আমেরিকা কেন আফগানিস্তানে আসলো ?
আমেরিকা কেন আফগানিস্তানে আসলো ?
আমেরিকা নেটো বাহিনীর আফগান আক্রমণের একটা উল্লেখযোগ্য কারণ হলো আফগানিস্তান ইসলামি আমিরাত কে ধ্বংস করা।
কারণ খিলাফা ব্যবস্থা তাদের জন্য সাক্ষাৎ বিপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তার উপলব্ধি করতে পেরেছে যে মুসলিমগণ পুনরায় বিশ্বব্যাপী ইসলামী শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তাই পশ্চিমাদের কে আমরা খিলাফাহ ব্যবস্থা সম্পর্কে নানা রকম মন্তব্য করতে দেখতে পাই।
কারণ খিলাফা ব্যবস্থা তাদের জন্য সাক্ষাৎ বিপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তার উপলব্ধি করতে পেরেছে যে মুসলিমগণ পুনরায় বিশ্বব্যাপী ইসলামী শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তাই পশ্চিমাদের কে আমরা খিলাফাহ ব্যবস্থা সম্পর্কে নানা রকম মন্তব্য করতে দেখতে পাই।
যেমন 2005 এর অক্টোবরে বুশ বলেছিল,
“The militants believe that controlling one country will rally the Muslim masses
enabling them to overthrow all moderate governments in the region and
establish a radical Islamic Empire that spans from Spain to Indonesia.”
“The militants believe that controlling one country will rally the Muslim masses
enabling them to overthrow all moderate governments in the region and
establish a radical Islamic Empire that spans from Spain to Indonesia.”
অর্থাৎ ‘ জঙ্গিরা(মুজাহিদরা) বিশ্বাস করে,যেকোনো একটি রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে পারলে মুসলিম জনসাধারণের মধ্যে একটা আত্মবিশ্বাস তৈরি হবে যা তাদেরকে এ অঞ্চলের অন্যান্য মডারেট সরকারগুলোকে উচ্ছেদ করে এমন চরমপন্থী ইসলাম সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে উজ্জীবিত করবে যার ব্যাপ্তি হবে স্পেন থেকে ইন্দোনেশিয়া পর্যন্ত।
লক্ষ্য করুন! বুশ স্পেনের কথা বলছে, যা প্রমাণ করে যে, সে আন্দালুস বা ইসলামিক স্পেনের ইতিহাস বেশ ভালো করেই জানে।
2006 সালের 5 সেপ্টেম্বর এক বিবৃতিতে বুশ আরো বলে যে,
এই ইসলামী সাম্রাজ্য হবে একটি সামগ্রিক অর্থে একটি পরিপূর্ণ ইসলামী সাম্রাজ্য যা ইউরোপ থেকে নর্থ আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সহ বর্তমান ও অতীতের সকল মুসলিম ভূখণ্ড নিয়ে গঠিত হবে।
এই ইসলামী সাম্রাজ্য হবে একটি সামগ্রিক অর্থে একটি পরিপূর্ণ ইসলামী সাম্রাজ্য যা ইউরোপ থেকে নর্থ আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সহ বর্তমান ও অতীতের সকল মুসলিম ভূখণ্ড নিয়ে গঠিত হবে।
সে আরো বলে যে, আমরা এটা জানি, কারণ আল-কায়েদা আমাদেরকে এটা বলেছে"।
সুবহানাল্লাহ, সমগ্র কুফফার গুষ্টি জানে তালেবান, আল কায়েদা কি চায়। আর আমরা মুসলমানরা তাদের ব্যাপারে কত খারাপ দৃষ্টিভঙ্গিই না লালন করি!
এরপর রয়েছে টনি ব্লেয়ার, একটি খারাপ (!) মতাদর্শকে (ইসলামকে) প্রতিহত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দিতে গিয়ে সে বলেছে,
“একটি সক্রিয় তালেবান রাষ্ট্র এবং আরব বিশ্বের কোথাও ইসলামী শরিয়া প্রতিষ্ঠিত হওয়া সমগ্র মুসলিম জাতির সম্মিলিত খেলাফত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পথ সুগম করবে।”
তারা একথা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করত, পৃথিবীর কোথাও ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলেসমগ্র মুসলিম জাতির সম্মিলিত খেলাফত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পথ সুগম করবে।
আসলে তাদের মূল সমস্যা ছিল ইসলাম। ইসলামী খেলাফত। তাই তারা যেখানেই মুসলিমরা ইসলামিক রাষ্ট্রের জন্য চেষ্টা করেছে সেখানেই তারা মুসলিমদের নিধনের জন্য উপস্থিত হয়েছে।
ইনশাআল্লাহ তালেবানদের বিজয়ে আমরা আমাদের হারানো আত্মবিশ্বাস আবার ফিরে পাবো। এবং খেলাফত প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে একধাপ এগিয়ে যাব।
- Parvej Mahamud