মসজিদ বন্ধ করে রাখলে মুসলমানরা করোনা থেকে বাচতে পারবে তো ??
মুসলিম যখন নিজেই নিজের পায়ে কুড়াল মারে! তখন শত্রুর প্রয়োজন কি?
Noyon Chatterjee 6 ➤অনেককে দেখেছি মসজিদের ইংরেজী Mosque বলতে নারাজ।
তাদের দাবী Mosque শব্দের সাথে Mosquito-র মিল আছে। ইউরোপীয়রা মসজিদকে Mosque বলে ডাকে, কারণ মসজিদকে তারা মশা বা রক্তচোষাদের ঘর বলতে চায়।
তাদের দাবী Mosque শব্দের সাথে Mosquito-র মিল আছে। ইউরোপীয়রা মসজিদকে Mosque বলে ডাকে, কারণ মসজিদকে তারা মশা বা রক্তচোষাদের ঘর বলতে চায়।
করোনা ভাইরাস আসার পর ইসলামবিদ্বেষী মিডিয়া কিন্তু মানুষের মনে এটা ঢুকাতে পেরেছে মসজিদ হলো করোনা ভাইরাসের আবাসস্থল। মসজিদে গেলেই করোনা ভাইরাস হবে, সঠিক নিয়মে দাড়িয়ে জামাত করলে করোনা ভাইরাস ধরবে।
কথা হচ্ছে, করোনা ভাইরাস অনেক স্থানেই ধরেছে, হাট-বাজার, ব্যাংক, হাসপাতাল, অফিস-আদালত কিন্তু দোষ পড়েছে কিন্তু মসজিদের। এ কারণে হাটবাজার খোলা, ব্যাংক খোলা, গার্মেন্টস খোলা, ত্রাণের লাইন খোলা, রাাস্তাঘাটও খোলা। শুধু মসজিদে না। কারণ মসজিদের হলো এখন করোনা ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল।
যারা করোনা নিয়ে লাফালাফি করছে, তারা নিজেরাও জানে না, করোনা কি? করোনার চিকিৎসা কি? কি করলে করোনা দমন হবে, করোনা কতদূর চলবে, কিছুই তাদের জানা নেই। সব গবেষণা চলছে, এক্সপেরিমেন্ট চলমান, এখনও তথ্য সম্পূর্ণ নয়। অর্থাৎ তাদের কোন কিছুতেই নিশ্চয়তা নেই, কিন্তু সেই অনিশ্চয়তা নিয়েও তারা মসজিদ কিন্তু বন্ধ করে দিয়েছে এবং মুসলমানরা সেই অনিশ্চয়তার উপর ভরসা করে তাদের মসজিদ বন্ধও মেনে নিয়েছে।
এতদিন বাংলাদেশের হুজুর শ্রেণী বহুত অহংকার করতো, “আমরা এত কোটি মুসল্লী, এত লক্ষ মসজিদ, আমাদের এত হাজার আলেম-ওলামা। আমাদের ধর্মে কেউ আঘাত করতে আসলে আমরা সবাই ঝাপায় পড়বো, জীবন দেবো, কেউ মসজিদ বন্ধ করতে পারবে না। ইত্যাদি ইত্যাদি। ”
সব শেষ। এক ভাইরাসের ভয় দেখিয়ে সবাই কুপোকাত, নিজেরাই মসজিদে কপাট এটে ঘরে লুকিয়ে আছে সেই বীর মুসলিম জনতা।
আচ্ছা ! মসজিদ বন্ধ করে রাখলে মুসলমানরা করোনা থেকে বাচতে পারবে তো ??
↓আরেকটি লেখা। ভিন্ন কিন্তু চিন্তার খোরাক যোগাবে আশা করি
লাশ গ্রহণ করছে না পরিবার, লাশ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে গিয়েছে পরিবার, অসুস্থ ব্যক্তিকে তার পরিবার বের করে দিলো, করোনা সন্দেহে মাকে বনে ফেলে গিয়েছে সন্তানরা। কবর দিতে দিচ্ছেনা এলাকাবাসী, জানায়া করার কেউ নেই। এমন অসংখ্য নিউজ হেডলাউন বেশকিছু দিন ধরে আমরা দেখছি।
এগুলো থেকে আমারা শিক্ষা কি নিলাম? আমাদের ভাগ্যে কি লিখা আছে! আমরা কি একবারও চিন্তা করেছি? দুনিয়াতেই যদি এই অবস্থা আমরা দেখি তাহলে আখিরাতে কি হবে তা আল্লাহ তা'য়ালা জানিয়েই দিয়েছেন
فَاِذَا جَآءَتِ الصَّآخَّۃُ ﴿۫۳۳﴾
অতঃপর যখন বিকট আওয়াজ* (কিয়ামত) আসবে,
یَوۡمَ یَفِرُّ الۡمَرۡءُ مِنۡ اَخِیۡہِ ﴿ۙ۳۴﴾
یَوۡمَ یَفِرُّ الۡمَرۡءُ مِنۡ اَخِیۡہِ ﴿ۙ۳۴﴾
সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই থেকে,
وَ اُمِّہٖ وَ اَبِیۡہِ ﴿ۙ۳۵﴾
তার মা ও তার বাবা থেকে,
وَ صَاحِبَتِہٖ وَ بَنِیۡہِ ﴿ؕ۳۶﴾
তার স্ত্রী ও তার সন্তান-সন্ততি থেকে।
لِکُلِّ امۡرِئٍ مِّنۡہُمۡ یَوۡمَئِذٍ شَاۡنٌ یُّغۡنِیۡہِ ﴿ؕ۳۷﴾
وَ اُمِّہٖ وَ اَبِیۡہِ ﴿ۙ۳۵﴾
তার মা ও তার বাবা থেকে,
وَ صَاحِبَتِہٖ وَ بَنِیۡہِ ﴿ؕ۳۶﴾
তার স্ত্রী ও তার সন্তান-সন্ততি থেকে।
لِکُلِّ امۡرِئٍ مِّنۡہُمۡ یَوۡمَئِذٍ شَاۡنٌ یُّغۡنِیۡہِ ﴿ؕ۳۷﴾
সেদিন তাদের প্রত্যেকেরই একটি গুরুতর অবস্থা থাকবে, যা তাকে ব্যতিব্যস্ত করে রাখবে।
