কাফের - মুসলিম সবার জন্য একই দোয়া করলে জালেম মজলুমের পার্থক্য কোথায়?
কাফের - মুসলিম সবার জন্য একই দোয়া করলে জালেম মজলুমের পার্থক্য কোথায়?
করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তির জন্য অনেক স্থানেই দোয়া করা হয়।মসজিদ মাদ্রাসায় দোয়া হয়।
.
কিন্তু দেখা যাচ্ছে দোয়ায় বলা হয় :- হে আল্লাহ সারা বিশ্বের মানুষদের করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি দাও।
.
.
কিন্তু দেখা যাচ্ছে দোয়ায় বলা হয় :- হে আল্লাহ সারা বিশ্বের মানুষদের করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি দাও।
.
অথচ পৃথিবীর সব মানুষ বলতে জালিম কাফের মুরতাদরাও অন্তর্ভুক্ত । জালিম কাফের ও মুরতাদদের জন্য দোয়া প্রার্থনা করা - এটা মিল্লাতে ইব্রাহীমের আদর্শের পরিপন্থী ।
.
আল্লাহ তা'আলা মুমিনদের জন্য মিল্লাতে ইব্রাহীমকে উত্তম আদর্শ হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং রাসুল (স:) কে তা গ্রহন করার নির্দেশ দিয়েছেন।
.
আল্লাহ তা'আলা বলেন:
.
ইবরাহীম ও তার সাথে যারা ছিল তাদের মধ্যে তোমাদের জন্য রয়েছে উত্তম আদর্শ।(সুরা মুমতাহিনাহ-৪)
.
আমাদের প্রিয়নবী মুহাম্মাদ (স:) কে ইব্রাহীম আ: এর আদর্শ গ্রহন করার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তা'আলা বলেন;
.
আমি তোমার প্রতি ওহী পঠিয়েছি যে, তুমি মিল্লাতে ইবরাহীমের অনুসরণ কর, যে ছিল একনিষ্ঠ এবং ছিল না মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত।(সুরা নাহল-১২৩)
.
যে ব্যক্তিরা ইব্রাহীম (আ:) এর এই আদর্শ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে- যারা এই আদর্শকে বর্জন করবে আল্লাহ তাদের নির্বোধ আখ্যায়িত করে বলেন:
.
আর যে নিজকে নির্বোধ বানিয়েছে, সে ছাড়া কে ইবরাহীমের আদর্শ থেকে বিমুখ হতে পারে?(সুরা -বাকারা ১৩০)
.
এভাবে বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ তা'আলা ইব্রাহীম আ: এর প্রশংসা করেছেন তার আদর্শের প্রশংসা করেছেন এবং মুমিনদেরকে তা গ্রহন করতে বলেছেন।
.
তো ইব্রাহীম (আ:) এর আদর্শ আসলে কি?
.
তার আদর্শ ছিলো বিশুদ্ধ তাওহীদকে ধারন করা এবং সমস্তপ্রকার বাতিল মতাদর্শ ও বাতিল ধর্ম ও মতাদর্শের অনুসারিদের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করার ঘোষনা।
.
ইব্রাহীম (আ:) ও তার অনুসারিরা তাদের সম্প্রদায়কে বলেছিল, “তোমাদের সাথে এবং তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যার এবাদত করো তার সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই। আমরা তোমাদেরকে প্রত্যাখ্যান করলাম এবং আমাদের ও তোমাদের মাঝে চিরকালের জন্য শত্রুতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি হল; যতক্ষণ না তোমরা এক আল্লাহর প্রতি ঈমান আন।”(সুরা মুমতাহিনাহ-৪)
.
ইব্রাহীম আ: ও তার অনুসারিগন কাফেরদের সাথে সম্পর্কচ্ছেদের ঘোষনা দিয়েছেন। নিজেদের শত্রু হিসেবে ঘোষনা করেছেন কারন তারা আল্লাহ ব্যতিত অন্য কোনো ইলাহ এর ইবাদতে লিপ্ত।
.
