Noyon chatterjee - ভারতের পুরাতন দখলদারিত্বের নতুন ভার্ষণের নাম "ISKCON" - Analysis From Noyon chatterjee 5

ভারতের পুরাতন দখলদারিত্বের নতুন ভার্ষণের নাম "ISKCON"




বর্তমানে বাংলাদেশে এই নামটি বেশি শোনা যাচ্ছে,আর তাদের কর্ম দক্ষতাও বেশ ভালই দেখা যাচ্ছে,আমরা অনেকেই ISKCON নামটি শুনেছি কিন্তু তাদের উদ্দেশ্য হয়ত অনেকেই জানি না,, 



১।
আসুন ISKCON নামক বাঙালীর যমদূত সম্পর্কে কিছুটা অবগত হই,,,,,
গভীর এক ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে বাঙালির হাজার বছরের সামপ্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করে দিয়ে তারপরে এ দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করবার পর বাংলাদেশকে দখল করা ISKCON তথা ভারতের এখন মূল উদ্দেশ্য।
"ISKCON " পুরো অর্থ হলো Elaboration International society for Krishna conciseness
(ইলাবোরেশন ইন্টারনেশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনসাসনেছ)
সংস্কৃত ভাষায় সংগঠনটির স্লোগান হল নির্যবন করো আজি সকল ভূবন।
বাংলায় যার অর্থ দাড়ায়-
" সারা পৃথিবীকে করো মুসলমান মুক্ত"।।।
ISKCON এর প্রধান কার্যালয় ভারতের নদীয়া জেলার মায়াপুরে হলেও এটি ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইওর্কে।১৯৬৬ সালে ‘অভয়চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ’।চরমপন্থি এই সংঘঠনটির প্রতিষ্ঠাতা একজন হিন্দু ধর্মালম্বি হলেও জানা যায় তিনি অন্য একটি ধর্ম ধারা প্রভাভিত ছিলেন।স্বামী প্রভুপাদ নতুন ধরনের হিন্দু সংগঠন চালু করতেই প্রথমেই তাতে বাধা দিয়েছিলো মূল ধারার স্বনাতন হিন্দুরা। অধিকাংশ হিন্দুই তার বিরুদ্ধচারণ শুরু করে। কিন্তু সেই সময় স্বামী প্রভুপাদের পাশে এসে দাড়ায় জে. স্টিলসন জুডা, হারভে কক্স, ল্যারি শিন ও টমাস হপকিন্স-এর মত চিহ্নিত ইহুদী-খ্রিস্টান এজেন্টরা।
ইসকন একটি উগ্র সাম্প্রদায়িক সংগঠন।বর্তমানে ইসকন চালায় ইহুদীরা।।




বাবরি মসজিদ ভাঙ্গার আইনত স্বীকৃতি দিল ভারত।



"ঘুমাও মুসলিম জাতি
এখনো অনেক রাত, ভোর হতে ঢের বাকি"
বাবরি মসজিদ ভাঙ্গার আইনত স্বীকৃতি দিল ভারত।

মসজিদের জায়গায় নির্মান করবে রাম-মন্দির।ভারতের বর্তমান ক্ষমতাসীন বিজেপি,বিশ্ব হিন্দু পরিষদ,আরএসএস,বজরং দল সহ উগ্রপন্থী হিন্দুরা ১৯৯২ সালের ৬ ই ডিসেম্বর রাতে মসজিদটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

এইতো সেদিন ১৯৯২ সালের দাঙ্গায় ২০০০ লোক মারা যায়,যাদের বেশীরভাগ ছিলো মুসলিম।এরপর ২০০২ সালে গুজরাটের গোধরা স্টেশানে দাড়ানো রেলগাড়ী সবোরমতি এক্সপ্রেসে আগুন লেগে কয়েকজন তীর্থযাত্রী আরএসএস ক্যাডার নিহত হলে,সমগ্র গুজরাটে মুসলিম নিধন শুরু করে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তৎকালে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রত্যক্ষ ইন্দন ও সমর্থনে মুসলিমদের উপর গণহত্যা চালায়।ঐ গণহত্যায় ৫০০০ মুসলিমদের হত্যা করে উগ্র হিন্দুরা।
এসব কিছু হচ্ছে ভারতে তাতে আমাদের কি? আমরা তো এই বেশ ভাল আছি।
হে আল্লাহ! এই জালিমদের হাত থেকে তোমার ঘর তুমিই রক্ষা করো যেমন করেছিলে আবাবিল দিয়ে খানায়ে কাবা।"

