'কিন্তু যে তার অন্তরকে কুফরের জন্য খুলে দেয়, তার ওপর আল্লাহর গযব।' [সূরা নাহল ১৬:১০৬]
যার ওপর আল্লাহর গযব তার দুনিয়ার সফলতা কী কাজে আসবে?— শায়খ আব্দুল-আযীয আত-তারিফী[সবুজ পাতার বন]
কাফেররা যদি বাতিলই হয় তা হলে তারাই কেন পৃথিবীতে রাজত্ব করছে? তারাই তো সবার চেয়ে সুখে আছে?
যার ওপর আল্লাহর গযব তার দুনিয়ার সফলতা কী কাজে আসবে?— শায়খ আব্দুল-আযীয আত-তারিফী[সবুজ পাতার বন]
কাফেররা যদি বাতিলই হয় তা হলে তারাই কেন পৃথিবীতে রাজত্ব করছে? তারাই তো সবার চেয়ে সুখে আছে?
। জ্ঞান-বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, জীবন উপভোগের উপকরণ সবই তো তাদের!
মনে রেখো, একটা মতাদর্শ অনুসরণ করে দুনিয়াতে কেউ আরামে থাকলেই সেই মতাদর্শ সঠিক হয়ে যায় না। কাফেরও শান্তিতে থাকতে পারে, মুমিনও কষ্ট পেতে পারে। কিন্তু সফলতা হলো দিন শেষে আল্লাহর চোখে সফল হওয়া।
কাফেরদের বিষয়ে আল্লাহ বলেছেন,
'কিন্তু যে তার অন্তরকে কুফরের জন্য খুলে দেয়, তার ওপর আল্লাহর গযব।' [সূরা নাহল ১৬:১০৬]
কাফেরদের বিষয়ে আল্লাহ বলেছেন,
'কিন্তু যে তার অন্তরকে কুফরের জন্য খুলে দেয়, তার ওপর আল্লাহর গযব।' [সূরা নাহল ১৬:১০৬]
যার ওপর আল্লাহর গযব তার দুনিয়ার সফলতা কী কাজে আসবে?
— শায়খ আব্দুল-আযীয আত-তারিফী
[সবুজ পাতার বন]
.
এজন্য আল্লাহ তা'আলা বলেন,
'আর তুমি নিজেকে ধৈর্যশীল রাখো তাদের সাথে, যারা সকাল-সন্ধ্যায় তাদের রবকে ডাকে, তাঁর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে, এবং দুনিয়ার জীবনের সৌন্দর্য কামনা করে তোমার দু’চোখ যেন তাদের থেকে ঘুরে না যায়। আর ওই ব্যক্তির আনুগত্য করো না, যার অন্তরকে আমি আমার স্মরণ থেকে গাফেল করে দিয়েছি এবং যে তার প্রবৃত্তির অনুসরণ করেছে এবং যার কর্ম বিনষ্ট হয়েছে।'
[সূরা কাহাফ ১৮:২৮]
.
'...দুনিয়ার জীবনের সৌন্দর্য কামনা করে'
[সবুজ পাতার বন]
.
এজন্য আল্লাহ তা'আলা বলেন,
'আর তুমি নিজেকে ধৈর্যশীল রাখো তাদের সাথে, যারা সকাল-সন্ধ্যায় তাদের রবকে ডাকে, তাঁর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে, এবং দুনিয়ার জীবনের সৌন্দর্য কামনা করে তোমার দু’চোখ যেন তাদের থেকে ঘুরে না যায়। আর ওই ব্যক্তির আনুগত্য করো না, যার অন্তরকে আমি আমার স্মরণ থেকে গাফেল করে দিয়েছি এবং যে তার প্রবৃত্তির অনুসরণ করেছে এবং যার কর্ম বিনষ্ট হয়েছে।'
[সূরা কাহাফ ১৮:২৮]
.