সমস্ত নবী রাসুলগন এই জন্যই দুনিয়ায় প্রেরিত হয়েছেন তারা যেনো মানুষের প্রতি আহবান করে আল্লাহর প্রতি ইমান আনায়ন করতে এবং তাগুতকে প্রত্যাখ্যান করতে( দেখুন- সুরা নাহল-৩৬)
.
ইব্রাহীম আ: ও তার অনুসারিগন কাফেরদের সাথে সম্পর্কচ্ছেদের ঘোষনা দিয়েছেন। নিজেদের শত্রু হিসেবে ঘোষনা করেছেন কারন তারা আল্লাহ ব্যতিত অন্য কোনো ইলাহ এর ইবাদতে লিপ্ত।
.
সমস্ত নবী রাসুলগন এই জন্যই দুনিয়ায় প্রেরিত হয়েছেন তারা যেনো মানুষের প্রতি আহবান করে আল্লাহর প্রতি ইমান আনায়ন করতে এবং তাগুতকে প্রত্যাখ্যান করতে( দেখুন- সুরা নাহল-৩৬)
.
একই অন্তরে ইমান এবং কুফর থাকা সম্ভব নয়। মুমিনদের অন্তরে তাওহীদের প্রতি ভালোবাসা থাকবে এবং কুফরের প্রতি থাকবে ঘৃনা। তারা আল্লাহর সাথে সম্পর্ক তৈরি করবে এবং সকল বাতিল ধর্ম ও আদর্শ পরিত্যাগ করবে।
.
যে কারনে মুমিনরা কখনই কাফেরদের সাথে বন্ধুত্ব করতে পারে না - কাফেরদের জন্য সহমর্মী হতে পারে না।
.
আল্লাহর এই ভালোবাসা এবং আল্লাহর জন্যই কাফেরদের সাথে শত্রুতাকেই বলা হয় আল ওয়ালা ওয়াল বার'আ।
.
ওয়ালা-বারা কুরআনের সবচেয়ে সুস্পষ্ট মাসয়ালা সমূহের একটি। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে এই মাসয়ালাটিই উম্মতের নিকট সবচেয়ে বেশি বিস্মিত হয়ে গেছে। তাই আজ অনেক আলেমকেই এ জাতীয় দোয়া করতে শোনা যাচ্ছে, “হে আল্লাহ! আপনি সারা পৃথিবীর লোকদের করোনা হতে মুক্তি দান করুন।” কিন্তু শরিয়ত কি এধরণের দোয়ার অনুমতি দেয়? একদিকে আল্লাহকে ভালোবাসার দাবী অপরদিকে তার শত্রুদের প্রতি মহব্বত, তাদের মুক্তির জন্য দোয়া? আপনার বন্ধু বা নিকটজনের সাথে যদি কেউ শত্রুতা করে তবে কি আপনি তার সাথে শত্রুতা করবেন না? তাকে ঘৃণা করবেন না? তাহলে আল্লাহর শত্রুদের ঘৃণা করতে, তাদের জন্য বদদোয়া করতে কেন আপনার বাধে?
একই অন্তরে ইমান এবং কুফর থাকা সম্ভব নয়। মুমিনদের অন্তরে তাওহীদের প্রতি ভালোবাসা থাকবে এবং কুফরের প্রতি থাকবে ঘৃনা। তারা আল্লাহর সাথে সম্পর্ক তৈরি করবে এবং সকল বাতিল ধর্ম ও আদর্শ পরিত্যাগ করবে।
.
যে কারনে মুমিনরা কখনই কাফেরদের সাথে বন্ধুত্ব করতে পারে না - কাফেরদের জন্য সহমর্মী হতে পারে না।
.
আল্লাহর এই ভালোবাসা এবং আল্লাহর জন্যই কাফেরদের সাথে শত্রুতাকেই বলা হয় আল ওয়ালা ওয়াল বার'আ।
.