-Rakib Mir




২।
বাংলাদেশে ISKCON এর প্রধান কার্যলয় ঢাকার স্বামীবাগে।সংগঠনটি মুলত এনজিও এর মত। এরা প্রথমে নিম্নবর্ণের হিন্দুদের দলে ভিড়িয়ে দল ভারি করে। এ কারণে তাদের আস্তানাগুলো হয় নিম্নবর্ণের হিন্দুদের আস্তানার পাশে। যেমন ঢাকা স্বামীবাগে রয়েছে বিশাল মেথর পট্টি। এই মেথর পট্টির নিচুবর্ণের হিন্দুদের নিয়ে তারা দল ভারি করে। সিলেটেও দরিদ্র চা শ্রমিকদের ঘিড়েও তাদের রয়েছে একটি শক্তিশালি ঘাটি। এদেরকে দলে নিয়ে সহজে কাজ করে তারা।।মুলত বেশ কিছু ভয়ংকর টার্গেট নিয়ে তারা এগুচ্ছে। তাদের চক্রান্তের বাস্তবায়ন শেষ পর্যায় রয়েছে।
ইসকন বাংলাদেশে বিলিয়ন ডলারের মেগা প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করছে।প্রাথমিক পর্যায়ে হিন্দুদের ছোট জাত গুলো টানলেও পরের ধাপে কাজ শুরু করে উপর লেভেলে থাকা হিন্দুদের নিয়ে।সরকারি-বেসরকারি উপরের লেভেলের হিন্দুদের তারা টার্গেট করে ইসকনের সাথে যুক্ত করেন।
ইসকন এই সব কর্মকর্তাদের কাছে প্রথমে যে প্রস্তাব পত্র নিয়ে যায় তা ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের একজন কর্মকর্তার পকেট থেকে ভুলবশত পড়ে যায়। সেখান থেকেই দেখা যায়,সেই পত্রটির প্রতিটি লাইন মুসলমানদের জন্য ভবিষ্যতের দুর্দিনস্বরুপ।.....তার কিছু লাইন আমি তুলে ধরছি।,,,,,,
"ইসকন আপনাদের চাকরি পদোন্নতির জন্য যেখানে যা প্রয়োজন তাই করবে,বিনিময় আপনারা ইসকনের জন্য মানে মায়ের জন্য কাজ করবেন।
বিভিন্ন জায়গায় আমাদের জমি-জায়গাসহ অনেক সমস্যায় আছি,সেখানে আমাদের প্রশাসনিক সহায়তা প্রয়োজন।
প্রভু শুরেন্দ্রর মাধ্যমে আদালতে আমাদের যথেষ্ট প্রভাব হয়েছে(এই শুরেন্দ্র বলতে সাবেক বিচারপতি শুরেন্দ্রকুমার সিনহার কথা বলা হয়েছে কারন ইসকনে সবাই সবাইকে প্রভু সম্বোধন করে)তবে প্রশাসনে এখনো নাজুকতা কাটেনি, আপনাদের কৃপায় মায়ের ইচছায় নাজুকতা কাটবে।
ইসকনের সাথে কাজ করার ফলে আপনাদের স্কেল অনুযায়ী মাসে ৬০% বাড়তি বেতন পবেন। যা আমাদের চুক্তিতে আবদ্ধ হওয়ার পরের মাস থেকেই পাবেন।
চুক্তির অন্যতম শর্ত এই বিষয়টি কোন মুসলমানকে জানানো যাবে না।কারন জগতে তারাই আমাদের একমাত্র শক্রু
