বাংলা ইসলামিক গল্প | আজ আমার বিয়ে | - আনা মুসলিমাহ

বাংলা ইসলামিক গল্প | আজ আমার বিয়ে |  ছোট গল্প অনলাইন 



অবশেষে আজ আমি বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছি। কিন্তু আমার বাসার পরিবেশ দেখে তা বোঝার উপায় নেই। উৎসবের পরিবর্তে কেমন যেন যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব। বাসা ভর্তি মানুষ, তবু কোন সাড়া শব্দ নেই কারো। যেন টুঁ শব্দ করলেই কেউ এসে গুলি করে বুক ঝাঁঝড়া করে দিবে!
এমন পরিস্থিতি বিরাজ করার পেছনে দায়ী - আমি নিজেই। গতকাল রাতে মানে বিয়ের ঠিক আগের রাতে আমি নতুন এক শর্ত জুড়ে দিয়েছি। তা শুনে আমার শ্রদ্ধেয় আব্বা প্রথমে পুরাই তবদা খেয়েছিলেন! খানিক পরেই অবশ্য স্বরূপে ফিরে বাড়িতে তুলকালাম বাঁধিয়েছেন।
আমি বাদে সবাই তার তোপের মুখে পড়েছে। আব্বা আবার হাজার রাগ করলেও আমাকে কখনো বকেন না, সেজন্য আমি কিছুটা পার পেয়ে গেছি। তবে যথারীতি তিনি আমার সাথে কথা বলা বন্ধ করেছেন। অথচ শর্তটা কি মামুলিই না ছিল!
"কিরে, সারাদিন ধরে এমন ঝিম মেরে আছিস কেন? কিছু খেলিও না। রেডিও হচ্ছিস না। সবাই চলে আসবে তো।" - মিনমিন করে বললেন আম্মা। সারাদিন তিনিও মৌনতা অবলম্বন করে ছিলেন। শুকনো মুখ দেখে বুঝা যাচ্ছে তিনিও কিছু খাননি।
"আপনিও তো খাননি, আম্মা।" আমার একথা শুনে আম্মা খুব করুণ ভাবে হাসলেন, যার অর্থ হতে পারে -
"মানুষের কথাতেই পেট ভরে গেছে রে, মা! ভাত আর কি খাবো..."
আমার মায়া হল, আমার জিদের জন্য হয়তো ইতিমধ্যে আব্বার কাছ থেকে অনেক বকা হজম করতে হয়েছে, যেমন - "কি মেয়ে জন্ম দিয়েছ? মেয়েকে কিছু শেখাতে পারো না?" ইত্যাদি। শুধু কি আব্বা, আমাদের আত্মীয়রাও তো কটু কথা দিয়ে আপ্যায়নে কম যায়না!
আম্মা টেবিল থেকে খাবারের প্লেটটা নিয়ে আমার পাশে এসে বসলেন। আমাকে জিজ্ঞেস না করেই প্রথমে লালশাক দিয়ে ভাত মাখাতে শুরু করলেন। লালশাক আমার খুব প্রিয়, আর আম্মা খাইয়ে দিলে তো তা অমৃত লাগে! কিন্তু এ মুহূর্তে মনে হচ্ছে এ অমৃত আমার গলা দিয়ে নামবেই না!
তাই আগেই আম্মাকে বললাম, "দিয়েন না, খেতে পারবো বলে মনে হয়না।" আম্মা আমার কথার তোয়াক্কা না করে শাকের উপর লেবু চিপড়াতে চিপড়াতে বললেন, "একটু কষ্ট করে খা জলদি। তারপর রেডি হতে হবে তো। মেহমানরা সব এসে যদি দেখে তোর সাজ কমপ্লিট হয়নি তাহলে কি বলবে?"
"লোকে কি বলবে এ চিন্তাতেই তো আপনারা সবাই অস্থির, তাই না?" বললাম আমি একরাশ অভিমান নিয়ে। খুব বেশি কিছু আমি চাইনি, নিজের বিয়েতে আমি আলাদা রুমে শুধু মেয়েদের ভেতর বসব, এটুকু চাওয়া কি খুব অন্যায় হয়েছে?
"দেখ তিথী, হুট করে এমন ঘোষণা দিলে কি আর হয়? স্টেজ সাজানো হয়েছে বর, বউ দু'জনে এক সাথে বসার জন্য। আর তুই যে বললি গ্রীনরুমে বা পর্দা দিয়ে ঘেরা জায়গায় তুই বসবি, ওই ভাবে করলে সব মানুষ তোকে কি করে দেখবে বল?"
"আমি তো চাইও না যে সব মানুষ আমাকে দেখুক! শুধু মহিলারা দেখবে।"
"এটা কি করে হয় বল, এই শেষ মুহূর্তে..."