ওয়ালা-বারা কুরআনের সবচেয়ে সুস্পষ্ট মাসয়ালা সমূহের একটি। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে এই মাসয়ালাটিই উম্মতের নিকট সবচেয়ে বেশি বিস্মিত হয়ে গেছে। তাই আজ অনেক আলেমকেই এ জাতীয় দোয়া করতে শোনা যাচ্ছে, “হে আল্লাহ! আপনি সারা পৃথিবীর লোকদের করোনা হতে মুক্তি দান করুন।” কিন্তু শরিয়ত কি এধরণের দোয়ার অনুমতি দেয়? একদিকে আল্লাহকে ভালোবাসার দাবী অপরদিকে তার শত্রুদের প্রতি মহব্বত, তাদের মুক্তির জন্য দোয়া? আপনার বন্ধু বা নিকটজনের সাথে যদি কেউ শত্রুতা করে তবে কি আপনি তার সাথে শত্রুতা করবেন না? তাকে ঘৃণা করবেন না? তাহলে আল্লাহর শত্রুদের ঘৃণা করতে, তাদের জন্য বদদোয়া করতে কেন আপনার বাধে?
.
এখন তো দোয়ার পদ্ধতিটা এমন হওয়ার দরকার ছিল- হে আল্লাহ, আপনি মুসলমানদের উপর অত্যাচারী এ কাফেরদের মাঝে মহামারী আরো বাড়িয়ে দেন, এর মাধ্যমে তাদের শক্তিকে সম্পূর্ণরূপে শেষ করেন, তাদের অর্থনীতিকে ধসিয়ে দেন। আর মুমিনদের এ থেকে মুক্তি দান করুন। এটাই তো কুরআন-সুন্নাহ আমাদেরকে শিখায়, নুহ আলাইহিস সালামের নিম্নোক্ত দোয়াটি লক্ষ্য করুন,
.
وَقَالَ نُوحٌ رَبِّ لَا تَذَرْ عَلَى الْأَرْضِ مِنَ الْكَافِرِينَ دَيَّارًا إِنَّكَ إِنْ تَذَرْهُمْ يُضِلُّوا عِبَادَكَ وَلَا يَلِدُوا إِلَّا فَاجِرًا كَفَّارًا رَبِّ اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِمَنْ دَخَلَ بَيْتِيَ مُؤْمِنًا وَلِلْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ وَلَا تَزِدِ الظَّالِمِينَ إِلَّا تَبَارًا
.
“নূহ আরও বলেছিল, হে আমার প্রতিপালক! এই কাফেরদের মধ্য হতে কোন বাসিন্দাকেই পৃথিবীতে বাকী রাখবেন না। আপনি তাদেরকে বাকী রাখলে তারা আপনার বান্দাদেরকে বিপথগামী করবে এবং তাদের যে সন্তানাদি জন্ম নেবে তারাও পাপিষ্ঠ ও ঘোর কাফেরই হবে। হে আমার প্রতিপালক! আমাকে ক্ষমা করে দিন এবং আমার পিতা-মাতাকেও এবং প্রত্যেক এমন ব্যক্তিকেও, যে ইমানের অবস্থায় আমার ঘরে প্রবেশ করেছে আর সমস্ত মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীকেও। আর যারা জালেম তাদের শুধু ধ্বংসই বৃদ্ধি করুন।” (–সূরা নূহ, ২৬-২৮)
.
দেখুন, আয়াতে নূহ আলাইহিস সালাম একইসাথে কাফেরদের উপর কঠিন বদদোয়া করছেন আর মুমিনদের জন্য মাগফেরাতের দোয়া করছেন। এটাই তো ওয়ালা-বারা- কাফেরদের প্রতি কঠোরতা, মুমিনদের প্রতি কোমলতা।
.
