর্যায়: নিজের প্রয়োজনের উপর অপর ভাইয়ের প্রয়োজনকে অগ্রাধিকার দেওয়া।
১- সর্বোচ্চ পর্যায়: নিজের প্রয়োজনের উপর অপর ভাইয়ের প্রয়োজনকে অগ্রাধিকার দেওয়া।
২- মধ্যপর্যায়: আবেদন ছাড়া অপর ভাইয়ের এমন প্রয়োজন মেটানো যা নিজের প্রয়োজনের সাথে সাংঘর্ষিক হয় না।
৩- নিম্ন পর্যায়: আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অপর ভাইয়ের প্রয়োজনে সাড়া দেওয়া।
• অপর ভাইয়ের দোষ-ত্রুটি ঢেকে রাখা, তার গোপনীয় বিষয় প্রকাশ না করা, উত্তম পন্থায় তাকে উপদেশ দেয়া, তার ইজ্জত-আব্রু সংরক্ষণ করা, ভুল-ভ্রান্তি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখা, তার সাথে সুন্দর আচরণ করা
- islamic quotes bangla
- bangla islamic wallpaper
- islamic photo gallery
- bangla islamic
- islamic profile pic
- bangla hadith
- bangla write islamic photo
- islamic images download
- bangla hadis
- islamic quotes with pictures
.
আমাদের এই চেনা জগত হল এক মহাজাগতিক দুর্ঘটনার ফলাফল। পৃথিবীতে মানবজাতির অস্তিত্ব হল বিবর্তন নামের এক লক্ষ্যহীন, উদ্দেশ্যহীন, এলেমেলো প্রক্রিয়ার ফসল।
.
এই ফ্রেইমওয়ার্কের ভেতরে থেকে চিন্তা করলে সর্বোচ্চ ভোগ এবং আনন্দের মাঝেই জীবনের সাফল্য খোঁজা স্বাভাবিক। সেক্যুলার সৃষ্টিতত্ত্ব অনুযায়ী আমাদের প্রত্যেকের জীবনের সারসংক্ষেপ হল এই -
.
এ গল্পের শুরু বীর্য থেকে আর শেষটুকু ধূলোয়। মাঝখানে যা কিছু করে নেয়া যায় তাই লাভ।
.
Do what you love, love what you do
Because you only live once.
.
‘তুমি কি তাকে দেখোনি, যে তার প্রবৃত্তিকে নিজের ইলাহরূপে গ্রহণ করেছে? তবুও কি তুমি তার যিম্মাদার হবে?’ (সূরা ফুরক্বান, ৪৩)
.
কাঠামো যাই হোক, এই হল সেক্যুলার ক্রিয়েশন মিথের উপসংহার।
সম্প্রীতি বাংলাদেশের কথা মনে আছে? ঐ যে, পত্রিকার প্রথম পাতায় বিজ্ঞাপন...জঙ্গি সনাক্তকরণে লিস্ট? আশা করি মনে পড়েছে। সেই বিখ্যাত বিজ্ঞাপনের একটা পয়েন্ট অনুযায়ী, জন্মদিন, গায়ে হলুদ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পালন না করা, গানবাজনা ইত্যাদি থেকে দূরে থাকা জঙ্গি সদস্য হবার লক্ষন। একই ধরনের কথা, একই ধরনের রেটোরিক কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে আওড়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের মেইনস্ট্রিম মিডিয়া এবং সেক্যুলার ও প্রগতিবাদীরা। নির্বিঘ্নে, বুক ফুলিয়ে। ভ্যালেন্টাইন্স, পহেলা বৈশাখ, ২১শে ফেব্রুয়ারি কিংবা ১৬ই ডিসেম্বরে ফুল দেয়ার মতো ইভেন্টগুলোর ব্যাপারে ইসলামের জায়গা থেকে আপত্তি করা হলে সেক্যুলার-প্রগতিশীলরা হামলে পড়ে, বলে ধর্মের অপব্যাখ্যা হচ্ছে। উগ্রবাদ, ধর্মান্ধতা শেখানো হচ্ছে। অনেক বছর ধরেই এরা এমন বলে আসছে। তবে এরা সম্প্রীতির মতো অতোটা কালারড হয়নি।
.
সেক্যুলার-প্রগতিশীলদের এই আরগুমেন্টটার মূল অর্থের দিকে একটু তাকানো যাক।
.
সমাজ কিংবা রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠিত কোন আচার কিংবা প্রথার বিরুদ্ধে যদি ইসলামের জায়গা থেকে আপত্তি করা হয় তখন সেটাকে বলা হয় ধর্মের অপব্যাখ্যা।
.
সেক্যুলার-প্রগত
.
সমাজ কিংবা রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠিত কোন আচার কিংবা প্রথার বিরুদ্ধে যদি ইসলামের জায়গা থেকে আপত্তি করা হয় তখন সেটাকে বলা হয় ধর্মের অপব্যাখ্যা।
কোন ধর্মের অপব্যাখ্যা? ইসলামের?