"তাহলে আমাকে শাড়ির উপর বোরকা পড়তে দাও।"
"এটাই বা কি করে হয়। এত দামের শাড়ি ছেলে পক্ষ দিল, তারা কি বোরকা পড়লে মেনে নিবে?"
"কেন নিবে না? ছেলে তো বলেছিলই, বিয়ের পর আমি বোরকা পড়লে তার সমস্যা নেই।"
"ওটা তো বিয়ের পর! বিয়ের একটা দিন, বোরকা পড়লে মানুষ কি বলবে!"
"আম্মা, আবারও এই কথা!"
আম্মা চুপ হলেন। তার ভাত মাখানোও আপাতত বন্ধ। তিনি আসলে বিষয়টা বুঝতে পারছেন না। তিনি পর্দা করেন নিজেও। কিন্তু আমাদের সমাজ-সংস্কৃতি যে নানান উৎসবে পর্দা শিথিল করতে বৈধতা না শুধু, তাগিদ দিয়েছে!
তাই তিনিও চিরাচরিত বাঙালি সংস্কৃতি মাথায় গেঁথে নিয়েছেন। না তিনি ইসলামে বর্ণিত হিজাব সম্পর্কে, না সোশ্যাল মিডিয়ার ফিতনাহ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। তাইতো নিজ মেয়ের আকুতিকে তিনি মনে মনে হয়তোবা এখন খামখেয়ালিপনা ভাবছেন।
"কি যে ভড়ং ধরলি তুই হঠাৎ করে। বহুত কষ্টে এই বিয়েতে তোর বাপকে রাজি করালাম। দাড়ি দেখেই তো ছেলেটাকে রিজেক্ট করে দিচ্ছিল! তারপর তোর পরামর্শ অনুযায়ী বিয়েতে খরচাপাতি কমাতে বললাম। এখন আবার তুই নতুন জিদ শুরু করলি। জানিস তো তোর আব্বার কত রাগ, এখন বিয়ে ভেঙে দিলে?"
"আম্মা, সম্পর্কের শুরুটাই যদি হয় আল্লাহকে নারাজ করার মাধ্যমে, তাহলে সেটা পরবর্তীতে কতদিন আর টিকবে? বিয়ে বলে বউ আজ সেজেগুজে সবার মনোরঞ্জন করলে কি পর্দার খিলাফ হবে না, নাকি?
আর সবাই বউ এর ছবি তুলে ওয়ালে বাঁধাই করে রাখলে, পরে গিয়ে বউ বোরকা পড়লে কি লাভ হবে? আজকাল তো আর ছবি ঝুলাতে বাড়ির ওয়ালেও পেরেক পুঁততে হয়না, ফেসবুকের ওয়ালেই দুনিয়ার সব মানুষের দেখার জন্য ছবি ঝুলিয়ে দেয়!"
আম্মা এবার বোল্ড আউট। কিছু না বলেই উঠে চলে গেলেন। তবে রাগ করেননি মনে হচ্ছে। হয়তো আব্বাকে আরেকবার বুঝাতেই তড়িঘড়ি করে চলে গেলেন। হাজার হোক, মা তো! মেয়ের মঙ্গল কোন মা না চাইবে?
এভাবে আব্বাকেও বোঝানো গেলেই মিশন সাকসেসফুল, ইন শা আল্লাহ! আমার হবু স্বামীকে নিয়ে ভয় নেই, আলহামদুলিল্লাহ। আর বাকি আত্মীয় স্বজনের বাক্যবাণে জর্জরিত হতে সমস্যা নেই আমার।
আসলে, তারা জানেই না পর্দা মূলত কি। জানলেও এর যে কি অপরিসীম গুরুত্ব, তারা তা উপলব্ধি করতে পারছে না। আলহামদুলিল্লাহ, তা উপলব্ধি করার ক্ষমতা আল্লাহ আমাকে দিয়েছেন, খুবই অদ্ভুত এক ঘটনার মাধ্যমে যদিও...