বীরে মাউনার ঘটনায় যখন কাফেররা সত্তর জন মুসলিমকে হত্যা করে তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দীর্ঘ একমাস ফজরের নামাযে তাদের উপর বদদোয়া করেন। আনাস রাযি. বলেন,
.
دعا رسول الله صلى الله عليه وسلم على الذين قتلوا أصحاب بئر معونة ثلاثين غداة، على رعل، وذكوان، وعصية. صحيح البخاري (2814) صحيح مسلم (677)
.
“র’ল, যাকওয়ান ও উসাইয়্যাহ গোত্র যারা বীরে মাউনার সাহাবীদের হত্যা করেছে তাদের জন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ত্রিশদিন বদদোয়া করেছেন।”( -সহিহ বুখারী, ২৮১৪ সহিহ মুসলিম, ৬৭৭)
.
ফকিহগণ বলেছেন, “মুসলমানরা কোন দারুল হারবে গিয়ে যদি বিষাক্ত সাপ-বিচ্ছু দেখতে পায় তবে ক্ষতি হতে বাঁচার জন্য সাপের বিষদাঁত ভেঙ্গে দিবে এবং বিচ্ছুর কাটা বের করে ফেলবে, কিন্তু সেগুলোকে একেবারে হত্যা করে ফেলবে না, যেন সেগুলো বংশবৃদ্ধি করে কাফেরদের দংশন করতে পারে।” (-ফতোয়া শামী, ৪/১৪০)
.
ইসা আলাইহিস সালাম ও দাউদ আলাইহিস সালামও বনী ইসরাইলের কাফেরদের উপর বদদোয়া করেছিলেন, যার কারণে আল্লাহ তাদের বানর ও শূকরে পরিণত করে দেন। (-সূরা মায়েদা, ৭৮ আহকামুল কুরআন, জাসসাস রহ. ৪/১০৪)
.
মুসা ও হারুন আলাইহিস সালাম ফেরআউন ও তার কওমের জন্য বদদোয়া করেছেন। আল্লাহ তায়ালা তাঁদের দোয়া কবুল করেছেন। ফেরআউন ও তার অনুসারীদের লোহিত সাগরে ডুবিয়ে মেরেছেন। (-সূরা ইউনুস, ৮৮-৯২)
.
উমর রাযিআল্লাহু আনহুর যমানায় সাহাবায়ে কেরাম তারাবীহর পরে বিতরের নামাযে কাফেরদের জন্য এই বদদোয়া করতেন-
.
اللهم قاتل الكفرة الذين يصدون عن سبيلك ويكذبون رسلك، ولا يؤمنون بوعدك، وخالف بين كلمتهم، وألق في قلوبهم الرعب، وألق عليهم رجزك وعذابك، إله الحق،ثم يصلي على النبي صلى الله عليه وسلم ويدعو للمسلمين بما استطاع من خير ثم يستغفر للمؤمنين،
.
“হে আল্লাহ, আপনি কাফেরদের ধ্বংস করুন, যারা আপনার পথ থেকে বাধা প্রদান করে, আপনার রাসূলগণকে মিথ্যাপ্রতিপন্ন করে, আপনার ওয়াদার প্রতি বিশ্বাস রাখে না। আপনি তাদের ঐক্য বিনষ্ট করে দিন, তাদের অন্তরে ভয় ঢেলে দিন এবং তাদের উপর আপনার আযাব-গযব নাযিল করুন।
.
এরপর রাসূলের উপর দুরুদ পড়তেন এবং মুমিনদের জন্য যতবেশি পারতেন কল্যাণের দোয়া ও ইস্তেগফার করতেন। -(সহিহ ইবনে খুযাইমা, ১১০০)
এখন তো দোয়ার পদ্ধতিটা এমন হওয়ার দরকার ছিল- হে আল্লাহ, আপনি মুসলমানদের উপর অত্যাচারী এ কাফেরদের মাঝে মহামারী আরো বাড়িয়ে দেন, এর মাধ্যমে তাদের শক্তিকে সম্পূর্ণরূপে শেষ করেন, তাদের অর্থনীতিকে ধসিয়ে দেন। আর মুমিনদের এ থেকে মুক্তি দান করুন। এটাই তো কুরআন-সুন্নাহ আমাদেরকে শিখায়, নুহ আলাইহিস সালামের নিম্নোক্ত দোয়াটি লক্ষ্য করুন,
.