'...দুনিয়ার জীবনের সৌন্দর্য কামনা করে'
কেননা এতে কোনো উপকার নেই। বরং ব্যক্তির দ্বীনদারি-ই হুমকির মুখে পড়ে। তথাপি (এরূপ দৃষ্টি দেয়া) ব্যক্তির অন্তরকে দুনিয়ার সাথে জুড়ে দেয়।
চিন্তা-ভাবনাগুল ো দুনিয়াকে ঘিরেই আবর্তিত হয়। এবং অন্তর আখিরাতের আশা ছেড়ে দেয়।
নিশ্চয়ই দুনিয়ার সৌন্দর্য দ্রষ্টার জন্য জাদুর মতো।
বিবেককে মোহগ্রস্ত করে ফেলে এই জাদু। এবং অন্তরকে আল্লাহর স্মরণ থেকে দূরে হটিয়ে দেয়।
ফলে সে দুনিয়ার ভোগ-সম্ভোগ এবং প্রবৃত্তির পিছুটানে লেগে যায়। নষ্ট করে তার সময়, ক্ষতির সম্মুখীন হয় তার (দ্বীনের) অবস্থা।
এভাবে সে চিরস্থায়ী ক্ষতির মধ্যে পড়ে, এবং অন্তহীন আফসোস তাকে গ্রাস করে।
আর এ জন্যই আল্লাহ এর পরের বাক্যে বলেছেন,
'আর ওই ব্যক্তির আনুগত্য করো না, যার অন্তরকে আমি আমার স্মরণ থেকে গাফেল করে দিয়েছি।'
চিন্তা-ভাবনাগুল
নিশ্চয়ই দুনিয়ার সৌন্দর্য দ্রষ্টার জন্য জাদুর মতো।
বিবেককে মোহগ্রস্ত করে ফেলে এই জাদু। এবং অন্তরকে আল্লাহর স্মরণ থেকে দূরে হটিয়ে দেয়।
ফলে সে দুনিয়ার ভোগ-সম্ভোগ এবং প্রবৃত্তির পিছুটানে লেগে যায়। নষ্ট করে তার সময়, ক্ষতির সম্মুখীন হয় তার (দ্বীনের) অবস্থা।
এভাবে সে চিরস্থায়ী ক্ষতির মধ্যে পড়ে, এবং অন্তহীন আফসোস তাকে গ্রাস করে।
আর এ জন্যই আল্লাহ এর পরের বাক্যে বলেছেন,
'আর ওই ব্যক্তির আনুগত্য করো না, যার অন্তরকে আমি আমার স্মরণ থেকে গাফেল করে দিয়েছি।'
অর্থাৎ আল্লাহর ব্যাপারে যে গাফেল হয়ে গেছে। আর শাস্তিস্বরূপ আল্লাহও তাকে তাঁর স্মরণ থেকে ভুলিয়ে দিয়েছে।
'..এবং যে তার প্রবৃত্তির অনুসরণ করেছে।'
অর্থাৎ মন যা চাহে তাই করে। তাতে যদি তার ধ্বংস কিংবা ক্ষতিও থাকে, তবুও তার সেটাই করা চাই। এভাবে সে প্রবৃত্তিকেই স্বীয় রবের আসনে বসিয়ে দিয়েছে।
[ শায়খ আশ-শা'দীর 'তাফসীর কারীমির রহমান' থেকে অনূদিত]
.
পর-নারীদের থেকে দৃষ্টি অবনত রাখার মতই গুরুত্বপূর্ণ ধনীদের ভোগ-সম্ভোগ থেকে মনের দৃষ্টিকে অবনত রাখা।
কেননা অন্যের গাড়ি-বাইক, দামী বাড়ি-ফ্লাট, হাই স্যালারি দেখে হতভম্ব হওয়া, কামনা করা, এমনকি অন্যের বিয়ে বা রূপবতী-গুণবতী স্ত্রীর কথা শুনে আফসোস করা—স্রেফ অন্তরকেই কলুষিত করে।
তাকদীর নিয়ে দোটানায় ফেলে। কাজের কাজ কিছু তো হয়-ই না, ব্যক্তির কর্মোদ্যম এবং দ্বীন মানার আগ্রহ সব নষ্ট করে দেয়।
.