তাদের কারনেই আমাদের ধর্ম আজ হুমকির মুখে।আমরা প্রথমে কিছুটা নমনীয় ভাবে মুসলমানদেরকে ভগমানের স্বর্গীয় বানী শুনাব।ধীরে ধীরে কঠোর হতে থাকব অবাধ্য লোকজনের প্রতি।
প্রস্তাব পত্রটি হাতে পাওয়ার তিন দিনের মধ্যে পত্রবাহকের সাথে যোগাযোগ করবেন, প্রভুর সিদ্ধান্ত জানার অপেক্ষায় থাকব।"
গোপনপ্রচার পত্রের সাথে বাস্তবের অবস্থা মিলে যাচ্ছে ,,, ২০২১ সাল থেকে বাংলাদেশে ইসকনের শোডাউন দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু এখনি তারা সিলেটে জুলুম করা শুরু করেছে।অনেকেই তা নিউজে দেখেছেন,,,,,
চট্রগ্রাম সহ বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষার্থীদের হিজাব পরতে বাধা দিচ্ছে এই ইসকন পন্থী শিক্ষকেরা।লজ্জার বিষয় যে,, মুসলমানদের এই দেশে হিজাব পরতে আদালত পর্যন্ত যেতে হচ্ছে।
এই সব ইসকন পন্থী শিক্ষকদের সহযোগীতায় এই সংসংগঠনটির খাবার খাইয়ে বিভিন্ন স্কুলের বাচ্চাদের দিয়ে বলাচ্ছে 'হরিকৃষ্ণ হরিবল'
কিছুদিন আগে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে একটি মসজিদে।।।।
এমন আরো অনেক কার্যকলাপ শুরু করে দিয়েছে এই সংগঠনটি,,আর হা আমাদের হাসিনা আন্টি ও কিন্তু এই সংগঠনটিকে সহযোগিতা করে,নয়ত তাদের এত দ্রুত এত এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হতোনা।।
এখনও কি ঘুমিয়ে থাকবে মুসলিম???নাকি নিজেদের দল নিয়েই মেতে থাকবে?Facebook অন করলেই দেখা যাবে এক দল অপর দলকে নিন্দা করছে,, কে কার কোন দোষ-ক্রটি আছে, সেটা নিয়ে পরে থাকার সময় এখন নয়।।চরমোনাই,ছারছিনা,জামাত শিবির,তাবলিগ যে যাই করুন না কেন? তাতে কি হয়েছে?তাই বলে কি সবার পরিচয় ভিন্ন হয়ে যাবে নাকি??কখনই না,,,আমাদের একটাই পরিচয়,আমরা সবাই মুসলমান।ওরা কিন্তু কে কোন দল করে তা দেখে মারবেনা,মুসলিম হিসেবেই মারবে ।।সবার সোচ্চার হওয়া উচিত এখনি,,,,কারনএই বিষ এখনো পুরোপুরি গ্রাস করতে পারেনি বাংলাদেশকে, যদি মুসলিম জাগ্রত না হয় তবে সেই বিষের দংশন থেকে বাচার রাস্তা বন্ধ হয়ে যাবে।
সময় থাকতে জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরি রূপে জেগে উঠ মুসলিম।।।