وَقَالَ نُوحٌ رَبِّ لَا تَذَرْ عَلَى الْأَرْضِ مِنَ الْكَافِرِينَ دَيَّارًا إِنَّكَ إِنْ تَذَرْهُمْ يُضِلُّوا عِبَادَكَ وَلَا يَلِدُوا إِلَّا فَاجِرًا كَفَّارًا رَبِّ اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِمَنْ دَخَلَ بَيْتِيَ مُؤْمِنًا وَلِلْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ وَلَا تَزِدِ الظَّالِمِينَ إِلَّا تَبَارًا
.
“নূহ আরও বলেছিল, হে আমার প্রতিপালক! এই কাফেরদের মধ্য হতে কোন বাসিন্দাকেই পৃথিবীতে বাকী রাখবেন না। আপনি তাদেরকে বাকী রাখলে তারা আপনার বান্দাদেরকে বিপথগামী করবে এবং তাদের যে সন্তানাদি জন্ম নেবে তারাও পাপিষ্ঠ ও ঘোর কাফেরই হবে। হে আমার প্রতিপালক! আমাকে ক্ষমা করে দিন এবং আমার পিতা-মাতাকেও এবং প্রত্যেক এমন ব্যক্তিকেও, যে ইমানের অবস্থায় আমার ঘরে প্রবেশ করেছে আর সমস্ত মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীকেও। আর যারা জালেম তাদের শুধু ধ্বংসই বৃদ্ধি করুন।” (–সূরা নূহ, ২৬-২৮)
.
দেখুন, আয়াতে নূহ আলাইহিস সালাম একইসাথে কাফেরদের উপর কঠিন বদদোয়া করছেন আর মুমিনদের জন্য মাগফেরাতের দোয়া করছেন। এটাই তো ওয়ালা-বারা- কাফেরদের প্রতি কঠোরতা, মুমিনদের প্রতি কোমলতা।
.
বীরে মাউনার ঘটনায় যখন কাফেররা সত্তর জন মুসলিমকে হত্যা করে তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দীর্ঘ একমাস ফজরের নামাযে তাদের উপর বদদোয়া করেন। আনাস রাযি. বলেন,
.
دعا رسول الله صلى الله عليه وسلم على الذين قتلوا أصحاب بئر معونة ثلاثين غداة، على رعل، وذكوان، وعصية. صحيح البخاري (2814) صحيح مسلم (677)
.
“র’ল, যাকওয়ান ও উসাইয়্যাহ গোত্র যারা বীরে মাউনার সাহাবীদের হত্যা করেছে তাদের জন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ত্রিশদিন বদদোয়া করেছেন।”( -সহিহ বুখারী, ২৮১৪ সহিহ মুসলিম, ৬৭৭)
.
ফকিহগণ বলেছেন, “মুসলমানরা কোন দারুল হারবে গিয়ে যদি বিষাক্ত সাপ-বিচ্ছু দেখতে পায় তবে ক্ষতি হতে বাঁচার জন্য সাপের বিষদাঁত ভেঙ্গে দিবে এবং বিচ্ছুর কাটা বের করে ফেলবে, কিন্তু সেগুলোকে একেবারে হত্যা করে ফেলবে না, যেন সেগুলো বংশবৃদ্ধি করে কাফেরদের দংশন করতে পারে।” (-ফতোয়া শামী, ৪/১৪০)
.