কদিন আগের ঘটনা। বিয়ের শপিং দোকানে গিয়ে তো করেছিই, টুকটাক অনলাইনেও করেছি। একটা ফেসবুক পেজে পছন্দ হয়ে গিয়েছিল এক জোড়া পায়েল। পায়েল আমার খুব পছন্দ। বিয়ের শাড়ির সাথে ম্যাচিং কালার আর সুমূল্য দেখে খুশি হয়ে পেজে নক করি অর্ডার করতে।
এডমিনের সুন্দর ব্যবহার। আপু আপু করে অস্থির, বুঝলাম মেয়ে মানুষ। সব কিছু ঠিকই ছিল। হঠাৎ সে বলল, "আপু, পায়েল এর তো নানান সাইজ আছে। আপনি পায়ের ছবি তুলে পাঠান। তাহলেই আমি বুঝবো কোন সাইজ দিতে হবে।" আমি কোনদিন এমন কথা শুনিনি, তাই অবাক হয়েছিলাম। তবু সরল মনে ছবি তুলে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। সাথে বাড়ির ঠিকানা আর ফোন নাম্বারও। "থ্যাংক ইউ" বলে সে সেদিন উধাও হয়েছিল।
এর কিছুদিন পর এক অচেনা নাম্বার থেকে ফোন আসে। রিসিভ করি নির্দ্বিধায়। ওপর প্রান্তে এক লোক ছিল। ইনিয়ে বিনিয়ে সে আমাকে প্রস্তাব দেয়, বাসায় এসে শুধু পা চেটে দিয়ে যাবে, বিনিময়ে টাকাও দিবে! কত টাকা শোনার আগেই আমি লাইন কেটে দিয়েছিলাম। পুরা পৃথিবী আমার সামনে তখন বনবন করে ঘুরছিলো! রাগে, দুঃখে মনে হচ্ছিল মাটির সাথে মিশে যাই।
এরপর ধাতস্থ হতে আমার কয়দিন সময় লেগেছিল। প্রথমেই যা করি তা হল, ভাইকে দিয়ে কত গুলো মোজা কিনিয়ে আনি। গরমের দিনে এহেন জিনিস কিনিয়েছি দেখে অনেক প্রশ্ন শুনতে হয়েছিল, তবে উত্তর দেইনি কোন। এরপরেই আব্বার কাছে গিয়ে এক দফা, এক দাবি পেশ করেছিলাম। কিন্তু আব্বাও আমার এডলফ হিটলারের চেয়ে কম যান না! তিনিও ছিলেন এ ব্যাপারে পুরাই অনড়।
যাই হোক, কি হবে বিয়ের আসরে, বিয়ে ভেঙেই যাবে নাকি এইসব হাবিজাবি চিন্তা বাদ দিয়ে আমার এখন একটি জরুরি কাজ করতে হবে। সালাত আদায় করতে হবে। আসরের ওয়াক্ত হয়ে গেছে। আজ আবার শুক্রবার। আসর থেকে মাগরিব পর্যন্ত একটা নির্দিষ্ট সময়ে নাকি যে কোন দুয়া কবুল হয়। ঠিক কখন তা যেহেতু আল্লাহ জানাননি, তাই সেই সুবর্ণ সুযোগকে ধরতে হলে একটু দীর্ঘ সময়ের সাধনা প্রয়োজন। হলোই না হয়!
রুমের বাইরে আত্মীয়রা গিজ গিজ করছে তা ভালোই টের পাচ্ছি। কিন্তু ওদিকে মন দেয়ার আমার সময় নেই। বিরক্ত হলে হোক, রাগ করলে করুক। আমার বিয়ে, আমার ভবিষ্যৎ আমাকেই আগলে রাখতে হবে সবচেয়ে বেশি।
মাগরিবের নামাজ শেষ করেই একেবারে জায়নামাজ ছেড়ে উঠলাম আমি। এতক্ষণ পর আমাকে দাঁড়াতে দেখে সবাই ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে থাকলো। আমার দুই চোখ হন্য হয়ে খুঁজছে আমার আব্বাকে। না আছেন আব্বা, না আছেন আম্মা, না আছে আমার বড় ভাই। শুধু আমার ভাবীকে দেখলাম, ব্যাজার মুখে আমাকে বললেন, "চোখ দুটো তো ফুলিয়েছ ভালোই। এখন সাজালে আরো খারাপ লাগবে।"
"চেহারাটা এমনিতেই নূরে ভরে গেছে, আর মেকআপ লাগবে না।" এ কথা শুনে সবাই পিছন ফিরে তাকালো। আমার ভাই বলেছে কথাটা, প্যাকেট হাতে এসে দাঁড়ালো আমার সামনে। ভাবীকে বলল, "জলদি শাড়িটা পড়িয়ে দাও ওকে। মেকআপ বক্স সাথে নিও, পরে করা যাবে গ্রীনরুমে।" তারপর আমার হাতে প্যাকেটটা ধরিয়ে দিয়ে বলল, "শাড়ির উপর বোরকাটা পড়ে নিস। সাইজ আন্দাজ করে কিনেছি। জলদি যাহ।"
আমি কিছু বলতে পারলাম না। কেমন যেন ঘোরের মধ্যে আছি। আব্বার মুখ না দেখা পর্যন্ত পুরোপুরি নিশ্চিন্ত হতে পারছি না। শাড়ি, বোরকা আর উপরে বড় চাদর পরে রেডি হলাম আমি। আম্মা হাজির হলেন শেষ মুহূর্তে, মুখে কি অপূর্ব হাসি উনার। দেখে কিছুটা নিশ্চিন্ত হলাম। দু'আ তাহলে কবুল করেছেন আল্লাহ?
