যেদিন নিজে আক্রান্ত হবেন সেদিন ই কেবল বুঝতে পারবেন ঐ নির্যাতিতরা কত কস্টে মারা গেছে।

এক উম্মাহ এক দেহ ঃ মুসলিম জাতি ও বর্তমান অবস্থা 



জিহাদ এবং আজকের মুসলিম



চারিদিকে উচ্চস্বরে ধুমধাড়াক্কা মিউজিক বাজাচ্ছে
খেলায় তার দল জেতার কারনে (!)
হায় ..... 
লাস্ট কয়েকদিনে ধ্বংসপ্রাপ্ত লিবিয়া থেকে পালাতে গিয়ে সাগরে ডুবে 1000 মুসলিম মারা গেছে ( তা নিয়ে নূন্যতম দুঃখ তাদের নাই)
গতকাল ভারতের কাশ্মিরে মুসলিম স্বাধীনতাকামীদের হত্যা করছে ইন্ডিয়ান সেনারা (সেখবরও তাদের নেই)
ফসল খাওয়াতে গরুকে বাধা দেওয়ায় ঝাড়খন্ডের এক মুসলিমকে পিটিয়ে হত্যা করছে হিন্দুরা ( তবুও ভারত আমাদের বন্ধু! হিন্দুরা আমাদের ভাই(!!)))
.
.
ইয়েমেন সিরিয়া আফগানিস্তান ফিলিস্তিনের কথা আজ না ই বললাম।
.
.
লজ্জা লাগেনা নিজেকে মুহাম্মদের (সা.) এর উম্মত বলতে? 
আমার লাগতিছে।
কেননা বুঝতিছি এগুলোর জন্য জবাব দিতে হবে।
বিশ্বের নানা প্রান্তে মুসলিমরা আজ নির্যাতিত আর আমরা আছি কাফেরদের নিয়ে নাচানাচিতে(!)
কত্তো নিচে নামলে নিজেকে এতটা অপমান করা যায়?
যেদিন নিজে আক্রান্ত হবেন সেদিন ই কেবল বুঝতে পারবেন ঐ নির্যাতিতরা কত কস্টে মারা গেছে।
তখন সাহায্য চাইলেও কেউ সাহায্য করবেনা কেননা আপনি অন্যদেরবিপদের সময় সাহায্য করেননি, খেলা নিয়ে মেতেছিলেন।
.
.
.
এগুলো দেখতে দেখতে তিতা লাগতিছে। সহ্য করতে পারতিছি না আবার কিছু করতেও পারতিছি না। 
আমি বারবার এদেশের, এইসময়ের ইমামদের দোষ দেয়।
কেননা তাদের যেমন কথা যেমনভাবে বলা উচিত তারা তেমনভাবে তেমন কথা বলেনা ।
52 জুম্মাতে শুধু নামাজ,রোজার সময় রোজা, হজ্বের সময় হজ্ব আর সরকারের পা চাটতে জিহাদ বিরুধি বুলি আউড়ানো এবং অন্য মতবাদের হুজুরদের গালি দেওয়াতেই তারা বছর কাটিয়ে দেন।
জীবনের অন্যান্য সেক্টর নিয়ে তাদের কোন কথায় আসেনা। ইসলামের ইতিহাস নিয়ে তারা খুব কমই আলোচনা করে।
আলোচনা করলেও এমনভাবে করে যাতে জিহাদের অংশটুকু না আসে যাতে কেউ তাকে জঙ্গী না বলে (!)
কয়জন ঈমাম তার এলাকায়/মসজিদ এরিয়ায় কাফেরদের পতাকা উড়ানোতে কঠোরভাবে রোধ করছে?
তারা ভয় পায় শাসকশ্রেণী যদি তাদের জঙ্গী ভেবে বসে(!) যদি মসজিদকমিটি তাকে বাতিল করে দেয় ইত্যাদি ইত্যাদি।
কিন্তু এই ঈমামরা যদি সঠিকপথে চলতো, সঠিক কথা বলতো তাহলে শাসকশ্রেণীই তাদের কাছে আসতো পরামর্শের জন্য, কিভাবে কখন কোন সিদ্ধান্ত নিবে তার জন্য।
.
.
.
মরার পর কি জবাব দিবো কে জানে।
আমিও কিছু করতে পারতিছি না। সব দেখে যাচ্ছি। ডুবে যেতে দেখতিছি সাথে নিজেও ডুবতিছি।
এখন অবস্থা হইছে এমন খারাপ কাজে বাধা দিতে গেলেই দোষ আর খারাপে সাহায্য করলে ভালো!!