পর-নারীদের থেকে দৃষ্টি অবনত রাখার মতই গুরুত্বপূর্ণ ধনীদের ভোগ-সম্ভোগ থেকে মনের দৃষ্টিকে অবনত রাখা।
কেননা অন্যের গাড়ি-বাইক, দামী বাড়ি-ফ্লাট, হাই স্যালারি দেখে হতভম্ব হওয়া, কামনা করা, এমনকি অন্যের বিয়ে বা রূপবতী-গুণবতী স্ত্রীর কথা শুনে আফসোস করা—স্রেফ অন্তরকেই কলুষিত করে।
তাকদীর নিয়ে দোটানায় ফেলে। কাজের কাজ কিছু তো হয়-ই না, ব্যক্তির কর্মোদ্যম এবং দ্বীন মানার আগ্রহ সব নষ্ট করে দেয়।
কালেক্টেড ফ্রম কলামিস্ট হুজুর
খ্রিস্টানদের ধোঁকা ও আমাদের বোকামি
খ্রিস্টানরা বলকানে মেরে বলল, আমরা তো মুসলিম পরিচয়ের জন্য না, বরং আমাদের জাতীয়তাবাদকে সমুন্নত রাখতে মেরেছি। আপনি মেনে নিলেন।
খ্রিস্টানরা ইরাকে মেরে বলল আমরা তো মুসলিম পরিচয়ের জন্য না, বরং সাদ্দামকে আর তার কেমিকেল ওয়েপনকে ঠেকানোর জন্য মেরেছি। আপনি বিশ্বাস করলেন।
খ্রিস্টানরা আফগানিস্তানে মেরে বলল আমরা তো মুসলিম পরিচয়ের জন্য না, বরং আল-ক্বায়দাকে ঠেকানোর জন্য মেরেছি। আপনি বিশ্বাস করলেন।
খ্রিস্টানরা লিবিয়ায় মেরে বলল আমরা তো মুসলিম পরিচয়ের জন্য না, বরং গাদ্দাফিকে ঠেকানোর জন্য মেরেছি। আপনি বিশ্বাস করলেন।
মুনাফিক্বরা মিশরে মেরে বলল আমরা তো মুসলিম পরিচয়ের জন্য না, বরং ব্রাদারহুডকে ঠেকানোর জন্য মেরেছি। আপনি বিশ্বাস করলেন।
মুনাফিক্বরা শাপলা চত্বরে মেরে বলল আমরা তো মুসলিম পরিচয়ের জন্য না, বরং হেফাজতকে ঠেকানোর জন্য মেরেছি। আপনি বিশ্বাস করলেন।
হিন্দুরা ইন্ডিয়ায় মেরে বলল আমরা তো মুসলিম পরিচয়ের জন্য না, বরং গোমাতাকে বাঁচানোর জন্য মেরেছি। আপনি বিশ্বাস করলেন।
বৌধ্যরা চায়নায় মেরে বলল আমরা তো মুসলিম পরিচয়ের জন্য না, বরং আমাদের কালচারাল ইন্টিগ্রিটিকে বাঁচানোর জন্য মেরেছি। আপনি বিশ্বাস করলেন।
বৌধ্যরা বার্মায় মেরে বলল আমরা তো মুসলিম পরিচয়ের জন্য না, বরং আমাদের কালচারাল ইন্টিগ্রিটিকে বাঁচানো আর আমাদের আদিভূমি পুনরোধ্বারের জন্য মেরেছি। আপনি বিশ্বাস করলেন।
গাফেল ও বেকুব আপনি বুঝলেনই না যে,
সাদ্দাম-গাদ্দাফি-
আলক্বায়দা-সংস
-আদিভূমি- সন্ত্রাস দমন
এগুলো কোনটাই আসল কথা ছিল না। আসল কথা ছিল, আছে ও থাকবেঃ ইসলাম বনাম কুফরের লড়াই।
লড়াই বলতে শুধু অস্ত্র হাতে মুখোমুখি দাঁড়ানো নয়। লড়াই মানে সভ্যতার লড়াই, সংস্কৃতির লড়াই, বিশ্বাসের লড়াই, জীবনযাত্রার লড়াই, মনস্তাত্ত্বিক লড়াই।
আপনি কোন পক্ষে লড়ছেন?