---

হলে র‌্যাগিং করে শিবির বলে আর পুলিশ ধরে নিয়ে যায় জঙ্গী বলে

বুয়েটে এক ছাত্রের ভাষ্যমতে, বুয়েটের রাজনৈতিক ক্ষমতাধরদের মধ্যে একটি টিম ছিলো।
এরা সবাই হিন্দু না, কিন্তু হিন্দুবাদী।
যেমন আমরা একটা শব্দ ব্যবহার করি ‘ইহুদীবাদী’,
সব ইহুদীবাদী কিন্তু ইহুদী ধর্মাবলম্বী না, এই ইহুদীবাদীর মধ্যে খ্রিস্টান, ড্রুজ, হিন্দু, মুসলিম সবাই আছে।
এই ইহুদীবাদীরা ইহুদীদের ক্ষমতায়নের পক্ষে আকাঙ্খিত এবং বাকিদের ধ্বংস চায়।

একইভাবে সব হিন্দুবাদী হিন্দু ধর্ম থেকে আগত নয়।
এরা শুধু হিন্দু পক্ষের ক্ষমতা চায়, বাকিদের পিটিয়ে সাইজ করে।
বুয়েটে- এই হিন্দুবাদীদের অধিকাংশ মুসলিম ঘর থেকে আসা, কিন্তু তাদের ভেতরে দুই-একটা হিন্দু থাকে, তারাই তাদের মন-মগজ কন্ট্রোল করে। এই সব হিন্দুবাদীদের পূজা-মদ নিয়মিত সঙ্গী।
যাই হোক- বুয়েটে এদের একটা টিম থাকে,
যদি কোন ছাত্র ইসলামের পক্ষে লিখে বা মুসলমানদের পূজায় যেতে নিষেধ করে, প্রসাদ খেতে নিষেধ করে। কিংবা ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ফেসবুকে লিখে, তাদের মনিটরিং করা হয়। এরপর তাদের সিস্টেম বুঝে র‌্যাগিং এর নামে মাইর দেয়। এই মাইর দেয়াটা কখন হয়- সিনিয়রকে সালাম না দেয়ার নাম করে, কখনও হয় কোন অনুষ্ঠানে চাদা না দেয়ার নাম করে, কখনও বা শিবির সংশ্লিষ্টতার অজুহাতে। কিন্তু মূল কারণ হলো- ইসলামের পক্ষে কাজ করা এবং অমুসলিম ধর্ম পালন করতে মুসলমানদের বাধা দেয়া।
এটাতো গেলে বুয়েটে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের আন্ডারে টিম।
কথা হলো- সরকার যে সব প্রতিষ্ঠান তৈরী করেছে, আইন শৃঙ্লখার নিয়ন্ত্রণের নাম দিয়ে,
তাদের মধ্যে কি এ ধরনের টিম নাই ?
যারা মনিটরিং করতেছে- সে ফেসবুকে কি লিখে ?
কে ইসলামের পক্ষে লিখছে, কে অমুসলিমদের ধর্ম পালন করতে মুসলমানদের নিষেধ করছে কিংবা কে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লিখছে। সাথে সাথে তাকে আনসার আল ইসলাম, জেএমবি বলে ধরছে, কখন ক্রশফায়ার দিচ্ছে, কখনও বা সাদা পোষাকে তুলে পিটিয়ে স্বীকারক্তি নিচ্ছে- “আর কখনও এমন করবি না”।
আবরারকে পিটিয়ে তারপর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করতে চেয়েছিলো অমিত গংরা।
কারণ তারা জানতো- পুলিশের কাছে গেলে বিষয়টি লিগ্যাল হয়ে যাবে।
পুলিশের কাছে যেতে পারলে আবরার হয়ত হয়ে যেতে পারতো বড় জঙ্গী।
খবরে আসতো- বুয়েটে আনসার আল ইসলাম বা জেএমবি সদস্য আটক।
কে খবর নিতে যাইতো আবরার আনসার আল ইসলমান বা জেএমবি সদস্য কি না ?
বরং যে নিতে যাবে, সেই জঙ্গী ট্যাগ খেতো।
কিন্তু পুলিশের কাছে যাওয়ার আগেই আবরার মারা যাওয়ায় তাদের জঙ্গী জঙ্গী নাটক বাস্তবায়ন হয়নি।
কথা হলো-
দেশে এমন একটি চক্র বা সিন্ডিকেট সক্রিয়, যারা ইসলাম বা মুসলমানদের এভাবে নিয়মিত হ্যারাজমেন্ট করে যাচ্ছে,
সেটা হলে র‌্যাগিং এর নামে হোক কিংবা পুলিশে জঙ্গী দমনের নামে হোক।
তারা যাদেরকে প্রতিপক্ষ ভাবছে, তাদের নিয়মিত এভাবে দমন করে যাচ্ছে,
এবং সে জন্য তারা বিভিন্ন সেক্টরে একটি নিয়মিত সিস্টেমও দাড় করিয়েছে।
ভারতে এটা অবশ্য নিয়মিত হয়-
যেসব মুসলিম যুবককে তারা শিক্ষিত হতে দেখে কিংবা তাদের প্রতিপক্ষ হতে পারে এমন ধারণা করে,
তাদের নিয়মিত লিস্ট করে এনকাউন্টার দেয় অথবা মিথ্যা মামলায় ফাসিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে দেয়।
কথা হলো-
ভারতে মোদি ক্ষমতায় আসার পর উগ্র আরএসএস প্রভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে,
যা তাদের বর্ডার ছাড়িয়ে বাংলাদেশের আসছে।
স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে- বাংলাদেশে হিন্দু জঙ্গীবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কিন্তু দুঃখের বিষয় পুলিশের চোখে কখন হিন্দু জঙ্গীবাদ চোখে পড়ে না।
আবরারের হত্যা পর অমিতের স্বীকারক্তি নিয়ে আরো কয়েকটা হিন্দু জঙ্গীকে গ্রেফতার করার কথা ছিলো।
কিন্তু আশ্চর্যজনক, পুলিশ হঠাৎ করে আনসার আল ইসলাম আর জেএমবি পাওয়া বাড়িয়ে দিয়েছে।
মানুষ এখন এগুলো ধিরে ধিরে বুঝতে শিখেছে।
এখন ছাত্রলীগের বিষয়টি ফাঁস হচ্ছে, কয়েকদিন পর হয়ত পুলিশের বিষয়টিও ফাঁস হবে।

অমিত সাহা কি ‘হ্যান্ডেলার’ !



গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ‘হ্যান্ডেলার’ বলে একটা শব্দ ব্যবহার করে।
হ্যান্ডেলার হলো হলো ঐ ব্যক্তি, যে ফিল্ডে এক বা একাধিক ব্যক্তির মাধ্যমে কোন কাজ করাবে, কিন্তু যাদের দিয়ে করাবে, তারা জানবে না, ঐ কাজের নির্দেশদাতা কে ?
অর্থাৎ হ্যান্ডেলার হলো এক ধরনের কানেকটর, যার মাধ্যমে নির্দেশদাতা ও ফিল্ড বাস্তবায়নকারীরা সংযুক্ত হয়, কিন্তু লুকায়িত থাকে নির্দেশদাতা ও প্রকৃত খুনীর পরিচয়।
অমিত সাহা নামক ছেলেটিকে আমার কাছে প্রথম থেকেই সেই হ্যান্ডেলার মনে হয়েছে।
সে একটি পুরো টিমকে পরিচালনা করেছে, অনুপস্থিত থেকে।
মেসেঞ্জারে নির্দেশ দিয়েছে, প্রতিনিয়ত খবর নিয়েছে।
কিন্তু সে স্ব-শরীরে উপস্থিত থাকেনি।
তার প্রতি অন্যদের জবাবদিহিতাও ছিলো।
কোন সংগঠন যখন চলে, তার একটি নির্দ্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলে।
নির্দেশগুলো সাধারণত সিনিয়র থেকে জুনিয়র হয়ে আসে।
কিন্তু বাইরের কোন সংগঠনের সদস্য যখন কোন সংগঠনের মধ্যে ইনফিলট্রেট করে,
তখন সে খুব সাধারণ কোন পোস্ট নিয়ে, যা অন্যদের চোখে পড়ার মত নয়।
সে তার নিয়োগকৃতদের পলিসি ঐ সংগঠনের মধ্যে পুশ করার চেষ্টা করে, এবং ক্ষেত্র বিশেষে তাদের দিয়ে বড় কোন ঘটনা ঘটিয়ে দেয়।
এতে মূল দোষটি পড়ে বড় সংগঠনের উপর এবং যে হ্যান্ডেলার সে সাধারণ সদস্য হিসেবে অত গোনায় ধরার ব্যক্তি হয় না, আর আড়ালে থাকা নির্দেশদাতার কথা তো কেউ চিন্তাই করতে পারবে না।
এ ধরনের ‘প্রক্সি’ কাজ করার জন্য আসলে ফিল্ড বাস্তবায়ন খুনীদের দিকে তাকালে মূল রহস্য কখনই বের করা সম্ভব হবে না, কারণ তারা আর্টিফিশিয়াল ফেস। মুল খুনী বা নির্দেশদাতার সম্পর্কে ধারণা পাওয়া খুব কঠিন, তারপরও দুটি জিনিস খেয়াল করলে প্রকৃত খুনী সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারণা পাওয়া সম্ভব-
১) মূল ঘটনা কার স্বার্থে আসলো বা করা হলো।
২) ‘হ্যান্ডেলার’কে যেহেতু মূল খুনীদের বিশ্বস্ত হতে হয়, তাই সে খুনীদের সমগোত্রীয় হতে পারে এবং তার চরিত্র বিশ্লেষণ করলে কিছুটা হলেও প্রকৃত খুনি বা নির্দেশদাতা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। কিন্তু ফিল্ড বাস্তবায়নকারীর চরিত্র দেখলে মূল খুনী বা নির্দেশদাতা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া কখনই সম্ভব না।
আমি নিশ্চিত, বাংলাদেশে এরকম বহু ‘হ্যান্ডেলার’ আছে,
যারা উগ্রহিন্দুত্ববাদী তথা অখণ্ড ভারতের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছে।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, মিডিয়া, পুলিশ-প্রশাসন, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে এদের অবস্থান আছে।
দেশের স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্ব রক্ষায় এদের চিহ্নিত করা খুব জরুরী হয়ে দাড়িয়েছে।