ইসা আলাইহিস সালাম ও দাউদ আলাইহিস সালামও বনী ইসরাইলের কাফেরদের উপর বদদোয়া করেছিলেন, যার কারণে আল্লাহ তাদের বানর ও শূকরে পরিণত করে দেন। (-সূরা মায়েদা, ৭৮ আহকামুল কুরআন, জাসসাস রহ. ৪/১০৪)
.
মুসা ও হারুন আলাইহিস সালাম ফেরআউন ও তার কওমের জন্য বদদোয়া করেছেন। আল্লাহ তায়ালা তাঁদের দোয়া কবুল করেছেন। ফেরআউন ও তার অনুসারীদের লোহিত সাগরে ডুবিয়ে মেরেছেন। (-সূরা ইউনুস, ৮৮-৯২)
.
উমর রাযিআল্লাহু আনহুর যমানায় সাহাবায়ে কেরাম তারাবীহর পরে বিতরের নামাযে কাফেরদের জন্য এই বদদোয়া করতেন-
.
اللهم قاتل الكفرة الذين يصدون عن سبيلك ويكذبون رسلك، ولا يؤمنون بوعدك، وخالف بين كلمتهم، وألق في قلوبهم الرعب، وألق عليهم رجزك وعذابك، إله الحق،ثم يصلي على النبي صلى الله عليه وسلم ويدعو للمسلمين بما استطاع من خير ثم يستغفر للمؤمنين،
.
“হে আল্লাহ, আপনি কাফেরদের ধ্বংস করুন, যারা আপনার পথ থেকে বাধা প্রদান করে, আপনার রাসূলগণকে মিথ্যাপ্রতিপন্ন করে, আপনার ওয়াদার প্রতি বিশ্বাস রাখে না। আপনি তাদের ঐক্য বিনষ্ট করে দিন, তাদের অন্তরে ভয় ঢেলে দিন এবং তাদের উপর আপনার আযাব-গযব নাযিল করুন।
.
এরপর রাসূলের উপর দুরুদ পড়তেন এবং মুমিনদের জন্য যতবেশি পারতেন কল্যাণের দোয়া ও ইস্তেগফার করতেন। -(সহিহ ইবনে খুযাইমা, ১১০০)
.
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে কাফেরদের শাস্তি দেয়ার দায়িত্ব প্রদান করেছিলেন। কিন্তু আমরা কাপুরুষতার কারণে তা করিনি। আমাদের কার্যকলাপে প্রতীয়মান হয় বনী ইসরাইলের মতো আমরাও বলি, ‘হে আল্লাহ, আপনিই গিয়ে যুদ্ধ করুন।’ যাই হোক, আমাদের কারণে তো আল্লাহ তার মাযলূম বান্দাদের ছেড়ে দিবেন না। আমরা তাদের সাহায্য না করলেও আল্লাহ করোনার মাধ্যমে তাদের সহায়তা করেছেন, তাদের উপর অত্যাচারী কাফেরদের থেকে প্রতিশোধ নিয়েছেন। কিন্তু এতেও আমাদের আপত্তি! কোথায় এই প্রতিশোধে খুশি হবেন, কাফেরদের জন্য আরো বদদোয়া করবেন, কিন্তু না, এখানে অসহায় (?) কাফেরদের জন্য আমাদের দরদ উথলে উঠছে, তাদের মুক্তির জন্য আমরা দোয়া করছি!
.
আসলে এসব কিছুই ওয়ালা-বারার মাসয়ালার বিস্মৃতির পরিণতি। শায়েখ আবু মুহাম্মদ মাকদিসী (হাফি:) যথার্থই বলেছেন, “যে ব্যক্তি মুসলিম-কাফেরের মাঝে পার্থক্য করতে পারবে না তার জন্য পুরো দ্বীনই এলোমেলো হয়ে যাবে। তার নিকট দ্বীনের সব বিধিবিধান উলট-পালট হয়ে যাবে।” (আররিসালাতুছ ছালাছিনিয়্যাহ, পৃ:১০)
.
