রাসুল সা. এর অপমানকারিদের শাস্তির কিছু ঘটনা - জ্বীনেরাও শাতিমে রাসুল সা. -এর অস্তিত্ব তাদের মাঝে সহ্য করতে পারেনা

 রাসুল সা. এর অপমানকারিদের শাস্তির কিছু ঘটনা - জ্বীনেরাও শাতিমে রাসুল সা. -এর অস্তিত্ব তাদের মাঝে সহ্য করতে পারেনা


জ্বীনেরাও শাতিমে রাসুল সা. -এর অস্তিত্ব তাদের মাঝে সহ্য করতে পারেনা! 
- Gazi Md Tanzil
তাদের কেউ কলিজার টুকরা রাসুল সা. -এর অবমাননা করলে সেই অভিশপ্ত জ্বীনটাকে খতম করে ছাড়ে! কী অবাক হচ্ছেন?! অবাক হওয়ার কিছুই নেই। এরকমই একটা ঘঠনা উল্লেখ করেছেন শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রাহ.।
.
যেসকল জ্বীন রাসুল সা. -এর উপর ঈমান এনেছিলো, তাঁরা যে কাফের জ্বীন রাসুল সা. -কে গালি দিতো বা অবমাননা করতো, তাকে ধরে হত্যা করে ফেলতো। অত:পর তা রাসুল সা. -কে অবহিত করতো। রাসুল সা. শুনে ইহা সমর্থন করতেন ও জ্বীনদের কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করতেন।

.
রাসুল সা. -এর যুদ্ধ-বিগ্রহ বিশারদগন বলেন, আরবের 'জাবালে আবী ক্বুবাইস' নামক পাহাড়ের উপর একজন অদৃশ্য চিৎকারকারী চিৎকার করে রাসুল সা.- এর শানে অবমানকর একটি কবিতা আবৃত্তি করলো। তিনদিন অতিবাহিত হতে না হতেই সেই একই পাহাড় থেকে আরেকজন অদৃশ্য চিৎকারকারী চিৎকার করে একটি কবিতা আবৃত্তি করলো-
তিনদিনেই 'মিসআর'র ভবলীলা সাঙ্গ করে নিলাম আমরা,
সত্যের করেছে সে অবমাননা, প্রচলন ঘঠিয়েছে নোংরা।
একেবারে তাকে চুপ করিয়ে দিলো নাঙা ধারালো তলোয়ার,
কারণ, মানহানি করেছে সে মোদের পবিত্র নবীর- টুকরা কলিজার।
মিসআর হলো রাসুল সা. এর মানহানিকারী সেই জ্বীনের নাম।
.
সূত্র- (আস-সারিমুল মাসলুল আলা শাতিমির রাসূল, পৃষ্টা-১৩৪। শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়া রাহ.)

রেনল্ডকে শিক্ষা দেয়ার অপেক্ষায়  সুলতান সালাহুদ্দিন আইয়ুবী
ইমরান রাইহান
৪ জুলাই, ১১৮৭ খ্রিস্টাব্দ।
হিত্তিনের যুদ্ধ শেষ হয়েছে। বিজয়ী মুসলিম বাহিনী দখল করে নিয়েছে গাই অব লুসিগনানের তাঁবু। বন্দী হয়েছে গাই অব লুসিগনান, শ্যাটিলনের রেনল্ড, পঞ্চম উইলিয়াম, গেরার্ড ডি রাইডফোর্ট, চতুর্থ হামফ্রি, ব্রাইটনের প্লিভেইনসহ উল্লেখযোগ্য ক্রুসেডার নেতারা। তাদেরকে নিয়ে আসা হয়েছে সুলতান সালাহুদ্দিন আইয়ুবীর সামনে। ক্রুসেডারদের চেহারা ক্লান্ত, বিধবস্ত। গাই অব লুসিগনান পিপাসায় ছটফট করছেন।
সুলতানের নির্দেশে বরফমিশ্রিত পানি এনে দেয়া হল তাঁকে। নিজে পানি পান করে রেনল্ডের দিকে পাত্র এগিয়ে দিলেন গাই। এ দৃশ্য দেখে সুলতান রেগে গেলেন। তিনি দোভাষীকে বললেন, গাইকে বলো, রেনল্ডকে সে পানি দিয়েছে, আমি পানি দেইনি।
সুলতানের ইঙ্গিত ছিল পরিষ্কার। আরবরা কোনো বন্দিকে পানি পান করানোর অর্থ ছিল, তাঁকে জীবনের নিরাপত্তা দেয়া। সুলতান রেনল্ডকে পানি পান করতে না দেয়ার অর্থ ছিল তিনি রেনল্ডকে জীবনের নিরাপত্তা দিচ্ছেন না।
-
রেনল্ডকে জীবনের নিরাপত্তা না দেয়ায় নানা কারণ ছিল । ৫৭৭ হিজরিতে মদীনায় হামলা করতে চেয়েছিল। সে সময় সুলতান আইয়ুবী একটি বাহিনী প্রেরণ করে তাঁকে আটকে দেন। ৫৮২ হিজরিতে সন্ধি থাকা অবস্থায় সে একটি মুসলিম কাফেলাকে আক্রমণ করে। অনেক মুসলমানকে হত্যা করে। সে সময় সে বিদ্রুপের সাথে বলেছিল, মুহাম্মদ কেন তোমাদের উদ্ধার করছে না।
তার এই উক্তি সুলতান সালাহুদ্দিনের কানে পৌঁছেছিল। সেদিন থেকেই তিনি রেনল্ডকে শিক্ষা দেয়ার অপেক্ষায় ছিলেন।
-
‘তুমি অনেকবার শপথ ভেঙ্গেছ। কোনো চুক্তির প্রতি তুমি সম্মান দেখাওনি। কেন এমন করলে?’ রেনল্ডকে জিজ্ঞেস করলেন সুলতান।
‘এটা রাজাদের অভ্যাস। আমি শুধু তাদের পথই অনুসরণ করেছি’ জবাব দিল রেনল্ড।
‘তুমি বলেছিলে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কেন মুসলমানদের উদ্ধার করতে আসছেন না। এখন দেখ, আমি নবিজির পক্ষ থেকে এসেছি’ গম্ভীর কন্ঠে বললেন সুলতান। রেনল্ড চুপ রইলো। সুলতান তাঁকে ইসলাম গ্রহণের আহ্বান জানান। রেনল্ড অসম্মতি জানালে সুলতান এগিয়ে এসে তার ঘাড় ও কাঁধের মাঝখানে তরবারি বসিয়ে দেন। (১)
সূত্র
-------------
১। আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ১৬/৫৮২। আর রওযাতাইন ফি আখবারিদ দাওলাতাইন, ৩/৩১৩।
Next Post Previous Post