উপদেশ মূলক কথার ছবি | উপদেশ পিক বাংলা ২০২৪ | মুসলিম রাখালের গল্প

উপদেশ | উপদেশ মূলক কথার ছবি উপদেশ পিক ও ইসলামিক গল্প 

ইসলামে জীবন রিলেটেড অনেক বিষয়ে উপদেশ আছে, বিভিন্ন দিক নির্দেশনা আছে। এমন কিছু লেখার ছবি এই পোস্টে আপলোড করলাম। ইসলামিক ছবি গুলো বিভিন্ন পেজ, গ্রুপ ও আইডি থেকে নেওয়া। ছবির যাবতীয় ক্রেডিট সে সকল ভাই ও বোনদের।  

  1. ইসলামিক উপদেশ মূলক কথার পিকচার 
  2. বাংলা উপদেশ লেখা ছবি
  3. বাংলা উক্তি  






 উপদেশ মূলক কথার ছবি পিকচার






















উপদেশ মূলক পিক



 

সচেতন মূলক কথা




পৃথিবীজুড়ে রকমারি ফিতনার বজ্রধ্বনি। মাসিহে দাজ্জালের অভিষেকের মাহেন্দ্রক্ষণ। 

হযরত আল মাহদির বরকতময় আত্মপ্রকাশের একেবারে পূর্বমুহূর্ত। ইতোমধ্যে হযরত মাহদি মক্কায় আত্মগোপনে রয়েছেন কি না, একমাত্র আল্লাহই ভালো জানেন।
দাজ্জালের খপ্পরে যেভাবে : উদাহরণ।

বৈশ্বিক আমদানি-রফতানি টোটালি বন্ধ। উপার্জন মাধ্যম বন্ধ। কামাই-রোজগার নেই। সবাই আপনগৃহে বিনাপরাধে গৃহবন্দি। স্টকহোম যা ছিলো ক্রমাগত ফুরিয়ে আসছে।
ইয়া নাফসি! ইয়া নাফসি করে করে ঘরের স্টক খাবার শেষ! প্রতিবেশীর সেইম হালত। আত্মীয়-স্বজনের ঘর থেকেও খিধের ক্ষীণ আওয়াজ কানে আসছে। কারও ঘরে দানাপানির ঝনঝনানি নেই!

একদিন, দুদিন, তিনদিন-নাহ খাবার তো কোথাও মিলছে না! অনাহারক্লিষ্ট সবাই। বাচ্চার মুখে খাবার নেই। চোখদুটি খিধের তাড়নায় বেরিয়ে যাবার দশা! কী নির্মম চাহনি! প্রিয়তমা স্ত্রীর মুখ মলিন। মা-বাবা, ছোটছোট ভাই-বোনের অবস্থা আরও করুণ!

ঠিক এই মুহূর্তে বাহির থেকে এক মিষ্টি আওয়াজ এভাবে এলো- ওখানে 'ত্রাণ' বিতরণ করা হচ্ছে। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। দ্রুত যাও সেখানে, যার যা প্রয়োজন নিয়ে আসো! টাটকা, গোস্ত, মাছ, চাল-ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব খাবার দেয়া হচ্ছে। সাথে ব্যাগভর্তি ফলমূল। কাপড়চোপড়ও রয়েছে।

আওয়াজ শোনার সাথেসাথে মহল্লায় যেন প্রাণ ফিরে এলো। সবাই স্পন্দিত হলো। হুমড়িখেয়ে পড়লো ত্রাণবিতরণ কেন্দ্র! প্রতিবেশীর দেখাদেখিতে, পিতা-মাতার নির্দেশে, স্ত্রী-সন্তানের করুণ চাহনি আর তাদের আবদারে আপনি ঘর থেকে বেরোলেন! গিয়ে সিরিয়ালে দাঁড়ালেন। একে একে অনাহারী লোকেরা খুশিমনে সামনে রাখা রেজিস্টারি খাতায় স্বাক্ষর করে দু'হাত ভরে ত্রাণ নিয়ে ঘরে যাচ্ছে। হঠাৎ আপনার নজর পড়লো ত্রান বিতরণকারীর রেজিস্ট্রি বুকটির দিকে। নজর পড়লো ত্রাণের প্যাকেটের গায়ে কী যেন লেখা রয়েছে। গভীরভাবে দেখতে পেলেন সেখানে লেখা আছে-"বিশ্বমানবতার মুক্তির দূত"/"নবজীবন দানকারী মহৎ"-এর তরফ থেকে এই ত্রাণ সামগ্রী!

