যেসব ভাইয়েরা ফেসবুকে ইসলামিক লেখালেখি করেন তাদের জন্য।

যেসব ভাইয়েরা ফেসবুকে ইসলামিক লেখালেখি করেন তাদের জন্য।


দুনিয়াবি কথা। কিছুটা আনাড়ি হতে পারে, কিন্তু মূল কথা বুঝতে পারলেই হবে।

ফেসবুক এর বিভিন্ন পেজ/ গ্রুপে অনেক ভাই ইদানিং লেখালেখি করেন।
মাশ আল্লাহ্‌ লেখেনও ভালো।
তাদের লেখা গুলো সব গুলোই ফেসবুক থাকে। সাজানো থাকেনা।

আমার কিছু আইডিয়া শেয়ার করতে চাচ্ছি এটা নিয়ে।

যারা লেখেন তারা লেখা গুলো ৫০০/ ১০০০ শব্দের বেশি হলে সেগুলো ব্লগে শেয়ার করেন।
Blogspot এ ফ্রি তে ব্লগ তৈরি করতে পারবেন। কিন্তু সব চেয়ে ভালো হয় বছরে ১ হাজার টাকা খরচ করে ডোমেন কিনে ব্লগ করলে। টেকনিক্যাল কাজ গুলো কঠিন না তেমন। 
টপ লেভেল  ডোমেন থাকলে গুগলে রেঙ্ক করতে সহজ হবে।

এখন আসি মূল কথায়।

ধরুন আপনি এক বছর ব্লগে লিখে গেছেন। আপনার মোট ব্লগ পোস্ট ৫০০+
এর মধ্যে ২০০ পোস্ট গুগলের টপ পেজে আছে।
এই ২০০ পোস্ট সব গুলো থেকে প্রতিদিন ১০ ভিউ হলেও ডেইলি পেজ ভিউ হবে ২ হাজার।
জাস্ট ১০ তা পেজ ভিউ হিসাব করে। আশা করা যায় এর থেকে বেশিই হবে।

প্রতিদিন মিনিমাম ২০০০ পেজ ভিউ হলে মাসে মিনিমাম ৫০ হাজার ভিউ তো থাকবেই।

এই লেখা গুলো মানুষ পড়তে পারছে ক্যাটাগরি ভিত্তিক । আবার আপনার লেখা আপনার ই থাকছে।
সাথে সাথে এখন যদি আপনি আপনার ব্লগে বিভিন্ন ইসলামিক লেখকদের লেখা নতুন পুরাতন বই এর এড দেন, মধু, কালোজিরা, অন্যান্য অনেক প্রোডাক্ট নিয়ে যেসব মুসলিম ভায়েরা হালাল বিজনেস এর চেষ্টা করছেন তাদের এড ব্লগে দেখাতে পারেন।

মাসে ৫০ হাজার পেজ ভিউ হিসাবে যদি এসব এড থেকে জাস্ট ১ হাজার টাকাও নেন তাও সেটা দিয়ে আপনি ২ টা ইসলামিক বই কিনতে পারবেন। কোন গরিব কে দান করতে পারবেন।

১ বছরের ডোমেন এর দাম ১০০০ টাকা ছাড়াও ১১ হাজার টাকা সাদকা করতে পারবেন ,বই কিনতে পারবেন।

একদম ফ্রি তে ফেসবুকে লেখা ছেড়ে বসে থাকার চেয়ে এটা ভালো না?

আমি যা হিসাব দিলাম তা মিনিমাম। হিসাব মূল না, মূল কথা হল আইডিয়াটা বুঝাতে পারা। বুঝতে পারলে হবে।

গুগলে রেঙ্ক করার জন্য  আপনাকে কিছু করতে হবে না।
আপনি যা লেখার তা একটু বিস্তারিত ভাবে লেখেন যাতে পোস্ট এ ১০০০+ শব্দ থাকে। আর পোস্ট করার আগে একটু keyword Research করে নিলেই হবে।
আমি আপনাদের SEO শিখতে বলছি না, শিখতে পারলে তো ভালো।
Keyword Resrch বলতে আহামরি কিছু করা লাগবে না এক্ষেত্রে,
আপনি বিয়ে নিয়ে লিখলে "বিয়ে" লিখে সার্চ দেন গুগলে, দেখবেন গুগল আপনাকে কিছু সার্চ ওয়ার্ড সাজেস্ট করছে ..........এগুলোই মানুষ সার্চ করে। আর আপনি আপনার লেখায় এই সার্চ করা শব্দ গুলর সাথে মিল রেখে কিছু লিখবেন।

উদাহরণ দেই,
বিয়ের কথা। বিয়ের দোয়া, দ্রুত বিয়ের আমল, সন্তান লাভের দোয়া ইত্যাদি অনেক কিছুই  আমরা  সার্চ করি। আপনি বিয়ে নিয়ে নাসিহাহ মূলক কিছু লিখলেন সাথে বিয়ের সাথে রিলেটেড অন্যান্য কথা গুলোও লিখবেন।

ইসলামিক বই রিভিউ লিখেন? সেটা ব্লগে পোস্ট করেন। 
দরকার হলে দুই তা বই এর রিভিউ লিখে এক পোস্ট করেন।

ফেসবুক আর ব্লগে ভিন্নতা কি?
ফেসবুক আপনার লেখা আপনার কন্টেন্ট দিয়ে সে একাই বিজনেস করছে, অথচ আপনি নিজেই হাল্কার উপর ঝাপ্সা বিজনেস করতে পারেন। বিজনেস করতে না চাইলে যেসব মুসলিম ভাই হালাল বিজনেসের চেষ্টা করছে তাদের প্রচারনা করে তাদের হেল্প করতে পারেন।
আর ব্লগে শেয়ার করার পর আপনি তো ফেসবুক এ শেয়ার করছেনই। যারা ফেসবুক এ পড়বে তারা পড়বে পড়ে অন্য বিভিন্ন সময়ে যারা গুগলে সার্চ করে তারাও পড়তে পারবে।
আপনার লিখতে পারার যোগ্যতা ফ্রি তে ফেসবুক এ দিলে শুধু পড়ায় হবে অথচ ব্লগে দিলে পড়া হবে, সাজানো থাকবে, সাথে সাথে বই কিনার ,সাদকা করার টাকাও পাবেন।
এতে লস তো নাই?


লেখা অগোছালো কিন্তু আশা করি যা বলতে চাইছি তা বুঝতে পারবেন। 
Next Post Previous Post