কর্পোরেটক্রেসি ও বাংলাদেশ  - Noyon chatterjee 


প্রায় আড়াই বছর যাবত দেশের অর্থনীতিতে ‘কর্পোরেটক্রেসি’ পলিসি নিয়ে লিখছি। বলেছি, 
এ পদ্ধতিতে-
দেশের উন্নয়ন বলতেগুলো কতগুলো ফ্লাইওভার, মেট্রোরেল আর বিদ্যুৎকেন্দ্র হবে, কিন্তু দিন শেষে মানুষ ঠিক মত খেতে পারবে না। মানুষের জীবন ব্যয় অত্যধিক বেড়ে যাবে। ১০০০ টাকার দাম ১০০টার মত হয়ে যাবে। মানুষ খুব কষ্ঠে দিনাতিপাত করবে। দেশের উৎপাদনশীল খাত (ব্যবসা, কৃষি, দেশী শিল্প) ধ্বংস হয়ে যাবে, তখন বিদেশী ব্যবসায়ীরা এসে বাংলাদেশের জনগণকে স্বল্প মূল্যে দাস হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে।
এভাবে শত শত পোস্টে বর্তমান সরকারের কর্পোরেটোক্রেসি সমর্থিত অর্থনৈতিক পলিসি’র আমি সমালোচনা করেছি, এবং সেটার সমাধান কি হতে পারে সেটা নিয়েও অনেক পোস্টে আলোচনা করেছি।
কিন্তু অতি দুঃখের বিষয়, দেশ সেই পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, এটা বোঝার পরও যারা দেশের বুদ্ধিজীবি, সচেতনমহল বা সরকারবিরোধী বলে যারা দাবী করে, তারা এই বিষয়টির প্রতি আলোকপাত করে নাই।
হ্যা তারা সরকারের সমালোচনা করেছে। সরকার ফ্লাইওভার-সেতু বানাতে দুর্নীতি করেছে, সেটার সমালোচনা করেছে, সেটা নিয়ে আন্দোলনে মাঠে নেমে মাঠ গরম করেছে। কিন্তু সরকারের পলিসির সমালোচনা করে নাই। আর তার বিকল্প পলিসি কি হতে পারে সেটা নিয়ে আলোচনা তো অনেক দূরের কথা।
এতে আলটিমেটলি যেটা হয়েছে, রাজনীতি হইছে। সরকারের পক্ষ-বিপক্ষ সমালোচনা হয়েছে, দুই পক্ষ দল ভারি করেছে। কিন্তু জনগণের কোন উপকার হয় নাই। আপনি সরকারের দুর্নীতি বিরুদ্ধে আঙ্গুল তুলেছেন, সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুই-চারটা অ্যাকশন নিয়ে সবার মুখ চুপ করিয়ে দিয়েছে। কিন্তু তার পলিসি চেঞ্জ করে নাই। কিন্তু জনগণের উপকারের জন্য দরকার ছিলো কর্পোরেক্রেসি নির্ভর অর্থনৈতিক পলিসি পরিবর্তন করা, কিন্তু সেটা হয় নাই।
সত্যিই বলতে, কেউ যদি কারো বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে অভিযোগ করে, তখন কিন্তু এটা প্রমাণ হয় না, অভিযোগকারী দোষী ব্যক্তির তুলনায় উত্তম।
বরং অভিযোগকারী যদি দোষী ব্যক্তির দোষ ধরার সাথে সাথে তার তুলনায় তুলনায় অধিক উত্তম কোন পলিসি উত্থাপন করতে পারতো, তখন প্রমাণ করতে হতো, সে দোষী ব্যক্তির তুলনায় উত্তম।
কিন্তু বাংলাদেশে বিরোধী রাজনৈতিক দল বা বুদ্ধিজীবিরা এ কাজটা করতে ব্যর্থ হয়েছে। অর্থাৎ তারা শুধু আওয়ামী সরকারের ‘পায়ে পায়ে’ দোষ ধরেছে, কিন্তু তারা যে আওয়ামী সরকারের থেকে উত্তম বা উন্নত পলিসি তাদের কাছে সেটা প্রমাণ করতে পারে নাই।
আর এ কারণেই সত্যি বলতে, আওয়ামীলীগের প্রকৃত কোন বিরোধীদল গড়ে উঠে নাই এবং তার দরুণ সে ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে পারছে।
অর্থাৎ আওয়ামীলীগের ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার রহস্য যে যাই বলুক, আমার মতে এর পেছনে আওয়ামীলীগের সফলতা নয়, বরং বিরোধী পক্ষগুলোর দুর্বলতা বা ভুল পলিসি বেশি দায়ী।
Next Post Previous Post