মুখে যা-ই বলেন, শুধু মনে রাখবেন, ওদের রীতিনীতি মেনে, ওদের শেখানো অমুক ডে তমুক অ্যানিভার্সারি পালন করে, ঘরের টিভির স্ক্রীনে ওদের চ্যানেল চালিয়ে, বাচ্চাকে ওদের সিস্টেমের স্কুল-কলেজে পড়িয়ে, ওদের খেলাধূলা খেলে ও দেখে, ওদের গান-সিনামাকে বিনোদনের উৎস বানিয়ে, ওদের প্রকাশ্য মিত্রদের পত্রপত্রিকা পড়ে, ওদের অ্যাম্বেসি-হাইক
উপরের কাজগুলোর সামান্য ক'টাও যদি আপনি করে থাকেন, তাহলে আপনি বহু আগেই কাফিরদের মনস্তাত্ত্বিক দাসে পরিণত হয়েছেন।
আল্লাহ তা'আলার হিদায়াত ও ক্ষমা না পেয়ে থাকলে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর ভাষ্যমত আপনার হাশর-আখিরাত কাফিরদের সাথেই হতে যাচ্ছে।
আল্লাহ তা'আলার হিদায়াত ও ক্ষমা না পেয়ে থাকলে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর ভাষ্যমত আপনার হাশর-আখিরাত কাফিরদের সাথেই হতে যাচ্ছে।
অতএব নিজের দল ঠিক করুন।
আল্লাহ তা'আলা আমাদেরকে পরিপূর্ণ ভাবে ইসলামে প্রবেশের তাউফীক্ব দিন, আর বাকিদের অনিষ্ট থেকে দুনিয়া ও আখিরাতের হেফাজতের জন্য যথেষ্ট হয়ে যান।
-- Mohammed Tawsif Salam
বন্ধুত্ব করবেন কার সাথে?
একজন মানুষ তার বন্ধুর দ্বারা সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়। আপনি কার সাথে চলছেন, কার সাথে বন্ধুত্ব করছেন সেটা আপনার ব্যক্তিত্বের পরিচায়ক!
একজন ভালো বন্ধুর মধ্যে মোটামুটি চারটি বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান থাকা উচিতঃ
১) যখন আপনি তাকে দেখবেন, সে আপনাকে আল্লাহর ব্যাপারে স্মরণ করিয়ে দিবে। অর্থাৎ তাকে দেখলে আপনার আল্লাহর কথা স্মরণ হবে।
২) আপনি যখন তার সাথে বসবেন, কোন ব্যাপার নিয়ে আলোচনা করবেন আপনার ঈমান বৃদ্ধি পাবে। আপনি তাঁর সঙ্গ আপনার ঈমানী জজবা বৃদ্ধি করবে।
৩)তাদের সাথে আলাপ করার মাধ্যমে আপনার দ্বীনের জ্ঞান বৃদ্ধি পাবে। তাদের সাথে মেশার মাধ্যেমে আপনি দ্বীনের ব্যাপারে নিত্য-নতুন ইলম অর্জন করতে পারবেন।
৪) যখন আপনি তাদের কাজকর্ম দেখবেন তখন আপনার আখিরাতের কথাই স্মরণ হবে।
