জান্নাতি হুর নিয়ে কিছু অজানা কথা | দ্বীনদার স্ত্রী তো হুরদের সর্দারনী
জান্নাতি হুর নিয়ে কিছু অজানা কথা | দ্বীনদার স্ত্রী তো হুরদের সর্দারনী
সাধারণ জান্নাতীদের জান্নাতে দুজন করে স্ত্রী থাকবে, একজন জান্নাতি স্ত্রী থাকবে এবং একজন হুর থেকে তাঁর স্ত্রী থাকবে। এটি হাদিসে বলা হয়েছে এবং এরা প্রত্যেকে এমন অবস্থায় থাকবে, কেউ কারোও প্রতি দুনিয়ার মতো ঈর্ষান্বিত হবে না। আল্লাহ তায়ালা বলেছেন,
‘তাঁদের অন্তরে যেসব হিংসা, দ্বেষ হবে, তা আমি আগে থেকে উঠিয়ে নিব।’
.
কিছু মানুষ জান্নাতে মুমিনদের জান্নাতে হুর পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলে, আল্লাহ তায়ালার প্রতিশ্রুতির এই উপহার নিয়ে হাসি ঠাট্টা করে।
কিছু মানুষ জান্নাতে মুমিনদের জান্নাতে হুর পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলে, আল্লাহ তায়ালার প্রতিশ্রুতির এই উপহার নিয়ে হাসি ঠাট্টা করে।
অথচ এরা তো তারাই যারা নিজেরা সারাজীবন এ কমপক্ষে হলেও তো লাখ খানেক বা ততোধিক হলিউড, বলিউডের হিরোইন দের অশ্লীলতা উপভোগ করেছে, খারাপ ভিডিও দেখে হারাম ভাবে চক্ষু ক্ষুধা মিটিয়েছে, রাস্তা ঘাটে রোজ অসংখ্য মেয়ের শরীর ভিজ্যুয়াল এক্সরে করেছে, আরো একধাপ উপরে অবস্থানকারীরা প্রতি মাসে / সপ্তাহে দামী হোটেলে যেয়ে নিত্য নতুন কল গার্লের সাথে রাত্রি যাপন করেছে।
.
অন্যদিকে,
অন্যদিকে,
একজন বিশ্বাসী যখন নফসের তাড়নায় পরনারীর সৌন্দর্য উপভোগ করার তীব্র ইচ্ছাকেও আল্লাহ এর ভয়ে প্রতিহত করে চলে, রাস্তা ঘাটে নন-মাহরাম দেখলেই চোখ নামিয়ে ফেলে, জৈবিক প্রয়োজনও কেবল মাত্র বৈধ উপায়ে স্ত্রীর মাধ্যমেই পুরন করে এবং স্ত্রী দেখতে যেমনই হোক, তাকে নিয়েই জীবন পার করে দিচ্ছে।
তাদের মন যদিও বা কখনও অশ্লীল সিনারি দেখার অভিপ্রায় ব্যক্ত করে, তারা তা নিয়ন্ত্রন করে।
.
সেই ক্ষেত্রে বিশ্বাসীগণ মাত্র ২ জন (শহীদ দের বিশেষ মর্যাদায় ৭২ জন) হুরের সাথে জান্নাতে বিয়ে দেওয়ার আল্লাহ তায়ালার যে প্রতিশ্রুতি, সেখানে এই জাস্টিস এ তারা কীভাবে প্রশ্ন রাখে ?
.
সেই ক্ষেত্রে বিশ্বাসীগণ মাত্র ২ জন (শহীদ দের বিশেষ মর্যাদায় ৭২ জন) হুরের সাথে জান্নাতে বিয়ে দেওয়ার আল্লাহ তায়ালার যে প্রতিশ্রুতি, সেখানে এই জাস্টিস এ তারা কীভাবে প্রশ্ন রাখে ?
.
তারপরও হুরের ব্যাপারটা এমন না যে তা গ্রহণ করে নেওয়া বাধ্যতা মুলক , নিজের দ্বীনদার স্ত্রী তো হুরদের সর্দারনী হবে আর জান্নাতীদের মনে কোন হিংসে বিদ্বেষ থাকবেনা। সেখানে কোন সতীন সতীনও হিংসে থাকবেনা।
তারপরও হুরের ব্যাপারটা এমন না যে তা গ্রহণ করে নেওয়া বাধ্যতা মুলক , নিজের দ্বীনদার স্ত্রী তো হুরদের সর্দারনী হবে আর জান্নাতীদের মনে কোন হিংসে বিদ্বেষ থাকবেনা। সেখানে কোন সতীন সতীনও হিংসে থাকবেনা।
.
দুনিয়াতে আল্লাহ তায়ালার ভয়ে, আল্লাহ তায়ালাকে ভালোবেসে যারা নিজের নফসের বিরুদ্ধে লড়াই করে কষ্ট স্বীকার করেছে, নিজেকে হারাম থেকে বঞ্চিত করেছে তারা যদি সেখানে (জান্নাতে) তা হালাল ভাবে পেতে ইচ্ছা করে, তো জান্নাত তো অবশ্যই সকল ইচ্ছা পূরনের জায়গা। সকল কষ্ট ও স্যাক্রিফাইসের প্রতিদান সুদে আসলে পাওয়ার জায়গা।
দুনিয়াতে আল্লাহ তায়ালার ভয়ে, আল্লাহ তায়ালাকে ভালোবেসে যারা নিজের নফসের বিরুদ্ধে লড়াই করে কষ্ট স্বীকার করেছে, নিজেকে হারাম থেকে বঞ্চিত করেছে তারা যদি সেখানে (জান্নাতে) তা হালাল ভাবে পেতে ইচ্ছা করে, তো জান্নাত তো অবশ্যই সকল ইচ্ছা পূরনের জায়গা। সকল কষ্ট ও স্যাক্রিফাইসের প্রতিদান সুদে আসলে পাওয়ার জায়গা।
.
নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা সর্বজ্ঞানী, ন্যায়বিচারক এবং সর্বোত্তম প্রতিদান দাতা।
নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা সর্বজ্ঞানী, ন্যায়বিচারক এবং সর্বোত্তম প্রতিদান দাতা।
© শাহ মোহাম্মদ তন্ময়
(১) সাধারণ দের ২ জন হুর পাওয়ার রেফারেন্সঃ
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, প্রথম যে দল জান্নাতে প্রবেশ করবে তাদের চেহারা পূর্ণিমা রাতের চাঁদের মত উজ্জল হবে আর তাদের অনুগামীদের দলের চেহারা সুন্দর ও উজ্জলতায় আকাশের উজ্জল তারকার চেয়েও অধিক হবে। তাদের অন্তরসমুহ এক ব্যাক্তির অন্তরের মত হবে। তাদের পরস্পর না থাকবে কোন বিদ্বেষ আর না থাকবে কোন হিংসা আর প্রত্যেকের জন্য ডাগর ডাগর চোখ বিশিষ্ট দু’জন করে এমন স্ত্রী থাকবে, যাদের পায়ের নলার মজ্জা হাড় ও গোশত ভেদ করে দেখা যাবে।
[সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৩২৫৪, ইফাবা-৩০২৬]
.
(২)শহীদ দের ৭২ জন হুর পাওয়ার রেফারেন্সঃ
মিকদাম ইবন মা‘দীকারেব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “শহীদের জন্য থাকবে ছয়টি বিশেষ বৈশিষ্ট্য, তাকে প্রথমবারেই ক্ষমা করে দেওয়া হবে, জান্নাতে তার অবস্থান তাকে দেখানো হবে, কবরের আযাব থেকে তাকে মুক্তি দেওয়া হবে, মহা ভীতিপ্রদ সে অবস্থায় তাকে নিরাপত্তা দেওয়া হবে, তার মাথায় সম্মানের মুকুট পরানো হবে, যার একটি ইয়াকুত পাথর দুনিয়া ও তাতে যা আছে তা থেকে উত্তম, এবং তাকে বাহাত্তর জন ডাগর নয়না হূর স্ত্রীর সাথে বিয়ে দেওয়া হবে, আর তার নিকটস্থ সত্তর জন্য ব্যাপারে তার সুপারিশ গ্রহণ করা হবে।”
[তিরমিযী, (হাদীস নং ১৬৬৩); ইবন মাজাহ, (হাদীস নং ২৭৯৯); আলবানী সহীহ আত-তিরমিযীতে তা সহীহ বলেছেন]
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, প্রথম যে দল জান্নাতে প্রবেশ করবে তাদের চেহারা পূর্ণিমা রাতের চাঁদের মত উজ্জল হবে আর তাদের অনুগামীদের দলের চেহারা সুন্দর ও উজ্জলতায় আকাশের উজ্জল তারকার চেয়েও অধিক হবে। তাদের অন্তরসমুহ এক ব্যাক্তির অন্তরের মত হবে। তাদের পরস্পর না থাকবে কোন বিদ্বেষ আর না থাকবে কোন হিংসা আর প্রত্যেকের জন্য ডাগর ডাগর চোখ বিশিষ্ট দু’জন করে এমন স্ত্রী থাকবে, যাদের পায়ের নলার মজ্জা হাড় ও গোশত ভেদ করে দেখা যাবে।
[সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৩২৫৪, ইফাবা-৩০২৬]
.
(২)শহীদ দের ৭২ জন হুর পাওয়ার রেফারেন্সঃ
মিকদাম ইবন মা‘দীকারেব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “শহীদের জন্য থাকবে ছয়টি বিশেষ বৈশিষ্ট্য, তাকে প্রথমবারেই ক্ষমা করে দেওয়া হবে, জান্নাতে তার অবস্থান তাকে দেখানো হবে, কবরের আযাব থেকে তাকে মুক্তি দেওয়া হবে, মহা ভীতিপ্রদ সে অবস্থায় তাকে নিরাপত্তা দেওয়া হবে, তার মাথায় সম্মানের মুকুট পরানো হবে, যার একটি ইয়াকুত পাথর দুনিয়া ও তাতে যা আছে তা থেকে উত্তম, এবং তাকে বাহাত্তর জন ডাগর নয়না হূর স্ত্রীর সাথে বিয়ে দেওয়া হবে, আর তার নিকটস্থ সত্তর জন্য ব্যাপারে তার সুপারিশ গ্রহণ করা হবে।”
[তিরমিযী, (হাদীস নং ১৬৬৩); ইবন মাজাহ, (হাদীস নং ২৭৯৯); আলবানী সহীহ আত-তিরমিযীতে তা সহীহ বলেছেন]