যারা গজবে বিশ্বাস করেন না, একবার ভেবে দেখবেন প্লিজ !

যারা গজবে বিশ্বাস করেন না | COVID-19 Corona Virus 

- Bahauddin Kabir




যারা গজবে বিশ্বাস করেন না, একবার ভেবে দেখবেন প্লিজ !
বন্ধুরা, আপনারা অনেকে করোনা ভাইরাসকে একটা মহামারী ও ছোঁয়াচে রোগ হিসাবেই দেখছেন। কিন্তু একবার ভেবে দেখুন, তথাকথিত উন্নত দেশ হিসাবে গণ্য দেশগুলির একের পর এক হাই প্রোফাইল ব্যক্তিরা কিভাবে আক্রান্ত হচ্ছে যারা মানুষের ধরা ছোঁয়ার একেবারে বাইরে থাকে।
কয়েকজন হাই প্রোফাইল ব্যক্তির নাম এইখানে উল্লেখ করছি :
1। ইংল্যান্ডের প্রিন্স চার্লস
2। হলিউডের হল অফ ফেম মেম্বার জ্যাকসন ব্রাউন
3। বিখ্যাত শেফ ফ্লয়েড কারদোজ
4। হলিউড অভিনেতা গ্রেগ রিকার্ট
5। হলিউডের টম হ্যাংকস ও রিটা উইলসন
6। হলিউডের হার্ভে উইনস্টিন
7। হলিউড অভিনেত্রী ওলগা কুরিলেনকো
8। হলিউডের ইদ্রিস এলবা ও সব্রিনা ধৌরী
9। গেম অফ থ্রোনস অভিনেতা ক্রিস্টোফার হিবজু
10। কানাডার প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী সোফী গ্রেগরি ট্রাডিউ
11। মোনাকোর প্রিন্স এলবার্ট দ্বিতীয়
12। আমেরিকান টিভি হোস্ট আন্ডি কোহেন
13। ইংল্যান্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রী নাদিন ডোরিস
14। স্পেনের ডেপুটি প্রাইম মিনিস্টার কারমেন কালভো
কয়েকটি উদাহরণ দিলাম মাত্র। এই ব্যক্তিরা সাধারণ মানুষের ধরা ছোঁয়ার একেবারে বাইরে থাকে। দুনিয়ার সবচেয়ে বেশী সুযোগ সুবিধা ভোগ করে, ভীষণ হাই স্ট্যান্ডার্ড লাইফস্টাইল এনজয় করে তারা।
এরা ঝকঝকে, তকতকে পরিবেশে, বড় বড় বিল্ডিং এ থাকে যেখান কোন সাধারণ মানুষ প্রবেশ করতে পারে না। খুবই বিলাসবহুল জীবনযাপনে থাকে, হাজারো সতর্কতামূলক ব্যবস্থা তারা নিয়ে থাকে সুস্থ ও ভালো থাকার জন্য।
তবুও এদের করোনা ইনফেক্টেড হওয়ার কারণ কি ? একবার ভেবে দেখবেন।
আমেরিকা, জার্মানী, ইতালী, স্পেন, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, ইংল্যান্ড ও আমেরিকাতে এত লক্ষ লক্ষ মানুষ ইনফেক্টেড হল কেন করোনা ভাইরাস দ্বারা ? করোনা ভাইরাসের প্রভাব তাদের উপর এত বেশী কেনো?
তাদের ইনফেক্টেড হওয়ার ও মৃত্যুর হার দুনিয়ার অন্য দেশের চেয়ে বেশী কেন?
কথিত তৃতীয় বিশ্বের গরীব দেশগুলিতে ফুটপাতে বস্তিতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকা মানুষগুলোর তো করোনা গজবে আক্রান্ত হবার খবর পাওয়া যাচ্ছে না।
তাহলে এরা এত আক্রান্ত হচ্ছে কেন ?
একটু চিন্তা করলেই বুঝতে পারবেন। খামোখা মাস্ক পরার আর সানিটাইজার এ হাত ধোয়ার গুজবে বিশ্বাস করবেন না। তারা আপনাদের চেয়ে কিছু কম স্যানিটাইজার ব্যবহার করে নি।
ছোঁয়াচে রোগের গুজব ছড়িয়ে লক ডাউন করে ঘরে বসে গজব থেকে বাঁচা যায় না। এতে নিজেদেরই ক্ষতি হবে।
Next Post Previous Post