৫) আপনার সত্যিকারের বন্ধুরা কখনো আপনাকে তোষামোদ করে চলবে না। তারা আপনার শুভাকাঙ্ক্ষী কিন্তু আপনার অন্ধ ভক্ত হবে না। আপনার চরিত্রে মন্দ কোন দিক আপনার সামনে স্বাচ্ছন্দ্যে তুলে ধরবে।তারা আপনার আয়না স্বরূপ হবে।
তাই বন্ধু নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমাদের সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সৎ, মুত্তাকি, তাকওয়াবান,পরহেজ গার ব্যক্তিদের সাথে আমাদের উচিত বন্ধুত্বের সম্পর্ক স্থাপন করা।
আল্লাহ আযযা ওয়া জাল বলেন-
''সেদিন বন্ধুবর্গ একে অপরের শত্রু হবে শুধুমাত্র মুত্তাকিরা
ব্যতীত। ''
(সূরা আল-যুখরুফঃ৪৩:৬৭
সুফিয়ান আস সাওরি(রহ) বলেন,'' একে জন মানুষের জীবনে একজন সঙ্গী ভালো কিংবা মন্দ সবচেয়ে বেশি প্রভাব বিস্তার করতে।''
ঈমাম আস সা'দী (রহ) বলেন,'' সৎ লোকের সাথে বন্ধুত্ব একজন মানুষকে উপকারী জ্ঞান,উত্তম চরিত্র আর সৎকর্মের দিকে পরিচালিত করে।আর অসৎ বন্ধু এসব ভালো জিনিস থেকে তাকে বিরত রাখে।''
হাসান আল বসরী রাহিমাহুল্লাহ বলেন,'' নেককারদের সাথে বেশি বন্ধুত্ব কর যেনো কিয়ামতে তাদের থেকে কোন না কোন ভাবে উপকৃত হতে পারো।''
জনৈক সালাফ বলেন,'' এমন কারো সাথে বন্ধুত্ব করো যে তোমার চাইতে দ্বীনি এগিয়ে আর দুনিয়ায় পিছিয়ে।''
Dawah পেইজ থেকে
সেই কাফেলার কাছাকাছি গিয়ে সাহাবি আব্দুল্লাহ ইবনু জাহাশ সেই ঘৃণ্য লোকগুলোকে দেখতে পান। সাহাবিদের মনে তখন এ কাফেলাটি আক্রমণ করে নিজেদের অর্থসম্পদের কিয়দংশ ফেরত পাওয়ার চিন্তা উদিত হয়। কিন্তু সেই সময়টা ছিল রজব মাস।
চারটি হারাম মাসের একটি, যে মাসগুলোতে যুদ্ধ-বিগ্রহ নিষিদ্ধ। তবে অনেকক্ষণ ভাবার পর মুসলিমরা সেই কাফেলাটি আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেয় এবং করেও, যা ইতিহাস এবং পরিস্থিতির বিচারে সমর্থনযোগ্য ছিল।
.
ফলশ্রুতিতে এই ঘটনাকে পুঁজি করে মুশরিকরা সমাজে হৈ চৈ বাধিয়ে দেয়, মুসলিমদের বিরুদ্ধে জনসমর্থন যোগানোর সুযোগ পায়। বলে বেড়ায়, মুসলিমরা পবিত্র মাসে যুদ্ধ করে এর পবিত্রতা নষ্ট করেছে!
