২৮ মে - আজই সেই ঐতিহাসিক রাত যে রাতে কনস্টান্টিনোপল চূড়ান্তভাবে আক্রমণ করার জন্য সর্বশেষ ও চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়
২৮ মে - আজই সেই ঐতিহাসিক রাত যে রাতে কনস্টান্টিনোপল চূড়ান্তভাবে আক্রমণ করার জন্য সর্বশেষ ও চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়
আজ ২৮ মে।হ্যা,আজই সেই ঐতিহাসিক রাত যে রাতে কনস্টান্টিনোপল চূড়ান্তভাবে আক্রমণ করার জন্য সর্বশেষ ও চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়.....এবং লাখো সৈন্যের ও মুসলিমের বিশ্বের সর্বকালের বৃহৎ জামা'আতে নামাজ আদায় করার ইতিহাসগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি ফজরের জামা'আত অনুষ্ঠিত হয়!
১৪৫৪ খ্রিষ্টাব্দের ২৮ শে মে (৮৫৭ হিজরীর ২০ জুমাদাল
উলার) রজনী মুজাহিদগণ দোয়া
ও ইবাদাতের মধ্যে
অতিবাহিত করেন।ফজরের
নামাজের পর সুলতান চূড়ান্ত
আক্রমণের আদেশ দিলেন এবং
ঘোষণা করলেন
যে,“ইনশাআল্লাহ আমরা
যোহরের নামাজ হাজিয়া
সোফিয়ায় আদায় করব।”
উলার) রজনী মুজাহিদগণ দোয়া
ও ইবাদাতের মধ্যে
অতিবাহিত করেন।ফজরের
নামাজের পর সুলতান চূড়ান্ত
আক্রমণের আদেশ দিলেন এবং
ঘোষণা করলেন
যে,“ইনশাআল্লাহ আমরা
যোহরের নামাজ হাজিয়া
সোফিয়ায় আদায় করব।”
ফজরের নামাজের পর উসমানীয় সামরিক ব্যান্ড তাদের মেহতের মারসি'র একটি গান বাজানো শুরু করে এবং শহরে এর প্রভাব পড়ে।
এরপর নতুন করে গোলাবর্ষণ শুরু হয়।উসমানী বাহিনীর প্রচণ্ড গোলাবর্ষণে দুর্গের মজবুত দেয়ালে ভাঙ্গন ধরে।
এই সময় সুলতান তার জেনেসারি
সৈন্যদের নিয়ে তৃতীয়বারের
মত শহরের উপর চরম আঘাত
হানেন।
সৈন্যদের নিয়ে তৃতীয়বারের
মত শহরের উপর চরম আঘাত
হানেন।
দ্বিপ্রহর পর্যন্ত উভয় পক্ষের
মধ্যে ভীষণ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ
চলতে থাকে।কিন্তু
বাইজানটাইন বাহিনীর
অসাধারণ বীরত্বে একটি
সৈন্যও শহরে প্রবেশ করতে
পারেনি। অবশেষে সুলতান
তার বিশেষ বাহিনী
জেনেসারিকে সাথে
করে সেন্ট রোমান্স এর ফটকের
দিকে অগ্রসর হন। উরবানের নির্মিত সেই বিখ্যাত কামানের গোলা নিক্ষেপ করা হলে পুরো শহর কয়েকটি হাতির একত্রে চিৎকার করার মতো আওয়াজে প্রকম্পিত হয় এবং দুর্গের দেয়ালে আঘাত হেনে দেয়াল দুমড়েমুচড়ে দেয়!
মধ্যে ভীষণ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ
চলতে থাকে।কিন্তু
বাইজানটাইন বাহিনীর
অসাধারণ বীরত্বে একটি
সৈন্যও শহরে প্রবেশ করতে
পারেনি। অবশেষে সুলতান
তার বিশেষ বাহিনী
জেনেসারিকে সাথে
করে সেন্ট রোমান্স এর ফটকের
দিকে অগ্রসর হন। উরবানের নির্মিত সেই বিখ্যাত কামানের গোলা নিক্ষেপ করা হলে পুরো শহর কয়েকটি হাতির একত্রে চিৎকার করার মতো আওয়াজে প্রকম্পিত হয় এবং দুর্গের দেয়ালে আঘাত হেনে দেয়াল দুমড়েমুচড়ে দেয়!
জেনেসারি বাহিনীর প্রধান উলুবাতলি হাসান আগা
তার ত্রিশ জন বীর সঙ্গীকে
সাথে করে প্রাচীরের উপর
আরোহণ করেন।তার
আঠারো সাথীকে প্রাচীর থেকে
নিচে ফেলে দেওয়া হয়।তারা
শাহাদাতের অমীয় সুধা পান
করেন।তিনি সহ অবশিষ্ট বারোজন
প্রাচীরের উপর দৃঢ় অবস্থান
করতে সক্ষম হন।হাসান আগা উসমানী পতকা নিয়ে বীরের বেশে প্রাসাদের সবচেয়ে উচু পতাকার ফটকে অগ্রসর হতে থাকেন কিন্তু কনস্টাইন বাহিনীর তিরন্দাজদের তীর একেকটি করে তার দেহের বিভিন্ন অংশে ঢুকতে থাকে...তবু তিনি অবিশ্বাস্যভাবেত া সহ্য করে সামনে এগিয়ে যেতে থাকে..... এসময় তার হাতে ছিল একটি তলোয়ার, একটি ছোট ঢাল এবং উসমানীয়দের পতাকা।যুদ্ধের সময় চারপাশের গোলাগুলির ভেতরে তিনি দেয়ালে উঠে পড়েন এবং পতাকা স্থাপন করেন এবং তার ১২ জন বন্ধু আসা পর্যন্ত তিনি পতাকা রক্ষা করেন। এরপর তিনি আহতাবস্থায় পড়ে যান। এসময় তার শরীরে ২৭টি তীর বিদ্ধ ছিল।
তার ত্রিশ জন বীর সঙ্গীকে
সাথে করে প্রাচীরের উপর
আরোহণ করেন।তার
আঠারো সাথীকে প্রাচীর থেকে
নিচে ফেলে দেওয়া হয়।তারা
শাহাদাতের অমীয় সুধা পান
করেন।তিনি সহ অবশিষ্ট বারোজন
প্রাচীরের উপর দৃঢ় অবস্থান
করতে সক্ষম হন।হাসান আগা উসমানী পতকা নিয়ে বীরের বেশে প্রাসাদের সবচেয়ে উচু পতাকার ফটকে অগ্রসর হতে থাকেন কিন্তু কনস্টাইন বাহিনীর তিরন্দাজদের তীর একেকটি করে তার দেহের বিভিন্ন অংশে ঢুকতে থাকে...তবু তিনি অবিশ্বাস্যভাবেত
দেয়ালের নিজেদের পতাকা দেখে উসমানীয় সেনাদের মনোবল বৃদ্ধি পায় এবং বিজয় আসা পর্যন্ত তা বজায় থাকে।
তাররপর
উসমানী বাহিনীর অন্যান্য
দলও একের পর এক প্রাচীরে
আরোহণ করতে সক্ষম হন।
উসমানী বাহিনীর অন্যান্য
দলও একের পর এক প্রাচীরে
আরোহণ করতে সক্ষম হন।
এমনিভাবে কন্সট্যান্টিপোল ের প্রাচীরে কালেমাসহ চন্দ্রখচিত লাল
পতাকা উড়িয়ে দেয়া হয়।
পতাকা উড়িয়ে দেয়া হয়।
Mehraz Akīb