"কুরআনের আয়াতের" মানদন্ডে 10 minutes school এর জনৈক ঈমানচোর টিচার
"কুরআনের আয়াতের" মানদন্ডে 10 minutes school এর জনৈক ঈমানচোর টিচার।
এই পোস্ট শুধুমাত্র মুসলিমদের জন্য। মুরতাদ কিংবা মুনাফিকদের জ্বালা সৃষ্টি হলে ব্লগ দায়ি না।
- BanglaBookst
10 minutes school এর জনৈক ঈমানচোর টিচার বিদ্যানন্দ ইস্যুতে মুসলিমদের ধুয়ে পোস্ট করেন। সেই শয়তানি পোস্ট উল্লেখ করে তাকে "কুরআনের আয়াতের" মানদন্ডে বুঝার সামান্য চেষ্টা।
- Syed Ishaq Hossain
//আমাদের দেশে খুব সহজে বলে দেয়া যায়, এটা হিন্দুদের চক্রান্ত, এটা খ্রিষ্টানদের চক্রান্ত, এটা ইহুদীদের চক্রান্ত। সব ধর্মের লোক খালি ইসলামের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করতেসে। আর আমরা মুসলমানরা সবাই খুব ভালো। তা দেশে জেএমবি হইলো, হুরকাতুল জিহাদ হইলো, জামাতে ইসলাম হইলো। তখন তো কেউ বললো না এটা মুসলমানদের চক্রান্ত? তখন শুধু 'এই ইসলাম ইসলাম না'। কিন্তু ইস্কন কিছু করলে ঐটা ঠিকই হিন্দুদের চক্রান্ত।
খ্রিষ্টানদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা পাহাড়ের মানুষকে ভুলিয়ে ভালিয়ে খ্রিষ্টান বানিয়েছে। আমি ১০ বছর সেইন্ট যোসেফ হাইয়ার সেকেন্ডারি স্কুলে পড়েছি। খ্রিষ্টান মিশনারি স্কুল। ব্রাদারদের সাথে বন্ধুসুলভ সম্পর্ক ছিল। একজন ব্রাদারও একদিনও খেলার ছলেও গীর্জায় যেতে বলেন নাই। গীর্জা পাশেই ছিল। আমাকে একবার বললেই যাইতাম।
এইবার আমাদের কথায় আসি। প্রায়শই জুম্মার নামাজ শেষে খেয়াল করবেন কোন ভাই নতুন মুসলিম হয়েছে, আমাদের সাথে তাকে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। কই, তখন তো কেউ বলে না, ভুলিয়ে ভালিয়ে মুসলমান বানানো হচ্ছে। আমরা ৪০ দিনের চিল্লায় যাই মানুষকে দ্বীনের দাওয়াত দিতে। আমরা করলে দাওয়াত, আর খ্রিষ্টানরা করলে চক্রান্ত? পাহাড়ে জোড় করে খ্রিষ্টান বানানো হয়, আর অটোমানরা মানুষকে সুইট করে বলতো, আর মানুষরা মুসলমান হয়ে যেতো তাই না?//
➤“তোমরা তোমাদের সবচেয়ে বড় শত্রু হিসেবে পাবে প্রথমতঃ ইহুদীদেরকে অতঃপর মুশরিকদেরকে।”
(সূরা মায়িদা:৮২)
➤“হে ঈমানদারগণ! তোমরা ইহুদী ও খ্রিস্টানদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করো না। তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত হবে।”
(সূরা মায়িদা:৫১)
➤হে ঈমানদারগণ! তোমরা মু’মিন ব্যতীত অন্য কাউকে অন্তরঙ্গ বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, তারা তোমাদের ক্ষতিসাধনে কোনো ক্রটি করে না-তোমরা কষ্টে থাকো, তাতেই তাদের আনন্দ।
(সূরা আল ইমরান:১১৮)
➤(হে ঈমানদারগণ) দেখো, তোমরাই তাদের ভালোবাস, তারা (কাফিররা) কিন্তু তোমাদের প্রতি মোটেও সদভাব পোষণ করে না। (সূরা আল ইমরান:১১৯)
//মিথ্যাবাদী কিছু নামধারী হুজুরকে কল আউট করে ভিডিও বানিয়েছি বলে আমাকে বিভিন্ন জায়গায় নাস্তিক ট্যাগ দেয়া হচ্ছে। অনেকে জিজ্ঞেস করছে ৯0% মুসলমানের দেশে আমি এসব কথা কোন সাহসে বলি। হায়রে অসভ্য, এই দেশ একসময় ৭০% মুসলমানের দেশ ছিল। তোর মতো অসভ্যরা ঐ ২0% ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের তাড়ায়ে দেশটাকে ৯০% মুসলমানের দেশ বানাইসে।//
➤যে বিষয়ে তোমার কোন জ্ঞান নেই, তার পিছনে পড়ো না। নিশ্চয় কান, চক্ষু ও অন্তঃকরণ এদের প্রত্যেকটিই জিজ্ঞাসিত হবে।
(সূরা বনী ইসরাঈল:৩৬)
//আজকে বিদ্যানন্দের প্রধানকে হিন্দু বলে সরে দাড়াইতে হইসে। খবরটা কোনভাবেই হজম করতে পারতেসি না। এগুলা লিখলে বিপদে পড়তে হয়। সবাই নাস্তিক মনে করে। আর কারো কাছে আস্তিকতা প্রমান করার রুচি হচ্ছে না। কিন্তু দেশ, দেশের মানুষ যে একদম পচে যাচ্ছে এটা ঠিক বুঝতে পারছি।//
➤হে মুমিনগণ! কোনো ফাসেক যদি তোমাদের কাছে কোনো সংবাদ নিয়ে আসে, তবে ভালোভাবে যাচাই করে দেখবে, যাতে তোমরা অজ্ঞতাবশত কোনো সম্প্রদায়ের ক্ষতি করে না বস। ফলে নিজেদের কৃতকর্মের কারণে তোমাদেরকে অনুতপ্ত হতে হয়।
(সূরা হুজুরাত:৬)