আপনি ইমানওয়ালা! লেখাটা দেখেই আপনার অন্তরে বিরাট ধাক্বা এলো! কলিজা মোচড় দিয়ে ওঠলো! হায়হায়! মহাশর্বনাশ!
ইমানের আলোতে খুঁজে পেলেন, এই তো সেই অভিশপ্ত মহাপ্রতারক মসিহে দাজ্জালের ত্রাণ! বুছে ফেললেন, এটা তার মহা প্রতারণা!
এখন আপনি কী করবেন?

-ইমানের বিনিময়ে ত্রাণ নেবেন নাকি খালিহাতে ঘরে ফিরে যাবেন? খালিহাতে ঘরে ফিরে গিয়ে পরিবারকে বুঝাবেন কেমনে? বাচ্চাদের কী বুঝ দেবেন? এতক্ষণে আপনার প্রতিবেশীর ঘর থেকে সুস্বাদু সেই খাবারের ঘ্রাণের মৌ মৌ ঘ্রাণ আপনার ঘরের জানালা দিয়ে ঢুকে পড়ছে!

কী করবেন এই পরিস্থিতে!
ঠিক, এই মুহূর্তে আপনার ইমান টিকানো কত কঠিন হতে পারে কল্পনা করেছেন আদৌ?
কিন্তু আপনি যদি তখন হিম্মত করে ঘরে গিয়ে দরোজা বন্ধ করে সবাইকে একত্রিত করে, তাসবিহ-তাহলিল-তাহমিদ পাঠ করাতে পারেন তবে মহান আল্লাহ, আসমানি খাদ্যর মারফত আপনাদের পেট ভরপূর করে দেবেন। খিধে আ
র লাগবে না। এমনকি এই ত্রাণের প্রতি ঘৃণা চলে আসবে! আল্লাহু আকবার!
আর দুর্বল ইমানদারদের ইমান ফিকে যাবে ত্রাণের পয়লা স্বাক্ষাতেই! আল্লাহ হিফাজত করুন!

নবি সা. বলেছেন, আদম থেকে নিয়ে কিয়ামত তক পৃথিবীবাসীর জন্য দাজ্জালের মুসিবতের চাইতে এত কঠিন মুসিবত অন্য কোনও মুসিবত নেই এবং নেই।
এখন আমাদের উপলব্ধি না-ও হতে পারে! যেহেতু আমরা এখন খাবারের স্তুপে বসবাস করছি!
"আল্লাহুম্মা ইনি আউযুবিকা মিন ফিতনাতিদ দাজ্জালি"! আমিন!




করোনাভাইরাস : দাজ্জালকে চেনার পরও অনুসরণ কেনও?

সেদিনও আমাদের সামনে বিচক্ষণ কোনও আলেম যদি বিবরণ দিতেন যে, খলিফা হযরত আল মাহদির পবিত্র আত্মপ্রকাশের সময় মক্কা-মদিনা অবরুদ্ধ থাকবে, সেখানে বহিরাগত কেউ ঢুকতে পারবে না, হাজিদের বারণ করা হবে, তখন আমরা এসব কথাগুলোকে আষাঢ়েগল্প বলে উড়িয়ে দিতাম।

মনে করতাম, এই আধুনিককালে এমনটা হবে কীভাবে! টিকিট কেটে উড়োজাহাজে উড়ে চলে যাব মক্কায়, গিয়ে সরাসরি হযরত মাহদির হাতে বাইয়াহ দিয়ে জামাতবদ্ধ হয়ে যাব! মানা কীসের!

জ্বি না! অত সোজা নয় ব্যাপারটি! এসির ভেতর আরামে শুয়ে-বসে মাহদির সৈনিক হবার কল্পনা শুধু কল্পনাই রয়ে যাবে।

আমি নির্দিষ্টভাবে বলছি না যে, এইবছর বা অমুক-তমুক বছর খলিফা মাহদির আত্মপ্রকাশ ঘটবে। এভাবে নির্ণীত নয় দিনক্ষণ। তবে সেই সময়টা যে একেবারেই কাছাকাছি তা বলাই বাহুল্য। সঠিকটা আল্লাহই ভালো জানেন!

