বাংলাদেশের ওয়াজ মাহফিল - ওলীপুরী সাহেবের শক্ত ভাষার অালোচনা প্রসংগে এ মুহুর্তে অাল্লামা সলীমুল্লাহ খাঁন রহঃ এর একটি বিশ্লেষন
ওয়াজ মাহফিল - ওলীপুরী সাহেবের শক্ত ভাষার অালোচনা প্রসংগে এ মুহুর্তে অাল্লামা সলীমুল্লাহ খাঁন রহঃ এর একটি বিশ্লেষন
ওলীপুরী সাহেবের শক্ত ভাষার অালোচনা প্রসংগে এ মুহুর্তে অাল্লামা সলীমুল্লাহ খাঁন রহঃ এর একটি বিশ্লেষন মনে পড়ছে
- Mufti Zilani
- Mufti Zilani
ওয়াজের ময়দানের চরম অবনতি আর নীচুঁতা নিয়ে সারাদেশের মুখলেস উলামায়ে কেরাম অস্হীরতায় ভুগতেছিলেন। দ্বীনের এত বড় খেদমতের ময়দান ধীরে ধীরে অর্থ উপার্জনের মাধ্যম এমনকি কন্ট্রাক আর যেকোন উপায়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার যে নগ্নতা চলছে তা যেকোনভাবে পরিবর্তন জরুরী হয়ে পড়েছিল । কত কৌশলে যে টাকার পরিমান বাড়াচ্ছে!!
ওয়াজ মাহফিল 2020
সর্বশেষ রাবেতাতুল ওয়ায়েজীনের প্রোগ্রামে আমাদের শীর্ষ মুরুব্বীরা মুরুব্বীরা এ ময়দানের রোগগুলো এসলাহের নিয়তে নির্ধিদ্বায় আলোচনায় আনলেন। চুক্তি বা দাবী করে টাকা নেওয়া ( ২০/৩০/৪০/৮০ হাজার/ একলাখ). ইলম ছাড়া. মুতালাআ ছাড়া বয়ান করা, শুধু সুর নির্ভর ওয়াজ, হেলিকপ্টার, বক্তার দুর্ব্যবহার সহ সবকিছু অালোচনায় স্হান পায় এবং সকলে নিজেকে রোগী আখ্যায়িত করেন ।
কিন্তু এ রশি টেনে ধরা যাচ্ছেনা।
এর মধ্যেই অাল্লামা ওলীপুরী সা কঠিন ভাষা ব্যবহার করলেন। গলাকাটা বক্তাদের নিয়ে যা বলার বলে দিলেন।
আমরা অনেকেই হুজুরের এমব ভাষা ব্যবহারের যুক্তি খুজে পাচ্ছিলামনা। আবার হুজুর কোন অবাস্তব কথাও বলেননি। একেবারে বাস্তবতা তুলে ধরেছেন।
এমন বক্তব্য পরবর্তী পরিস্থিতি হুজুরের জন্য অনেক বিব্রতকর। অনেকে বলছেন হুজুর বড় ব্যক্তিত্ব ঠিক অাছে কিন্তু এভাবে বলতে পারেননা।
কিন্তু এ রশি টেনে ধরা যাচ্ছেনা।
এর মধ্যেই অাল্লামা ওলীপুরী সা কঠিন ভাষা ব্যবহার করলেন। গলাকাটা বক্তাদের নিয়ে যা বলার বলে দিলেন।
আমরা অনেকেই হুজুরের এমব ভাষা ব্যবহারের যুক্তি খুজে পাচ্ছিলামনা। আবার হুজুর কোন অবাস্তব কথাও বলেননি। একেবারে বাস্তবতা তুলে ধরেছেন।
এমন বক্তব্য পরবর্তী পরিস্থিতি হুজুরের জন্য অনেক বিব্রতকর। অনেকে বলছেন হুজুর বড় ব্যক্তিত্ব ঠিক অাছে কিন্তু এভাবে বলতে পারেননা।
বাংলা ওয়াজ
আমরা সকলে বেশ চিন্তায় পড়ে গেলাম। বড়দের নেয়া উদ্যোগ বাধাঁগ্রস্হ হয় কিনা।
সেই মুহুর্তগুলোতে ১৮/১৯ বছর আগের দরসে হাদীসে শুনা একটি গভীর বিশ্লেষন মনে পড়ে গেল। ( যা আমার একান্ত)
পাকিস্তানের সার্বজনীন মুরুব্বী, জামেয়া ফারুকিয়ার মুহতামিম, পাকিস্হান বেফাক চেয়ারম্যান আল্লামা সলীমুল্লাহ খাঁন সাহেব রহ এর করাচীতে হাদীসে মুসালসালের দরসে বসেছিলাম। হযরত দ্বীনের জন্য সাহাবাদের কুরবানী প্রসংগে গভীর আলোচনায় বলতেছিলেন
"আমাদের অনেকেই বুযুর্গের সোহবতে যেয়ে ছোট বড় গুনাহ ছাড়ার যোগ্যতা অর্জন করে ফেলেন। অথচ হযরাতে সাহাবায়ে কেরামের কেহ কেহ নবীর সোহবতে থেকেও যিনার মত এতবড় গুনাহ কিভাবে করলেন?
