বাংলাদেশের মেয়েদের পর্দা করতে বাধা দেওয়া মুনাফিক অফিসার/ শিক্ষকদের ব্যাপারে সমাধান কি?
বাংলাদেশের মেয়েদের পর্দা করতে বাধা দেওয়া মুনাফিক অফিসার/ শিক্ষকদের ব্যাপারে সমাধান কি?
(মনে হয়না এই গ্রুপে দেবার মত পোস্ট। তাও একরকম বাধ্য হয়েই দিচ্ছি।যাদের এই ব্যাপারে জ্ঞান নেই কিংবা যাদের কিছু করার সামর্থ নেই দয়া করে মন্তব্য করবেননা)
দ্বীনি ডাক্তার ভাইদের সাথে বলার মত কোন প্ল্যাটফর্ম না পেয়ে এই গ্রুপেই পোস্ট দিলাম।আশা করি এখানে যথেষ্ট ডাক্তার আছেন।
- Anika Ibnat
.
আমরা নারীদের জবের ফতওয়া দেবার ক্ষেত্রে শুনি ডাক্তারি শিক্ষকতা ব্যবসা এসব জায়েজ।তাও সংসারের দায়িত্ব পালন কিংবা পরদার ত্রুটি হওয়া যাবেনা।আমরা মেয়েরা যারা ডাক্তারি পড়ছি,বা এ পেশার সাথে জড়িত,তাদের মানসিক যন্ত্রণা কী তা কেউ কখনো বুঝবেন মনে হয়না।আল্লাহর ভয় করি বলেই এই পেশাকে টাকা কামানোর উপায় ভাবা বাদ দিয়ে উম্মাহর সেবার নিয়ত হিসেবে নিয়েছি।
সেবা তখনই ফ্রুটফুল হবে যখন আমি ভালভাবে শিক্ষিত হয়ে সঠিক সেবা দেয়ার চেষ্টা করব।বাকি জীবন মরণ দান আল্লাহর উপরে।কিন্তু এখানে শিখতে গিয়ে প্রতিনিয়ত পরদা নিয়ে কথা শোনা,ভাইভায় মুখ খুলতে বাধ্য করা,পরদার কারণে ফেল করানো।আর একজন ডাক্তার মাত্রই জানেন প্রফ পরীক্ষায় সাপ্লি খাওয়া মানে কী।পড়াশোনার জন্য না,আপনার নিকাবের জন্য,বোরখার জন্য সাপ্লি দেয়া হয়।
তবুও এমবিবিএস কোনমতে পার হলেও,নেক্সট পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন থেকে আসল পরীক্ষা শুরু হয়।আপনি শুধু এমবিবিএস নলেজে ভাল চিকিৎসা দিতে পারবেননা।হুম হয়ত জেনারেল প্র্যাকটিশনার হতে পারবেন।কিন্তু হায়ার স্টাডিজে ফিতনার শেষ নেই।ফ্রি মিক্সিং এ জব,ট্রেনিং পিরিয়ড আবার পরদার বরখেলাপের চান্স প্রতি পদে।
এই ভয়ে অধিকাংশ নারী ডাক্তার গাইনিতে কিংবা পিডিয়াট্রিক্স এর কথা হয়ত ভাবেন।কিন্তু মহিলাদের কি শুধু গাইনোকলজিকাল সমস্যা? বাকি সমস্যা গুলোর জন্য কোন নারী ডাক্তার পাওয়াই যায়না।সার্জারিতে কিছু আসছেন তাদের মাঝে দ্বীনি কয়জন সন্দেহ।আপনারা বলতে পারেন পড়াশুনা বাদ দিতে।
জাহিল নারীর কাছেই সেবা নিক মা বোনেরা।কিন্তু চোখের সামনেই গাইনির ডাক্তারকে যখন এনেস্থিসিয়া নারী ডাক্তার চাওয়ায় সেই পেশেন্টের লোককে রিফিউজ করে পুরুষ ই দিতে চাইতে শুনি,তখন এনাদের কাছে আমার বোনদের পাঠাতে ভয় করে।
কিছু পর্দানশীলা ডাক্তারও এনেস্থিসিওলজিস্ট না পেয়ে পুরুষ দিয়ে কাজ চালান।কথাগুলো শুনে আমাকে ফেমিনিস্ট আপাদের মত ভাবতে পারেন-হুজুররা মেয়েদের জব করতে দেয়না অথচ হাসপাতালে নারী ডাক্তার খোঁজে 😎কিন্তু ব্যাপারটা তা না।