খুবই খারাপ আবার গুরুত্বপূর্ণ সময় এখন এই উম্মাহর জন্য। একদিকে নির্যাতিত মুসলিমরা নিজেদের দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে জান্নাতের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। আর অন্যদিকে উম্মাহর বাকি অংশ দুনিয়া আর নিজের নফসের গোলামী করছে।
আর উম্মাহর এই অবস্থা দেখে ভাবছে এ অবস্থায় কি করার আছে।
লজ্জাজনক।
কোথায় গেল উম্মাহর ফিকির। এক মুসলিম অন্য মুসলিমকে জালিমের কাছে ছেড়ে দিবে না।
আল্লাহর বাণী কি আমাদের কাছে পৌঁছেনি?
তোমাদের কি হল কেন তোমরা মজলুমদের হয়ে লড়াই করছ না।
আসলে এখন আমাদের ইসলামের গৌরবময় ইতিহাস সম্মন্ধে সবাইকে সচেতন করা খুবই প্রয়োজন। আর দাওয়াহর কোন বিকল্প নেই।
আমাদের পাপের জন্য এই উম্মাহর এই দূর অবস্থা। 
ইসলামকে তার মতই জানতে হবে, নিজের সুবিধা মত না।
আসন্ন মুসলিম আর কাফিরদের গাজওয়ায় এক তৃতীয়াংশ মুসলিম যুদ্ধের ময়দান ছেড়ে পালাবে।
এর জন্যই ইসলামে পুরোপুরি প্রবেশ করতে হবে।
ঈমানের ভীত মজবুত করতে হবে।
আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে হবে তিনিই আমাদের পরিত্রাণকর্তা।

- Sohel Imran

আমাদের অনেক ভাই জিহাদের ভুল ব্যাখ্যা করেন। আবার অনেকে এর প্রস্তুতির জন্য আধুনিক জ্ঞানার্জনকে ফরয বলেন।

আসলে আধুনিক জ্ঞানার্জনের আগে লড়াই ফরয। (দ্বীনি ইলমের মাসয়ালা ভিন্ন)

আর এর ভুরিভুরি প্রমাণ ইসলামের আহকামে বর্ণিত রয়েছে।

প্রমাণ-১: সুরা নিসা:৭৫ 

ﻭَﻣَﺎ ﻟَﻜُﻢْ ﻟَﺎ ﺗُﻘَﺎﺗِﻠُﻮﻥَ ﻓِﻲ ﺳَﺒِﻴﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ وَالْمُسْتَضْعَفِيْنَ ﻣِﻦَ ﺍﻟﺮِّﺟَﺎﻝِ ﻭَﺍﻟﻨِّﺴَﺎﺀِ ﻭَﺍﻟْﻮِﻟْﺪَﺍﻥِ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻳَﻘُﻮﻟُﻮﻥَ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﺃَﺧْﺮِﺟْﻨَﺎ ﻣِﻦْ ﻫَٰﺬِﻩِ ﺍﻟْﻘَﺮْﻳَﺔِ ﺍﻟﻈَّﺎﻟِﻢِ ﺃَﻫْﻠُﻬَﺎ ﻭَﺍﺟْﻌَﻞ ﻟَّﻨَﺎ ﻣِﻦ ﻟَّﺪُﻧﻚَ ﻭَﻟِﻴًّﺎ ﻭَﺍﺟْﻌَﻞ ﻟَّﻨَﺎ ﻣِﻦ ﻟَّﺪُﻧﻚَ ﻧَﺼِﻴﺮًﺍ -