আব্বার দেখা পেলাম একেবারে গ্রীনরুমে ঢুকে, আমার বসার জন্য ব্যবস্থা করছিলেন সেখানে। সুন্দর করে সাজানো হয়েছে এ রুমটাকেও। এর জন্যই সারা বিকাল ব্যস্ত ছিলেন আব্বা! আমাকে দেখে আব্বা এগিয়ে আসলেন। আমি দৌঁড়ে গিয়ে উনাকে জড়িয়ে ধরি, চোখের পানি বের হয়ে আসে আমার নিমিষেই। আব্বা কিছু বললেন না, খালি একটু স্মিত হাসলেন, যার অর্থ হতে পারে -
"যাকে আমি এত ভালোবাসি, তার ভালোর জন্য কি এতটুকুও করতে পারবো না?"
- - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - -
গল্পটি কাল্পনিক, কিন্তু ঘটনাগুলো কিন্তু নয়। 'পা' নিয়ে লেখা বিদঘুটে কাহিনীটিও বাস্তব। বিপরীত লিঙ্গের যৌনাঙ্গ ছাড়াও শরীরের অন্যান্য অংশের প্রতি এমন তীব্র আকর্ষণকে বলা হয় 'ফেটিশ'। পশ্চিমা বিশ্বে তো বটেই, বর্তমানে আমাদের দেশেও এরকম উন্মাদদের সংখ্যা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
এবারে বিয়ের ব্যাপারে কিছু বলি। ইসলামে আসলে মেয়েপক্ষের লোক খাওয়ানোর কোন বিধান নেই, তবে বরপক্ষের লোকদের জন্য মেহমানদারী করা যায়। অপরপক্ষে ছেলেদের ওয়ালিমা (আমাদের দেশে যেটা বৌভাত) আয়োজন করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদা। কিছু কিছু আলেম ওয়াজিবও বলেছেন।
রাসূল (সাঃ) সাহাবী আব্দুর রহমান বিন আওয়াফ (রা:) এর বিয়ের পর তাকে বলেছেন, "কমপক্ষে একটা ছাগল দিয়ে হলেও ওয়ালিমা করো।" রাসূল (সাঃ) এও বলেছেন, "যে বিয়েতে খরচ যত কম, সেই বিয়েতে বরকত তত বেশি।" কম খরচ বলতে মূলত বোঝানো হয়েছে, একজন ব্যক্তির যে সামর্থ্য রয়েছে, সে সামর্থ্য অনুযায়ী লোকদের আপ্যায়ন।
আবার আপ্যায়নের ক্ষেত্রে আত্মীয়, বন্ধুবান্ধব ছাড়া গরীবদের কথাও স্মরণ রাখতে হবে। কারণ, "সবচেয়ে নিকৃষ্ট খাবার হচ্ছে সে ওয়ালিমার খাবার যেখানে ধনীদেরকে ডাকা হয় কিন্তু গরীবদেরকে ডাকা হয় না।" (সহীহ মুসলিম)
সমাজের ভয়ে বিয়ের মত আনন্দের দিনটিকে আমরা ভরিয়ে দিচ্ছি কদর্যতায়। পর্দা চরমভাবে লঙ্ঘন ছাড়াও আছে ব্যাপকহারে টাকার অপচয়। নেই গরীবদের হক আদায়। আর তাই সম্পর্কগুলোও হয়ে যাচ্ছে ঠুনকো, বরকতহীন।
বিয়ের দিন সাজার শখ আমাদের সব মেয়েদেরই থাকে। আবার সমাজের চোখে ভারী অলংকার আর মেকআপ পড়ে স্টেজে পুতুলের মতো বসে থেকে মানুষের সমালোচনার খোরাকি না যোগালে সেই বিয়ে যেন প্রকৃত বিয়েই না! কিন্তু এর ফলে যে কত গুনাহর দ্বার, কত ফিতনাহর রাস্তা উন্মুক্ত হয়ে যায়, আমরা তা বুঝি না।
বোনেরা সাজবেন, তবে গায়ের মাহরামের সামনে নয়। বিয়ের দিন বলে আল্লাহ কিন্তু ছাড় দিবেন না! হালাল সম্পর্ক শুরুর দিন হারাম কাজ করে সেটাকে কালিমাময় করার কি দরকার, তাইনা? জান্নাতের পথে দুজনে একসাথে হাঁটার ওয়াদা করেছেন যখন, শয়তান ও সমাজের প্ররোচনায় জাহান্নামে যাওয়ার কাজ কারবার তাই প্রথম দিন থেকেই এড়িয়ে চলতে হবে যে!
আজ আমার বিয়ে
- আনা মুসলিমাহ
#রৌদ্রময়ী_গল্প
Next Post Previous Post