তারা উগ্র, তারা জঙ্গি, রক্তপিয়াসু যুদ্ধবাজ—তারা শান্তি ও স্বাধীনতা বিরোধী চক্র ইত্যাদি নানান ট্যাগ লাগিয়ে দিতে থাকে।
অবশেষে আল্লাহ তা'আলা এই আয়াতটি নাযিল করে নিশ্চিত করেন যে, হ্যাঁ, সম্মানিত মাসে যুদ্ধ নিষিদ্ধ। কিন্তু মক্কার মুশরিকরা এতদিন যাবত যা করে আসছে, তা নিষিদ্ধ মাসে যুদ্ধ করার চেয়েও নিকৃষ্ট।
এই আয়াত মুসলিমদেরকে কুরাইশদের অপকর্ম ও অন্যায়ের স্বরূপ উন্মোচন করে দেবার শিক্ষা দিয়েছে। এর উদ্দেশ্য ছিল তাদের তর্জন-গর্জনকে স্তিমিত করে দেওয়া।
ঠিক একইভাবে আমাদের উচিত, আজকে যারা ইসলামের শত্রু, তাদের সীমালঙ্ঘন সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হওয়া এবং সেগুলোর তালিকা তৈরি করা।
এই আয়াত শিক্ষা দিচ্ছে, হাটু গেড়ে বসে নমঃনমঃ হয়ে নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করার এই বেদনাদায়ক এবং পরাজিত মানসিকতা যেন আমরা পরিত্যাগ করি।
যখনই তারা আমাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বা উগ্রপন্থা অভিযোগ তুলে আঙুল তাক করার ধৃষ্টতা দেখাবে এবং নিজেদের পরম হিতৈষী শান্তিকামী হিসেবে দাবি করবে, তখন আমরা তাদের কুকীর্তির ইতিহাস উন্মোচন করে দেই।
.
— তারিক মেহান্না (ফাকাহুল্লাহ আশরাহ)
'সম্মানিত মাস সম্পর্কে তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে যে, তাতে যুদ্ধ করা কেমন? বলে দাও এতে যুদ্ধ করা ভীষণ বড় পাপ। আর আল্লাহর পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা এবং কুফরি করা, মসজিদে-হারামের পথে বাধা দেওয়া এবং সেখানকার অধিবাসীদেরকে বহিষ্কার করা, আল্লাহর নিকট তার চেয়েও বড় পাপ। আর দ্বীনের ব্যাপারে ফিতনা সৃষ্টি করা নরহত্যা অপেক্ষাও মহা পাপ...'
- [সূরা বাকারাহ, ২১৭].
হিজরি ২য় বর্ষ। রাসূলুল্লাহ ﷺ সাহাবি আব্দুল্লাহ ইবনু জাহাশ রাযি.-এর নেতৃত্বে ১২ জন সাহাবিকে কুরাইশদের একটি খাদ্যবাহী কাফেলাকে অবরোধ করতে নাখলাহ (মক্কা ও তায়েফের মাঝামাঝি) নামক স্থানে পাঠান।
মুসলিমদের ওপর বাড়াবাড়ি রকমের জুলুম-নির্যাতনক ারী কিছু মুশরিক সেই কাফেলাতে ছিল। তারা মুসলিমদের অর্থসম্পদ আত্মসাৎ করেছিলেন, ঘরছাড়া করেছিল, এমনকি রাসূল ﷺ-কে একাধিকবার হত্যার চেষ্টাও করেছিল।
- [সূরা বাকারাহ, ২১৭].
হিজরি ২য় বর্ষ। রাসূলুল্লাহ ﷺ সাহাবি আব্দুল্লাহ ইবনু জাহাশ রাযি.-এর নেতৃত্বে ১২ জন সাহাবিকে কুরাইশদের একটি খাদ্যবাহী কাফেলাকে অবরোধ করতে নাখলাহ (মক্কা ও তায়েফের মাঝামাঝি) নামক স্থানে পাঠান।
মুসলিমদের ওপর বাড়াবাড়ি রকমের জুলুম-নির্যাতনক
সেই কাফেলার কাছাকাছি গিয়ে সাহাবি আব্দুল্লাহ ইবনু জাহাশ সেই ঘৃণ্য লোকগুলোকে দেখতে পান। সাহাবিদের মনে তখন এ কাফেলাটি আক্রমণ করে নিজেদের অর্থসম্পদের কিয়দংশ ফেরত পাওয়ার চিন্তা উদিত হয়। কিন্তু সেই সময়টা ছিল রজব মাস।
চারটি হারাম মাসের একটি, যে মাসগুলোতে যুদ্ধ-বিগ্রহ নিষিদ্ধ। তবে অনেকক্ষণ ভাবার পর মুসলিমরা সেই কাফেলাটি আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেয় এবং করেও, যা ইতিহাস এবং পরিস্থিতির বিচারে সমর্থনযোগ্য ছিল।
.