"তোমাদের কি হয়েছে যে তোমরা আল্লাহর পথে লড়াই করছ না অসহায় নারী,পুরুষ ও শিশুদের রক্ষার জন্যে? যারা বলে হে আমাদের প্রতিপালক! জালেমের এই জনপদ থেকে আমাদেরকে উদ্ধার কর। তোমার কাছ থেকে কাউকে আমাদের অভিভাবক কর এবং তোমার কাছ থেকে আমাদের জন্য সাহায্যকারী পাঠাও!"

এই আয়াত দ্বারা বুঝা যাচ্ছে যে, যেকোনো মজলুমকে বাঁচাতে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। 

আবার ভাববেন না যেনো, বর্তমান বিশ্বে কেউই মাযলুম নেই।

পরের আয়াত দেখুন-

ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍ ﻳُﻘَﺎﺗِﻠُﻮﻥَ ﻓِﻲ ﺳَﺒِﻴﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮُﻭﺍ ﻳُﻘَﺎﺗِﻠُﻮﻥَ ﻓِﻲ ﺳَﺒِﻴﻞِ ﺍﻟﻄَّﺎﻏُﻮﺕِ ﻓَﻘَﺎﺗِﻠُﻮﺍ ﺃَﻭْﻟِﻴَﺎﺀَ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥِ ﺇِﻥَّ ﻛَﻴْﺪَ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥِ ﻛَﺎﻥَ ﺿَﻌِﻴﻔًﺎ -

"যারা ঈমানদার তারা লড়াই করে আল্লাহর রাহেই। পক্ষান্তরে যারা কাফের তারা লড়াই করে শয়তানের পক্ষে। সুতরাং তোমরা লড়াই করতে থাক শয়তানের পক্ষালম্বনকারীদের বিরুদ্ধে, শয়তানের পরিকল্পনা একান্তই দুর্বল।"

এখানে, শয়তান ও তার পরিকল্পনা (চাই তা বিজ্ঞানের অগ্রগতিই হোক না কেনো) কে দুর্বল সাব্যস্ত করে দেয়া হয়েছে।

এর পরের আয়াত-

ﺃَﻟَﻢْ ﺗَﺮَ ﺇِﻟَﻰ ﭐﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻗِﻴﻞَ ﻟَﻬُﻢْ ﻛُﻔُّﻮٓﺍ۟ ﺃَﻳْﺪِﻳَﻜُﻢْ ﻭَﺃَﻗِﻴﻤُﻮﺍ۟ ﭐﻟﺼَّﻠَﻮٰﺓَ ﻭَﺀَﺍﺗُﻮﺍ۟ ﭐﻟﺰَّﻛَﻮٰﺓَ ﻓَﻠَﻤَّﺎ ﻛُﺘِﺐَ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻢُ ﭐﻟْﻘِﺘَﺎﻝُ ﺇِﺫَﺍ ﻓَﺮِﻳﻖٌ ﻣِّﻨْﻬُﻢْ ﻳَﺨْﺸَﻮْﻥَ ﭐﻟﻨَّﺎﺱَ ﻛَﺨَﺸْﻴَﺔِ ﭐﻟﻠَّﻪِ ﺃَﻭْ ﺃَﺷَﺪَّ ﺧَﺸْﻴَﺔً ﻭَﻗَﺎﻟُﻮﺍ۟ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻟِﻢَ ﻛَﺘَﺒْﺖَ ﻋَﻠَﻴْﻨَﺎ ﭐﻟْﻘِﺘَﺎﻝَ ﻟَﻮْﻟَﺎٓ ﺃَﺧَّﺮْﺗَﻨَﺎٓ ﺇِﻟَﻰٰٓ ﺃَﺟَﻞٍ ﻗَﺮِﻳﺐٍ ﻗُﻞْ ﻣَﺘَٰﻊُ ﭐﻟﺪُّﻧْﻴَﺎ ﻗَﻠِﻴﻞٌ ﻭَﭐﻝْﺀَﺍﺧِﺮَﺓُ ﺧَﻴْﺮٌ ﻟِّﻤَﻦِ ﭐﺗَّﻘَﻰٰ ﻭَﻟَﺎ ﺗُﻈْﻠَﻤُﻮﻥَ ﻓَﺘِﻴﻠًﺎ -