ব্যাপারটা অনেক সিরিয়াস।সিনিয়রদের কাছে কিংবা নিজেরা চোখেই লুইচ্চা ডাক্তার দেখি।স্কিনের সমস্যার চিকিৎসা যারা ফিজিকাল হ্যারাস করে সমাধান করেন।তো,জরুরতে পুরুষ ডাক্তারের কাছে পাঠিয়ে নিজের মা বোনের এমন অবস্থা হোক তা আপনারা কেউ চাইলেও আমি চাইনা।কিন্তু আমি বেপর্দা পরিবেশে পড়াশুনা করতেও চাইনা।বিসিএস দেয়া কতবড় রিস্ক!কান খুলে রিটেন দাও,ভাইভায় নিকাব ছাড়া যাও,আর তারপর সরকারি হাসপাতালের ফ্রি মিক্সিং পরিবেশ।
আমাদের হাসপাতালগুলোতে নারী রোগিকে যেভাবে দেখা হয়,অন্তত আমি আমার চিকিৎসা মরে গেলেও ওভাবে করতামনা।তাহলে এসব থেকে মুক্তি পেতে হয় নিজেকে পড়া বাদ দিতে হবে,নাহলে ভালভাবে শিখে পরদার সাথে চিকিৎসার পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।কিন্তু আমি পরদা মানতে চেয়ে সার্জন হতে গেলেও সেই পুরুষ ডাক্তার এসিস্ট করতে হবে।জাহিল পুরুষ সার্জনের সাথে কাজ করতে গিয়ে স্টুডেন্ট বিয়ে করে ফেলেছে এরকম ঘটনাও তো আনকমন না।তাহলে কি আমরা শুধু গাইনিই পড়ব?বাকিটা পুরুষ ডাক্তার সামলাবে?
মেডিকেল সেক্টরে পরদা সংক্রান্ত ভাস্ট প্রশ্ন আছে যার উত্তর পাইনা। ফাইনাল প্রফ শেষ না হতেই চিন্তায় আছি এরপরে কী হবে।ক্যারিয়ারের চিন্তা নেই,চিন্তায় আছি যা করব তা সঠিক হবে কী না।আমরা যখন কলেজে হ্যারাসড হই কোন দ্বীনি ভাই আগাননা।তবে দোষ আমাদেরও।আমরাও হার মেনে নেই।কিন্তু ভাইদের কি আমাদের জন্য অন্তত এই সংক্রান্ত ফতোয়া বা গাইডলাইন দেয়া উচিৎ না যে এসব সমস্যার সমাধান কী।
আমরাও বাসায় বসে আরামে সংসার করতে চাই।কিন্তু তাহলে উম্মাহর এতগুলো নারীকে চিকিৎসা নিতে যে সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে তার দায়ভার কি আমাদের হবে না ভাইদের?পুরুষরা আমাদের ইমাম।আমরা স্বল্পবুদ্ধি নারীরা হার মানলাম।আপনারা আমাদের সমাধান দিন।এবং আল্লাহর জন্য দিন।আশা করি সবাই কথাগুলো পরিষ্কার বুঝবেন এবং সঠিক উত্তর দিবেন।জাঝাকুমুল্লাহ খয়ের ।
উত্তর -
আপনি যে প্রশ্নটি করেছেন তার উত্তর এখন পর্যন্ত কেউ সঠিকভাবে দিতে পারেনি৷ উম্মাহর অবস্থা এখন নাজুক৷ প্রতি পরতে পরতে ফিতনা৷ মহিলা ডাক্তার যেমন দরকার তেমনি একজন স্পেশালিষ্ট হওয়ার পিছনে পথটাও কম দূরহ নয়৷ তবে আল্লাহ্ চাইলে সবকিছু সহজ হয়ে যাবে৷
আমি এ রিলেটেড অনেক ফতোয়া ঘেটেছি৷ এক্ষেত্রে চেষ্টা করা উচিত পর্দা ঠিক রেখে পড়াশোনা চালিয়ে গিয়ে প্র্যাকটিস করার, ফ্রি মিক্সিং এর ফিতনা যতটা সম্ভব এড়িয়ে যাওয়া৷ আপনি যেহেতু এখনো ইন্টার্ন শুরু করেননি আপনি ফ্রি মিক্সিংয়ের কিছুই দেখেননি! এই সময় অনেক দ্বীনদারদের অবস্থাই টালমাটাল হয়ে যায়৷ নিজের নফসকে কন্ট্রোল করতে হবে সাথে ডাক্তারিও করতে হবে৷ পর্দা ও করতে হবে, পড়াশোনা ও করতে হবে। আপনি আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইবেন, তিনি সহজ করে দিবেন ইন শা আল্লাহ্। ভাইভা বোর্ডে নিকাব খুলতে বলে এমন ঘটনা খুব কম, বললেও শক্ত থাকতে হবে, খোলা যাবে না।