"আমাদের অনেকেই বুযুর্গের সোহবতে যেয়ে ছোট বড় গুনাহ ছাড়ার যোগ্যতা অর্জন করে ফেলেন। অথচ হযরাতে সাহাবায়ে কেরামের কেহ কেহ নবীর সোহবতে থেকেও যিনার মত এতবড় গুনাহ কিভাবে করলেন?
হযরত বলতে লাগলেন যে, আল্লাহ তাআলা সাহাবায়ে কেরামদের থেকে সব কুরবানী নিয়ে ' রাদিয়াল্লাহু আনহুম ওয়া রাদু আনহ ' এর মর্যাদা দান করেন।
এমনকি বড় বড় গুনাহ র পরও তাওবার রাস্তা এভাবে খোলা থাকে যে পুরা মদীনায় তা বন্টন করে দিলে সকলে ক্ষমাপ্রাপ্ত হয়ে যাবে।
উম্মতকে তাওবার প্রসস্হতার তালীম দিতে সাহাবীর প্রাথমিক মানহানীর কুরবানী এরপর তাওবার মাধ্যমে সবোর্চ্চ মাকাম """।
এমনকি বড় বড় গুনাহ র পরও তাওবার রাস্তা এভাবে খোলা থাকে যে পুরা মদীনায় তা বন্টন করে দিলে সকলে ক্ষমাপ্রাপ্ত হয়ে যাবে।
উম্মতকে তাওবার প্রসস্হতার তালীম দিতে সাহাবীর প্রাথমিক মানহানীর কুরবানী এরপর তাওবার মাধ্যমে সবোর্চ্চ মাকাম """।
আমার একান্ত মনোভাব এমন মনে হয় যে.
আল্লাহ তাআলা ওলীপুরী সাহেব এর দ্বারা দ্বীনের অনেক বড় খেদমাত নিয়েছেন যা যুগ যুগ ধরে বে -মেছাল। bangla waz
আজ উম্মতের উলামায়ে কেরাম বিষয়টির সংশোধন করার সকলে ফিকর করলেও মুখ খুলে কেহ ওপেন এভাবে বলার সাহস পাচ্ছিলেননা। সকলেই নিজের সম্মানের কথা ভাবছেন। আবার এই রোগের রোগীরা একযুগে হামলে পড়ার ভয়ও সকলে করছিলেন।
আল্লাহ তাআলা ওলীপুরী সাহেব এর দ্বারা দ্বীনের অনেক বড় খেদমাত নিয়েছেন যা যুগ যুগ ধরে বে -মেছাল। bangla waz
আজ উম্মতের উলামায়ে কেরাম বিষয়টির সংশোধন করার সকলে ফিকর করলেও মুখ খুলে কেহ ওপেন এভাবে বলার সাহস পাচ্ছিলেননা। সকলেই নিজের সম্মানের কথা ভাবছেন। আবার এই রোগের রোগীরা একযুগে হামলে পড়ার ভয়ও সকলে করছিলেন।
এমনি মুহুর্তে হয়ত আল্লাহ পাক ওলীপুরী হুজুর দ্বারা এই খেদমতটুকু নিতে চেয়েছেন। যদিও হুজুরের কিছু মানহানি হচ্ছে কিন্তু হুজুর থেকে আল্লাহ এই কুরবানী নিয়ে উলামায়ে উম্মতকে এমব ধাক্কা দিলেন, যা অন্যকোনভাবে বা অন্য কাহারো দ্বারাই সম্ভব ছিলনা।
ওলীপুরী হুজুর একজন নিঃস্বার্থ দ্বীনের দায়ী যিনি নিজের সম্মানের চেয়ে দ্বীনকে সর্বদা বড় করে দেখেছেন। লৌকিকতা যাকে কখনই স্পর্শ করেনি। দ্বীনের স্বার্থে যা করা দরকার, করতে কোনদিন
সংকোচবোধ করেননি।
সংকোচবোধ করেননি।
waz mahfil bangla 2020
এ ময়দানে আমাদের আজকের বীরত্বপূর্ন বিচরন উনাদের মত মুখলেস হযরাতের সারা যিন্দেগীর কুরবানীর ফসল। খুব বেশীদিন আগের কথা নয়. নর্মাল বাসে ট্রেনে সফর করে এসেছেন।
তাই বাতিলের মুকাবালায় কওমী অংগন হুজুরের ঋন কোনদিন শোধ করতে পারবনা।
তাই নির্ধিদ্বায় বলতে পারি. হুজুরের শানে যারাই বেয়াদবী আর অসম্মানজনক আচরন করছেন তাদের পরিনাম নিয়ে আমি অত্যন্ত সংকিত। দয়া করে নিজের আখের আন্জাম নিয়ে আল্লাহকে ভয় করেন।
কারন হুজুর কোন কথা বিদ্বেষমূলক বা অবাস্তব বলেননি।