"তুমি কি সেসব লোককে দেখনি, যাদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল যে, তোমরা নিজেদের হাতকে সংযত রাখ, নামায কায়েম কর এবং যাকাত দিতে থাক? অতঃপর যখন তাদের প্রতি লড়াইয়ের নির্দেশ দেয়া হল, তৎক্ষণাৎ তাদের মধ্যে একদল লোক মানুষকে ভয় করতে আরম্ভ করল, যেমন করে ভয় করা হয় আল্লাহকে। এমন কি তার চেয়েও অধিক ভয়। আর বলতে লাগল, হায় পালনকর্তা, কেন আমাদের উপর যুদ্ধ ফরজ করলে! আমাদেরকে কেন আরও কিছুকাল অবকাশ দান করলে না। ( হে রসূল) তাদেরকে বলে দিন, দুনিয়ার উপকরণাদি সীমিত। আর আখেরাত পরহেযগারদের জন্য উত্তম। আর তোমাদের অধিকার একটি সূতা পরিমান ও খর্ব করা হবে না।"

অর্থাৎ, কিছুদিনও অন্যকোন কাজের জন্য অবকাশ দেয়া হয়নি। আর যারা মানুষের অস্ত্রশস্ত্র ভয় পায় তাদের হালতও দেখানো হলো।

প্রমাণ-২: সুরা আনফাল:৬০

ﻭَﺃَﻋِﺪُّﻭﺍ ﻟَﻬُﻢْ ﻣَﺎ ﺍﺳْﺘَﻄَﻌْﺘُﻢْ ﻣِﻦْ ﻗُﻮَّﺓ

"দুশমনের মুকাবিলার জন্য তোমরা যথাসাধ্য শক্তি অর্জন করো।"

এই আয়াতের ব্যাখ্যায় হাদীস-

ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﺳَﻌِﻴﺪُ ﺑْﻦُ ﻣَﻨْﺼُﻮﺭٍ، ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﻋَﺒْﺪُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦُ ﻭَﻫْﺐٍ، ﺃَﺧْﺒَﺮَﻧِﻲ ﻋَﻤْﺮُﻭ ﺑْﻦُ ﺍﻟْﺤَﺎﺭِﺙِ، ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻋَﻠِﻲٍّ ﺛُﻤَﺎﻣَﺔَ ﺑْﻦِ ﺷُﻔَﻲٍّ ﺍﻟْﻬَﻤْﺪَﺍﻧِﻲِّ، ﺃَﻧَّﻪُ ﺳَﻤِﻊَ ﻋُﻘْﺒَﺔَ ﺑْﻦَ ﻋَﺎﻣِﺮٍ ﺍﻟْﺠُﻬَﻨِﻲَّ ﻳَﻘُﻮﻝُ : ﺳَﻤِﻌْﺖُ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻭَﻫُﻮَ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟْﻤِﻨْﺒَﺮِ ﻳَﻘُﻮﻝُ } : ﻭَﺃَﻋِﺪُّﻭﺍ ﻟَﻬُﻢْ ﻣَﺎ ﺍﺳْﺘَﻄَﻌْﺘُﻢْ ﻣِﻦْ ﻗُﻮَّﺓٍ { ‏[ ﺍﻷﻧﻔﺎﻝ : ٦٠ ‏] ، ﺃَﻟَﺎ ﺇِﻥَّ ﺍﻟْﻘُﻮَّﺓَ ﺍﻟﺮَّﻣْﻲُ، ﺃَﻟَﺎ ﺇِﻥَّ ﺍﻟْﻘُﻮَّﺓَ ﺍﻟﺮَّﻣْﻲُ، ﺃَﻟَﺎ ﺇِﻥَّ ﺍﻟْﻘُﻮَّﺓَ ﺍﻟﺮَّﻣْﻲُ
--
উকবাহ ইবনু ‘আমির আল-জুহানী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে মিম্বারের উপরে বলতে শুনেছিঃ ‘‘দুশমনের মুকাবিলার জন্য তোমরা যথাসাধ্য শক্তি অর্জন করো।’’[সূরা আল-আনফালঃ আয়াত ৬০] জেনে রাখো! এখানে শক্তির অর্থ হচ্ছে তীরন্দাজী (অস্ত্রের ট্রেনিং), জেনে রাখো! এখানে শক্তির অর্থ হচ্ছে তীরন্দাজী (অস্ত্রের ট্রেনিং), জেনে রাখো! এখানে শক্তির অর্থ হচ্ছে তীরন্দাজী (অস্ত্রের ট্রেনিং)।

