সৌদি আরবের শাসকদের অধঃপতন এবং নতুন সূর্যের আশা।

  অনেকেই ভাবে, তার কাছে একটা দামি মোবাইল থাকলে অনেক সুন্দর ছবি তুলতো! এটা আসলে ভুল চিন্তা। অনেকের কাছেই সবচে দামি ফোন আছে এমনকি সেরা ক্যামেরাফোনও আছে। কেউ কেউ আইফোন ১৩ আর ১৩ প্রো ম্যাক্সও ব্যবহার করে। অধিকাংশ দামি ফোন ব্যবহারকারী বাস্তবে সুন্দর ছবি বা সেরা ছবি উঠাতে পারে না। কারণ ছবি তোলার দক্ষতা এক জিনিস, দামি ফোন থাকা ভিন্ন জিনিস।

কারো কাছে ২০-৩০ বাজেটের ফোন আছে, ক্যামরার সেন্সরও তেমন আহামরি না কিন্তু সে দামি ফোনবহনকারী, সেরা ক্যামেরাফোনের মালিকের চাইতে বহুত বহুত সেরা ছবি তুলছে। কারণ তার ছবি তোলায় দক্ষতা আছে। সে ছবি নির্ধারণ করতে জানে, কোন ছবিটা ভালো আসবে সে তোলার আগেই জানে। সে আলোর ব্যাপার জানে, সে ঠিক কীভাবে মোবাইলটা ধরতে হবে সেটা জানে, কোন উচ্চতায় রাখতে হবে তা জানে। সবচে বড় কথা, তোলার পর ভালো এপসে ছবিটা প্রসেসিং বা ঘষামাজার কাজটাও সে জানে।

সুতরাং সে লাখটাকা দামের সেরা ক্যামেরাফোনের চাইতেও সুন্দর ছবি উঠাচ্ছে। অপরদিকে আইফোন ১৩ প্রোর মালিকের এসব দক্ষতা নাই, সে তুলছে শাওমির ১৫ হাজার টাকা দামের ফোনের ক্যামেরার ছবি।
অনেকে ভাবে, তার কাছে ব্যাপক অস্ত্রশস্ত্র থাকলে ফাটাই ফেলতো, অনেক কিছু কায়েম করে ফেলতো। এটাও দামি ক্যামেরা থাকলে ভালো ছবি তুলতাম, এর মত ভুল চিন্তা।

দেখেন, সৌদির কাছে সেরা অস্ত্রশস্ত্র আছে। তাদের প্রতিরক্ষা বাজেটও বিশ্বে সেরা। কিন্তু সেরা বাজেটের সৌদি নগ্নপদ, ভুখা, দরিদ্র ইয়েমেনি হুথিদের আজো দমন করতে পারে নাই বরং কিছুদিন পরপর সৌদির সেরা সিকিউরিটির আরামকোর তেলক্ষেত্র বা বিমানবন্দরে হুথিদের ছোড়া কমদামি রকেট, ভাঙ্গা ড্রোনে আলে সৌদের খবর হয়ে যাচ্ছে।

এখানে আলে সৌদ হলো আনাড়ি আইফোন ব্যবহারকারী, যে লাখটাকা দামের সেরা ফোন দিয়ে ১৫ হাজারের সাধারণ ফোনের মানের ছবি তুলছে।
অথচ এই হুথিদের অল্পতেই দমন করেছিলো ইয়েমেনের একিউ। কারণ কী? দক্ষতা। দক্ষতা থাকলে স্বল্প রসদের সেরা ব্যবহার করে সর্বোচ্চ ফলাফল আনা সম্ভব। দক্ষতা না থাকলে সেরা রসদের ভুল ব্যবহারে কাছাকাছি ফলাফলও বের করা যাবে না। আলে সৌদের মত বছরের পর বছর বেকুবের মত মার খেতে হবে।

নবি সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কায় একপ্রকার রসদবিহীন ছিলেন, উপকরণ বলতে গেলে ছিলোই না। কিন্তু উনার চারপাশে সম্ভাব্য দক্ষ জনবল ছিলো। তিনি এর সর্বোচ্চ ব্যবহার করেছেন। জনবল সংগ্রহ করেছেন সর্বোচ্চ এবং এঁদের সর্বোচ্চ মনস্তাত্ত্বিক প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। জাতি এবং পরিবেশগত কারণে ময়দানের দক্ষতা উনাদের ছিলোই।