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত পরিষদ নিয়ে হুজুর মনের এ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যা হুজুর আমাকে দেড় বছর আগেই বলছেন যে
"" উনারা ----- আমাকে সমস্ত উলামাদের বাতিল বিরোধী প্লাটফর্ম বলে এনেছেন। প্রথম প্রথম তাই দেখেছি।কিন্তু এখন তো দেখছি. এই ব্যানার নির্দিষ্ট এক দলের জন্য হয়েছে। আমি কেন দলের হয়ে কাজ করিনা। আমাকে যা বলল এর বিপরীত হচ্ছে"""।
এই কথাটি হয়ত হুজুর একটু শক্ত ভাষায় বলে ফেলেছেন।
কারন হুজুর কোন কথা বিদ্বেষমূলক বা অবাস্তব বলেননি।
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত পরিষদ নিয়ে হুজুর মনের এ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যা হুজুর আমাকে দেড় বছর আগেই বলছেন যে
"" উনারা ----- আমাকে সমস্ত উলামাদের বাতিল বিরোধী প্লাটফর্ম বলে এনেছেন। প্রথম প্রথম তাই দেখেছি।কিন্তু এখন তো দেখছি. এই ব্যানার নির্দিষ্ট এক দলের জন্য হয়েছে। আমি কেন দলের হয়ে কাজ করিনা। আমাকে যা বলল এর বিপরীত হচ্ছে"""।
এই কথাটি হয়ত হুজুর একটু শক্ত ভাষায় বলে ফেলেছেন।
অনেকে কাহারো পক্ষে সাফাই গাইছেন। একে তো হুজুর তো কাহারো নাম নেননি।
অন্যদিকে যাদের পক্ষে সাফাই গাইছেন তাদের বিষয়ে আমাদের হাতে দু এক বছরের অনেক স্পষ্ট প্রমানাদি আছে । ডাইরেক্ট কন্ট্রাক করা বা দাবী করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার।
এমনকি কসম করেও বলা যাবে।
অন্যদিকে যাদের পক্ষে সাফাই গাইছেন তাদের বিষয়ে আমাদের হাতে দু এক বছরের অনেক স্পষ্ট প্রমানাদি আছে । ডাইরেক্ট কন্ট্রাক করা বা দাবী করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার।
এমনকি কসম করেও বলা যাবে।
মাত্র দশদিন আগের ঘটনা ও আমাদের সামনে.
৬০ হাজার দেওয়ার পর ও মাধ্যমব্যক্তি ড্রাইভার ও সফরসংগীদের কথা বলে আয়োজকদের সাথে রাগারাগির পরও আরো বিশহাজার নিয়ে নিল।
৬০ হাজার দেওয়ার পর ও মাধ্যমব্যক্তি ড্রাইভার ও সফরসংগীদের কথা বলে আয়োজকদের সাথে রাগারাগির পরও আরো বিশহাজার নিয়ে নিল।
কত আফসোসের সাথে বলতে হয়. একজন চুক্তিবাদী সাহেব লিখলেন
"" আমাদের দ্বারা পাঁচ লাখ উঠে। একদেড় লাখ দিতে অসুবিধা কি? আমরা চাইতে হয়নি? । ""
দ্বীনি মেযাজের কি পরিমান অধপতন হলে এমন মানসিকতা হতে পারে? সে অনুভুতি ও হারিয়ে যাচ্ছে।
আমরা হয়ত দুনিয়াদার আর দ্বীনদার এর ব্যাখ্যাই পাল্টিয়ে দিচ্ছি।
"" আমাদের দ্বারা পাঁচ লাখ উঠে। একদেড় লাখ দিতে অসুবিধা কি? আমরা চাইতে হয়নি? । ""
দ্বীনি মেযাজের কি পরিমান অধপতন হলে এমন মানসিকতা হতে পারে? সে অনুভুতি ও হারিয়ে যাচ্ছে।
আমরা হয়ত দুনিয়াদার আর দ্বীনদার এর ব্যাখ্যাই পাল্টিয়ে দিচ্ছি।
আল্লাহ আমাদের মেযাজে শরীয়তের উপর আমল করার তাউফীক দিন এবং আজকের এ পরিস্হিতি থেকে উত্তোলনের সহজ রাস্তা বের করে দেন।