(সুনানে আবূ দাউদ, হা/২৫১৪)

অর্থাৎ, যুদ্ধের প্রস্তুতি হচ্ছে শুধুই যুদ্ধের ট্রেনিং, অন্যকিছুই নয়।

প্রমাণ-৩: রাসূলের (সা.) আমল-
বদরের যুদ্ধের আগে রাসূলুল্লাহ (সা.) চেয়েছিলেন, শুধু আবু সুফিয়ানকে গ্রেফতার করবেন। কিন্তু সে পলায়ন করে এবং ১০০০ সশস্ত্র বাহিনীকে ৩১৩ জন নিরস্ত্রপ্রায় মুসলমানদের সামনে দাড় করিয়ে দেয়। কতক সাহাবী (রা.) এর পরামর্শ ছিল, মদীনায় ফিরে প্রস্তুতি নিয়ে আসা। উল্লেখ্য- তখনো যুদ্ধ শুরু হয়নি, এমনকি দুই বাহিনী ৮০ মাইল থেকেও দূরে অবস্থান করছিল। কিন্তু আল্লাহর এই নবী যাকে আপনিও নবী (সা.) মানেন, তিনি এই নিরস্ত্র, কম জ্ঞানী ( জ্ঞান কম হবার দলীল- সূরা আবাসা/১ম রুকু) সাথীদের (রা.) সশস্ত্র, দুনিয়ার বিজ্ঞান, সমরবিশারদে অধিক জ্ঞানী বাহিনীর মুখোমুখি করে দিলেন। তিনি ভাবেন নি যে, আমাদের তাদের মতো তলোয়ার বানাতে হবে তাদের থেকে জ্ঞান শিখে। আগে লড়েছেন। (দলীল- আলবিদায়াহসহ ইসলামী ইতিহাসের যেকোনো গ্রন্থ)

এই ধারাবাহিকতা ১৩শ বছর যাবত বিদ্যমান ছিল। তার অর্থ, রাসূলের এই আমল মুসিলম উম্মাহ ইজমা করে গ্রহণ করে নিয়েছিল। যা রদ্দ করার ক্ষমতা এই যুগের মুজতাহিদদের নেই।

আবার বলবেন না যেন, তাদের ঈমান বেশী ছিল, আমাদের ঈমান কম! কারণ, ঈমান কমবেশী হলেই ইসলামের আহকাম বদলে যায় না।

আরো হাজার প্রমাণ আছে কুরআন-হাদীসের ছত্রেছত্রে। 

ইসলামের অগ্রগতি এমন লোক দিয়েই হবে যারা আল্লাহর কথাই মানে। প্রবৃত্তিকে (নিজের যা মনে এসেছে তা) দ্বীন বানায় না।

আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন প্রবৃত্তিপূজা থেকে!
Next Post Previous Post