আর আপনি যে বললেন মেয়েরা কি কেবল গাইনিতে যাবে? আমি মনে করি মেয়েদের জন্য গাইনিতে যাওয়াটাই সবচেয়ে কঠিন। গাইনিতে পর্দা রক্ষা করা বেশ কঠিন৷ কোন না কোন পুরুষ থাকেই৷ আর গাইনি পড়ে স্বামী, সংসারের হক আদায় করা তো আরো কঠিন।
দ্বীনদার মহিলাদের জন্য স্কিন, পেডি, রেডিওলোজি তে যাওয়া তুলনামূলক সহজ। আমাদের দ্বীনদার স্পেশালিষ্ট দরকার তবে কখনোই ফরজ বিধান স্যাক্রিফাইস করে নয়।
- Shafayat Hossen Limon
-
বোনের সমস্যার সমাধান ওনার পোস্টের শেষের দিকে অাছে।
শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কিছু বলতে অনেকেই সাহস পায় না। ছাত্রীদের সাথে সাথে ছাত্রদেরও প্রতিরোধ গড়ে তোলা উচিত।
উত্তর -
আপনি যে প্রশ্নটি করেছেন তার উত্তর এখন পর্যন্ত কেউ সঠিকভাবে দিতে পারেনি৷ উম্মাহর অবস্থা এখন নাজুক৷ প্রতি পরতে পরতে ফিতনা৷ মহিলা ডাক্তার যেমন দরকার তেমনি একজন স্পেশালিষ্ট হওয়ার পিছনে পথটাও কম দূরহ নয়৷ তবে আল্লাহ্ চাইলে সবকিছু সহজ হয়ে যাবে৷
আমি এ রিলেটেড অনেক ফতোয়া ঘেটেছি৷ এক্ষেত্রে চেষ্টা করা উচিত পর্দা ঠিক রেখে পড়াশোনা চালিয়ে গিয়ে প্র্যাকটিস করার, ফ্রি মিক্সিং এর ফিতনা যতটা সম্ভব এড়িয়ে যাওয়া৷ আপনি যেহেতু এখনো ইন্টার্ন শুরু করেননি আপনি ফ্রি মিক্সিংয়ের কিছুই দেখেননি! এই সময় অনেক দ্বীনদারদের অবস্থাই টালমাটাল হয়ে যায়৷ নিজের নফসকে কন্ট্রোল করতে হবে সাথে ডাক্তারিও করতে হবে৷ পর্দা ও করতে হবে, পড়াশোনা ও করতে হবে। আপনি আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইবেন, তিনি সহজ করে দিবেন ইন শা আল্লাহ্। ভাইভা বোর্ডে নিকাব খুলতে বলে এমন ঘটনা খুব কম, বললেও শক্ত থাকতে হবে, খোলা যাবে না।
আর আপনি যে বললেন মেয়েরা কি কেবল গাইনিতে যাবে? আমি মনে করি মেয়েদের জন্য গাইনিতে যাওয়াটাই সবচেয়ে কঠিন। গাইনিতে পর্দা রক্ষা করা বেশ কঠিন৷ কোন না কোন পুরুষ থাকেই৷ আর গাইনি পড়ে স্বামী, সংসারের হক আদায় করা তো আরো কঠিন।
দ্বীনদার মহিলাদের জন্য স্কিন, পেডি, রেডিওলোজি তে যাওয়া তুলনামূলক সহজ। আমাদের দ্বীনদার স্পেশালিষ্ট দরকার তবে কখনোই ফরজ বিধান স্যাক্রিফাইস করে নয়।
- Shafayat Hossen Limon
-
বোনের সমস্যার সমাধান ওনার পোস্টের শেষের দিকে অাছে।
শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কিছু বলতে অনেকেই সাহস পায় না। ছাত্রীদের সাথে সাথে ছাত্রদেরও প্রতিরোধ গড়ে তোলা উচিত।
যাইহোক, এমন এক ঘটনায় হাইকোর্টের জারি করা রুলের একটি কপি দেখিয়েছিলাম।
রুলে বলা হয়েছিল "বোরখা/হিজাব পড়া নারীদের হয়রানি করা যাবে না। "
তখন শিক্ষক সোজা হয়ে গিয়েছিল।
প্রতিবাদ করতে হয়, ঝামেলা হলে মিডিয়ায় অাসবে, তখন অান্দোলনের কারনে ঐসব শিক্ষক চাপে পড়বে, অন্যরাও সাহস করবে না।
অামরা সাহস করলে ওরা পিছু হটবেই,
(যদিও অামি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি, তবুও রংপুর মেডিকেল কলেজের অনেকের সাথে পরিচয় থাকায় একটু ধারনা অাছে)
- Md Asad Hossain