কিন্তু ইসলামের কোন ব্যাখ্যা সঠিক সেটা কে ঠিক করবে? অপব্যাখ্যা হচ্ছে, মুখস্থ বলে দিলেই তো হবে না। এখানে কিন্তু এক পক্ষ ধর্মের কথা বলছে না। দু পক্ষই ইসলামের ব্যাপারে একটা দাবি করছে।
এক পক্ষ বলছে কোন একটা কাজ করা ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক।
আরেকপক্ষ বলছে, না ঐ কাজ সাংঘর্ষিক তো না-ই, বরং সাংঘর্ষিক বলাটাই ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা। এ দুই দাবির মধ্যে কোনটা ঠিক সেটা কে ঠিক করবে? কোন দাবি সঠিক সেটা কিসের ভিত্তিতে ঠিক করা হবে?
.
এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজায় সেক্যুলারদের আগ্রহ নেই। কারণ সহজ উত্তর হল এধরনের সব মতপার্থক্যের সমাধান করতে হবে কুরআন, সুন্নাহ এবং সালাফ আস-সালেহিনের অবস্থানের আলোকে। কিন্তু সেই সমাধানে সেক্যুলাররা সন্তুষ্ট না। সেই সমাধান মেনে নেয়া তাদের পক্ষে সম্ভব না। তাই তারা এই আলোচনাতে যাবেই না। এ আলোচনাতে গেলেই তাদের মেনে নিতে হবে যে এই রাষ্ট্র এবং সমাজের অসংখ্য বিষয় ইসলামের সাথে, তাওহিদের সাথে সাংঘর্ষিক। আর সেটা মেনে নিলে তাদের ভাষ্যমতেই তারা রাতারাতি ‘জঙ্গি’ হয়ে যাবে।
.
তাই মুখে ‘ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা’ বললেও ওরা আসলে বোঝাতে চায় ইসলামের ভুল প্রয়োগ। কারণ ইসলামের প্রয়োগ কতোটুক পর্যন্ত জায়েজ হবে তার একটা ছক ঠিক করে রাখা আছে। সেই ছক ঠিক করে দিয়েছে সেক্যুলার রাষ্ট্র। এই ছক, এই সীমার বাইরে আসলেই সেটা ইসলামের ভুল প্রয়োগ। আমি যে পহেলা বৈশাখ কিংবা ভ্যালেন্টাইন্সের ব্যাপারে আপত্তি তুলছি, সেটা ইসলাম অনুযায়ী সঠিক কি না, সেটা তাদের কনসার্ন না। তাদের পয়েন্ট হল এটা সেক্যুলারিযম অনুযায়ী হালাল না। সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রথা ও প্রচলনের ব্যাপারে ইসলামের জায়গা থেকে কথা বলা হারাম। এটা পাপ, সীমালঙ্ঘন। শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সেক্যুলার রাষ্ট্র এই স্বাধীনতা মুসলিমদের দেবে না, দেয়নি।
.
কাজেই যখন বলা হয় ‘এগুলো ধর্মের অপব্যাখ্যা’ তখন আসলে ইসলামের জায়গা থেকে বলা হয় না, কথাটা বলা হয় সেক্যুলার ধর্মের জায়গা থেকে।
.
এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজায় সেক্যুলারদের আগ্রহ নেই। কারণ সহজ উত্তর হল এধরনের সব মতপার্থক্যের সমাধান করতে হবে কুরআন, সুন্নাহ এবং সালাফ আস-সালেহিনের অবস্থানের আলোকে। কিন্তু সেই সমাধানে সেক্যুলাররা সন্তুষ্ট না। সেই সমাধান মেনে নেয়া তাদের পক্ষে সম্ভব না। তাই তারা এই আলোচনাতে যাবেই না। এ আলোচনাতে গেলেই তাদের মেনে নিতে হবে যে এই রাষ্ট্র এবং সমাজের অসংখ্য বিষয় ইসলামের সাথে, তাওহিদের সাথে সাংঘর্ষিক। আর সেটা মেনে নিলে তাদের ভাষ্যমতেই তারা রাতারাতি ‘জঙ্গি’ হয়ে যাবে।
.
তাই মুখে ‘ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা’ বললেও ওরা আসলে বোঝাতে চায় ইসলামের ভুল প্রয়োগ। কারণ ইসলামের প্রয়োগ কতোটুক পর্যন্ত জায়েজ হবে তার একটা ছক ঠিক করে রাখা আছে। সেই ছক ঠিক করে দিয়েছে সেক্যুলার রাষ্ট্র। এই ছক, এই সীমার বাইরে আসলেই সেটা ইসলামের ভুল প্রয়োগ। আমি যে পহেলা বৈশাখ কিংবা ভ্যালেন্টাইন্সে
.
কাজেই যখন বলা হয় ‘এগুলো ধর্মের অপব্যাখ্যা’ তখন আসলে ইসলামের জায়গা থেকে বলা হয় না, কথাটা বলা হয় সেক্যুলার ধর্মের জায়গা থেকে।