ভয়াবহ বিপদ বা কঠিন চ্যালেঞ্জে পড়লে ছোট্ট একটি আমল করতে পারেন,

ভয়াবহ বিপদ বা কঠিন চ্যালেঞ্জে পড়লে ছোট্ট একটি আমল করতে পারেন,



 যে আমলটি বদর যুদ্ধের দিন নবীজি আমল করেছিলেন। প্রথমে আমরা প্রেক্ষাপটটা জেনে নেই, তাহলে আমল করতে অনেক বেশি আগ্রহ বোধ করব ইনশাআল্লাহ্।
.
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জীবনে যে কয়টি দিনে সবচেয়ে সংকটময় এবং ভয়াবহ বিপদের সন্মুখীন হয়েছিলেন, তার মধ্যে বদর যুদ্ধের দিনটি অন্যতম। হাদিসে এসেছে— সেদিন তিনি অত্যন্ত বিনয় আর কাতরকণ্ঠে আল্লাহকে ডাকছিলেন আর দু'আ করছিলেন—
.
"হে আল্লাহ!...যদি এই ক্ষুদ্র দলটি ধ্বংস হয়ে যায়, তবে আজকের দিনের পর থেকে যমিনে আর কখনো তোমার ইবাদত করা হবে না।" এমনভাবে তিনি দু'আ করছিলেন যে, তাঁর কাঁধ হতে চাদর পড়ে গিয়েছিলো। এ দৃশ্য দেখে আবু বকর (রা.) ছুটে এসে চাদর তুলে দিয়ে তাঁকে জড়িয়ে ধরে বললেন, "যথেষ্ট হয়েছে হে আল্লাহর রাসূল! আপনার রবের নিকট আপনি চূড়ান্ত প্রার্থনাই করেছেন।" [সহিহ বুখারি: ৪৮৭৫]
.
সেই কঠিন মুহূর্তের নবীজি কী করছিলেন?
.
নবীজির জামাতা আলী ইবনু আবি তালিব (রা.) বলেন, "বদরের যুদ্ধের দিনে আমি কিছুক্ষণ যুদ্ধ করে এসে দেখি— নবীজি সিজদারত অবস্থায় আছেন আর শুধু বলছেন—
.
"ইয়া হাইয়ু ইয়া কাইয়ূমু"- يَا حَيُّ يَا قَيُّوْمُ
(অর্থ: হে চিরঞ্জীব! হে চির সংরক্ষক!)
.
এর বেশি কিছুই বলছেন না।" এরপর আলী (রা.) আবার যুদ্ধ করতে চলে যান, আবার আসেন, এসে দেখেন নবীজি একই অবস্থায় আছেন। এভাবে কয়েকবার এসে তিনি একই অবস্থায় পেয়েছেন। অতপর আল্লাহ নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বিজয় দান করলেন। [মুসতাদরাকে হাকিম: ১/৩৪৪, বাযযার: ২/২৫৪, মাজমাউয যাওয়াইদ: ১০/১৪৭; ইমাম হাইসামি (রাহ.) বলেন, হাদিসটির সনদ হাসান]
.
যখন পৃথিবীটা সংকীর্ণ মনে হবে, চোখ-মুখ অন্ধকার হয়ে যাবে, তখন খুব বেশি করে ইয়া হাইয়ু ইয়া কাইয়ূমু পড়তে থাকবেন। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর অন্যতম সংকটময় মুহূর্তে এটি পড়েছিলেন, আল্লাহ্ সফলতা দিয়েছিলেন। আপনিও আমল করুন, সেই আল্লাহ্ এখনো আছেন। এছাড়া আপনার আন্তরিক দু'আর মধ্যে কিছু সময় পরপর এই বাক্য দুটো মাঝেমধ্যে বলতে থাকবেন।
.
#ইয়া_রাব্বি দু'আ সিরিজ (চতুর্থ পর্ব)
#Ya_Rabbee (এই সিরিজটির আগের তিন পর্ব পেইজে দেওয়া হয়েছিলো আরো ৪ মাস আগে। পূর্বের লিংকগুলো কমেন্টে দেওয়া হলো। আল্লাহ্ চাইলে আরো কয়েক পর্ব আসতে পারে।]
.
#Tasbeeh
Next Post Previous Post