ফলাফলে অনুকূল ভূমিতে স্থানান্তর হয়ে সেরা ফলাফল আনতে হযরত সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খুব সময় লাগে নাই। যেহেতু শারীরিক দক্ষতা জন্ম এবং পরিবেশগতভাবে ছিলো এবং প্রতিকূল ভূমিতে অবস্থানকালীন মনস্তাত্ত্বিক বা আত্মিক দক্ষতার চরম প্রশিক্ষণ দিয়ে একেকজন সাহাবিকে জ্বলন্ত বারুদ বানিয়ে রেখেছিলেন তাই মদীনায় হিজরতের পর একদম সশস্ত্র হওয়া ছাড়াই সম্মুখ সমরে অভাবনীয় সাফল্য লাভ করেছিলেন, শীর্ষে যেতে সময় লাগে নাই। প্রথম বড় যুদ্ধ বদরে মুসলিম বাহিনীর সংখ্যা আর অস্ত্রশস্ত্রের অপ্রতুলতা সত্বেও জনবলের সর্বোচ্চ ব্যবহারিক দক্ষতার কারণে বিজয় লাভের উদাহরণ তো সম্মুখেই। বাহিনী যখন নিজ সীমাবদ্ধতার মাঝেই সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিবে, আল্লাহর সাহায্যও সহজে লাভ হবে।

আমাদের মানসিক অবস্থাও দামি ফোনে ভালো ছবি তোলার মানসিকতার। অর্থাৎ যখন দামি ফোন পাবো তখন সেরা ছবি তুলে চমকে দিবো। ভাই, যা আছে তারই সর্বোচ্চ ব্যবহার করি, দক্ষতা অর্জন করি এবং মক্কার মত দক্ষ জনবলের মাঝে মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব বিস্তার করি, জনবল প্রস্তুত করি।

যখনই মদীনার মত অনুকূল পরিবেশ আসবে, সস্তা শাওমি ফোনের দক্ষ ক্লিকের মত স্বল্প অস্ত্রেও দক্ষ জনবল দিয়ে বদর কায়েম হয়ে যাবে, ইনশা-আল্লহ।
- মোল্লা নিজাম

আমিও কিছু কথা যুক্ত করতে চাই।
১। আফগানের আমেরিকার পুতুল বাহিনি যেমন ৭দিনের মধ্যে পরাজয় স্বীকার করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে সৌদি আরবের সৌদ পরিবারের পুতুল বাহিনি এরচেয়ে দ্রুত পালাবে যদি আমেরিকা এদের ছেড়ে চলে আসে।

অনেকে বলবেন আমেরিকা সৌদিকে ছাড়বে না, তেল লাগবে এটা সেটা।
ভাই শুনেন আরবের তেল ফুরিয়ে যাচ্ছে দেখেই খবিশ গুলো নগ্ন নর্তকী বিজনেস করে অর্থনীতি চাঙ্গা রাখার পলিসি গ্রহন করছে।

আর আমেরিকা স্বার্থ দেখে, বন্ধুত্ব না। আমেরিকা সৌদির রাজ পরিবার কে জাস্ট ইউজ করার পুতুল হিসাবেই ইউজ করে, কোন এলাই হিসাবে না। সৌদি কে যেকোনো সময় ডাস্টবিনে ফেলে দিতে মার্কিন সরকার ২য় বার ভাববে না।

২। সৌদি রাজ পরিবার সম্পূর্ণ ভাবে আমেরিকা নির্ভর। আলে সঊদ পরিবার নিজ দেশের সেনাবাহিনি ও জনগন কে বিশ্বাস করতে পারে না এর ফলে সেনাবিহিনিকে শক্তিশালীও করতে দেয় না। বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার দিয়ে দামি দামি অস্র কিনে ঠিকি কিন্তু সেই অস্র পরিচালনার কাজে ঐ আমেরিকান জনবল কেই নিয়োগ দেওয়া হয়। সৌদি আর্মি কে না।
যার কারনে আমেরিকা আজকে গেলে কালকে সৌদি বাহিনি পালাবে ইনশা আল্লাহ্‌।
পেট মোটা অলস একটা বাহিনি তৈরি করে রাখছে যাতে সেনাবিহিনি কখনো সউদ পরিবারের জন্য হুমকি হতে না পারে।

আমার কথা গুলো বিলিভ না হলে ইন্টারন্যাশনাল স্ট্রাটেজি/ পলিসি মেকার এনালাইসিস/ গ্লোবাল থিঙ্ক ট্যাঙ্ক গুলোর বিশ্লেষণ পড়তে পারেন।

ইউটিউবে কিছু চ্যাংড়া পোলাপাইন এর বানানো ভিডিও দেখে কোন দেশের সামরিক বাহিনি, রাজনীতি বুঝলে বিশাল ভুল করবেন।
- Sabbir Hasan

Next Post Previous Post