ফলশ্রুতিতে এই ঘটনাকে পুঁজি করে মুশরিকরা সমাজে হৈ চৈ বাধিয়ে দেয়, মুসলিমদের বিরুদ্ধে জনসমর্থন যোগানোর সুযোগ পায়। বলে বেড়ায়, মুসলিমরা পবিত্র মাসে যুদ্ধ করে এর পবিত্রতা নষ্ট করেছে!
তারা উগ্র, তারা জঙ্গি, রক্তপিয়াসু যুদ্ধবাজ—তারা শান্তি ও স্বাধীনতা বিরোধী চক্র ইত্যাদি নানান ট্যাগ লাগিয়ে দিতে থাকে।
অবশেষে আল্লাহ তা'আলা এই আয়াতটি নাযিল করে নিশ্চিত করেন যে, হ্যাঁ, সম্মানিত মাসে যুদ্ধ নিষিদ্ধ। কিন্তু মক্কার মুশরিকরা এতদিন যাবত যা করে আসছে, তা নিষিদ্ধ মাসে যুদ্ধ করার চেয়েও নিকৃষ্ট।
এই আয়াত মুসলিমদেরকে কুরাইশদের অপকর্ম ও অন্যায়ের স্বরূপ উন্মোচন করে দেবার শিক্ষা দিয়েছে। এর উদ্দেশ্য ছিল তাদের তর্জন-গর্জনকে স্তিমিত করে দেওয়া।
ঠিক একইভাবে আমাদের উচিত, আজকে যারা ইসলামের শত্রু, তাদের সীমালঙ্ঘন সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হওয়া এবং সেগুলোর তালিকা তৈরি করা।
এই আয়াত শিক্ষা দিচ্ছে, হাটু গেড়ে বসে নমঃনমঃ হয়ে নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করার এই বেদনাদায়ক এবং পরাজিত মানসিকতা যেন আমরা পরিত্যাগ করি।
যখনই তারা আমাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বা উগ্রপন্থা অভিযোগ তুলে আঙুল তাক করার ধৃষ্টতা দেখাবে এবং নিজেদের পরম হিতৈষী শান্তিকামী হিসেবে দাবি করবে, তখন আমরা তাদের কুকীর্তির ইতিহাস উন্মোচন করে দেই।
.
— তারিক মেহান্না (ফাকাহুল্লাহ আশরাহ)
[কখনও ঝরে যেও না; 'কুরআন এবং আপনি' ১১তম পর্বের সারসংক্ষেপ]
!['কিন্তু যে তার অন্তরকে কুফরের জন্য খুলে দেয়, তার ওপর আল্লাহর গযব।' [সূরা নাহল ১৬:১০৬] quran er ayat](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj-G7kreaTpcXr7Nd58bOuPyIEMzWfn3DBTiIGvlFVJjqbJSSXjQXR8Q6gKLq28zIRujCdpLKE9FwYsDTNjFIOtaqwdpI97rPFqEOnlTkbrj_KxQzmasa9_2ocSTG8QF8gGo6PhbIulW64/s320/%25E0%25A6%2587%25E0%25A6%25B8%25E0%25A6%25B2%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25AE%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%2595+%25E0%25A6%25AA%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%2595%25E0%25A6%259A%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25B0+-+%25E0%25A6%25B2%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%2596%25E0%25A6%25BE+%25E0%25A6%25AA%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%2595%25E0%25A6%259A%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25B0-%25E0%25A6%2587%25E0%25A6%25B8%25E0%25A6%25B2%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25AE%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%2595+%25E0%25A6%259B%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25BF+%25281%2529.jpg)