পরিস্থিতি আজ এ পর্যন্ত গড়িয়েছে যে মাওলানা আবু তাহের মেসবাহ (হাফিযাহুল্লাহু) এর মতো বিদগ্ধ আলেমও প্রকাশ্য নাস্তিক কবি শামসুর রহমানের জঘন্য উক্তি “আযানের শব্দ বেশ্যার আওয়াজের মতো মনে হয়”-এটা উদ্ধৃত করেও এই কাফেরের জন্য মাগফিরাতের দোয়া করছেন। (তুরস্কে-তুর্কিস্তানের সন্ধানে) অথচ তিনি ইতিমধ্যে কুরআনের একটি তাফসীরও রচনা করেছেন আর কুরআন দ্ব্যর্থহীনভাবে কাফেরদের জন্য মাগফেরাতের দোয়া করতে নিষেধ করছে, ইরশাদ হয়েছে,
.
مَا كَانَ لِلنَّبِيِّ وَالَّذِينَ آمَنُوا أَنْ يَسْتَغْفِرُوا لِلْمُشْرِكِينَ وَلَوْ كَانُوا أُولِي قُرْبَى مِنْ بَعْدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُمْ أَنَّهُمْ أَصْحَابُ الْجَحِيمِ
.
এটা নবী ও মুমিনদের পক্ষে শোভনীয় নয় যে, তারা মুশরিকদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবে, তাতে তারা আত্মীয়-স্বজনই হোক না কেন, যখন এটা সুস্পষ্ট হয়ে গেছে যে, তারা জাহান্নামী। (-সূরা তাওবা, ১১৩)
.
আল্লাহ তা'আলা আমাদের সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুন।
আমিন।
.
আসলে এসব কিছুই ওয়ালা-বারার মাসয়ালার বিস্মৃতির পরিণতি। শায়েখ আবু মুহাম্মদ মাকদিসী (হাফি:) যথার্থই বলেছেন, “যে ব্যক্তি মুসলিম-কাফেরের মাঝে পার্থক্য করতে পারবে না তার জন্য পুরো দ্বীনই এলোমেলো হয়ে যাবে। তার নিকট দ্বীনের সব বিধিবিধান উলট-পালট হয়ে যাবে।” (আররিসালাতুছ ছালাছিনিয়্যাহ, পৃ:১০)
.
পরিস্থিতি আজ এ পর্যন্ত গড়িয়েছে যে মাওলানা আবু তাহের মেসবাহ (হাফিযাহুল্লাহু) এর মতো বিদগ্ধ আলেমও প্রকাশ্য নাস্তিক কবি শামসুর রহমানের জঘন্য উক্তি “আযানের শব্দ বেশ্যার আওয়াজের মতো মনে হয়”-এটা উদ্ধৃত করেও এই কাফেরের জন্য মাগফিরাতের দোয়া করছেন। (তুরস্কে-তুর্কিস্তানের সন্ধানে) অথচ তিনি ইতিমধ্যে কুরআনের একটি তাফসীরও রচনা করেছেন আর কুরআন দ্ব্যর্থহীনভাবে কাফেরদের জন্য মাগফেরাতের দোয়া করতে নিষেধ করছে, ইরশাদ হয়েছে,
.
مَا كَانَ لِلنَّبِيِّ وَالَّذِينَ آمَنُوا أَنْ يَسْتَغْفِرُوا لِلْمُشْرِكِينَ وَلَوْ كَانُوا أُولِي قُرْبَى مِنْ بَعْدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُمْ أَنَّهُمْ أَصْحَابُ الْجَحِيمِ
.
এটা নবী ও মুমিনদের পক্ষে শোভনীয় নয় যে, তারা মুশরিকদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবে, তাতে তারা আত্মীয়-স্বজনই হোক না কেন, যখন এটা সুস্পষ্ট হয়ে গেছে যে, তারা জাহান্নামী। (-সূরা তাওবা, ১১৩)
.
আল্লাহ তা'আলা আমাদের সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুন।
আমিন।