আল্লাহ রাববুল আলামীন কুরআনে কারীমে ইরশাদ করেন-. كُلُّ نَفْسٍ ذَآىِٕقَةُ الْمَوْتِ ؕ. প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে।
দুনিয়াতে এসেছি একা, যেতে হবে একা। মৃত্যু তো আমাদের হবেই তবে সেই মৃত্যুর ভিতর শাহাদতের আকাঙ্ক্ষা কেনো থাকবে না? সবকিছুর ধোঁকা থেকে নিজের অন্তরকে সাফ রাখতে পারলেই আমাদের পক্ষে জি'হাদে শরীক হওয়া, শাহাদতের মর্তবা পাওয়া সম্ভব হবে, । আসেন আমরা দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করি, আগামীর জন্য তৈরি হই।
করোনায় গত ৩ দিনে বাংলাদেশে ৩৪ জন মারা গেছে বলে দাবী করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
কথা হচ্ছে, এরা কি আদৌ করোনায় মারা গেছে, নাকি কোন ওধুষের পার্শ্বপ্রতিক্র িয়ায় মারা গেছে?
কথা হচ্ছে, এরা কি আদৌ করোনায় মারা গেছে, নাকি কোন ওধুষের পার্শ্বপ্রতিক্র
সম্প্রতি খবর বেড়িয়েছে, ব্রাজিলের অ্যামাজন প্রদেশ কর্তৃপক্ষ একটি গবেষণা শুরু করে। এতে মানাস শহরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৮১ জন রোগীর উপর উচ্চমাত্রায় ম্যালেরিয়ার ওষুধ প্রয়োগ করা হয়, এতে ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্র িয়ায় ১১ রোগীর মৃত্যু হয়। এরপর ঐ গবেষণা বন্ধ করে দেয়া হয়। (https://bit.ly/ 2xwKPt8, https:// nyti.ms/2yqFeEu)
ম্যালেরিয়ার ওষুধ প্রয়োগে হার্টে সমস্যা হতে পারে, এটা ফ্রেন্চ স্টাডিও একই কথা জানিয়েছিলে আগে। তারা ১০০ জন করোনা রুগির উপর প্রয়োগ করে দেখেছে ৮২ জনের উপর অবস্থা খুব খারাপ হয়ে যায় এবং ৪ জনের মৃত্যু হয়। (https://bit.ly/ 3aiKkzZ)
উল্লেখ্য বাংলাদেশে স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেয়া প্রজ্ঞাপনে রোগীদের উপর এই ম্যালেরিয়ার ওষুধ ব্যবহার করতেই নির্দেশনা দেয়া আছে। এবং সেই অনুসারে কুয়েত মৈত্রি হাসপাতালও নাকি সবাইকে গণহারে হাই ডোওজ ম্যালেরিয়ার ওষুধ দিচ্ছে, বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
সাধারণত, ম্যালেরিয়ার জন্য যে ক্লোরোকুইন বা হাইড্রোক্সি ক্লোরোকুইন খায়, এটা সপ্তাহে খুব স্বল্পমাত্রায় দেয়। কিন্তু করোনার জন্য পরীক্ষামূলক হিসেবে যে ক্লোরোকুইন বা হাইড্রোক্সি ক্লোরোকুইন প্রতিদিন হাইডোজের দুইবার এই ওষুধ খাওয়ানো হচ্ছে। ম্যালেরিয়ার ওষুধের এভাবে ব্যবহারে রোগীর কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়ে মৃত্যু হওয়ার সম্ভবনা থাকে।
উল্লেখ্য, কয়েকটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, কুয়েত মৈত্রি হাসপাতালে ডাক্তার/নার্স রোগীদের রুমেই ঠিকমত প্রবেশ করে না, রোগীর ক্লোওজ অবজারভেশন নেই বলে জানিয়েছে অনেকেই। এভাবে ক্লওজ অবজারভেশন ছাড়া রোগীদের উপর এসব পাওয়ারফুল ওষুধের প্রয়োগেই রোগীদের মৃত্যু হচ্ছে কি না এটাই সন্দেহজনক বিষয়।
উল্লেখ্য, কয়েকটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, কুয়েত মৈত্রি হাসপাতালে ডাক্তার/নার্স রোগীদের রুমেই ঠিকমত প্রবেশ করে না, রোগীর ক্লোওজ অবজারভেশন নেই বলে জানিয়েছে অনেকেই। এভাবে ক্লওজ অবজারভেশন ছাড়া রোগীদের উপর এসব পাওয়ারফুল ওষুধের প্রয়োগেই রোগীদের মৃত্যু হচ্ছে কি না এটাই সন্দেহজনক বিষয়।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সরকার ভারত থেকে ২০ লক্ষ পিস ম্যালেরিয়ার ওষুধ আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। (https://bit.ly/ 2KiTJgg)
চিন্তার বিষয় হলো, কোন বিশেষ স্বার্থের জন্যই রোগীদের উপর এধরনের ওষুধের এক্সপেরিমেন্ট ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে নাকি তাই চিন্তার বিষয়।
- Noyon Chatterjee 6