কিন্তু আপাতত করোনাভাইরাস আমাদেরকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলো যে, ঠিকই খলিফা মাহদির বাইয়াত সংঘটিত হবার সময় কোনও বিমান চলবে না, হেলিকপ্টার চলবে না, নৌপথ বন্ধ থাকবে, বন্ধ থাকবে সড়কপথসহ সবরকমের যোগাযোগ মাধ্যম। মোটকথা মক্কা-মদিনা থাকবে গোটা পৃথিবী থেকে ব্লক।

যে কথাটির বলার-
সাম্প্রতিকসময়ে আমাদের সামনে যখন দাজ্জালের আলোচনা করা হয় তখন আমাদের অনুভূতি নাড়া দেয়না, বিবেকবোধ জাগ্রত হয় না, আমাদের মাঝে কোনরকম ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় না।

কিন্তু নবি করিম সা. যখন কোন মজলিসে সাহাবায়ে কেরামের সামনে দাজ্জালের বিবরণ পেশ করতেন তখন সাহাবায়ে কেরামের মাঝে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হতো, যার ফলে সাহাবায়ে কেরাম কাঁদতে শুরু করতেন; কিন্তু আমাদের এই অবস্থা হয় না, এর কারণ কী?
কারণ হতে পারে সাম্প্রতিকসময়ে আমরা দাজ্জালের ফিতনাকে ওই অর্থে বুঝিনি যে অর্থে নবি সা. সাহাবীদের বুঝিয়েছেন।

উদাহরণ : বর্তমান সময় যদি কোনও মুসলমান ওই হাদিসটি শুনে যে, দাজ্জালের কাছে খাদ্যের স্তুপ থাকবে, তার দখলে সব নদী-খাল থাকবে ইত্যাদি তখন সে মনে করতে থাকে, 'পেট এখনতো ভরপুর, পানি পর্যাপ্ত, যার ফলে সে দাজ্জালের সময়কার পরিস্থিতিকে উপেক্ষা করে থাকে। সুতরাং এসব হাদিস শোনার সময় তার চোখের সামনে এ দৃশ্য ফুটে ওঠে না যে তখনকার পরিস্থিতি কত ভয়াবহ হতে পারে! সে হয়তো বুঝছে না, একদিন নয় বরং এক সপ্তাহের মধ্যে এক টুকরো রুটির কোনো সন্ধান পাওয়া যাবে না! আহ কত ভয়াবহ সে মুসিবত!

একটি বর্ণনায় এসেছে, আদমসস্তানকে পরীক্ষার জন্য দাজ্জালের সঙ্গে দুজন ফেরেশতা থাকবে। উক্ত দুজন ফেরেশতা দুজন নবির আকৃতিতে তার সাথে সদা বিদ্যমান থাকবে। রাসুল সা. বলেন, আমি ইচ্ছা করলে ওই দুইজন নবির নাম এবং তাদের পিতার নামও বলতে পারি।

তাদের একজন দাজ্জালের ডান দিকে থাকবে আর অপরজন তার বাম দিকে থাকবে। মনে রাখতে হবে এটা হবে বিরাট পরীক্ষা।
তো দাজ্জাল তাদের উদ্দেশ্য করে বলবে-
-আমি কি তোমাদের প্রভু নই?
-আমি কি মানুষকে জীবিত করতে পারি না?
-আমি কি মানুষকে মৃত্যুদানে সক্ষম নই?

তখন নবিরূপী একজন ফেরেশতা বলে উঠবে, "মিথ্যা বলেছিস তুই" কিন্তু এই কথাটি অপর ফেরেশতা ছাড়া আর কেউ শুনতে পারবে না। এরপর অপর ফেরেশতা জবাবে বলবে, " (হে ফেরেশতা) তুমি সত্য বলেছ", কিন্তু দ্বিতীয় ফেরেশতার এই জবাবটি সকলে শুনতে পাবে। ফলে মানুষ মনে করবে যে, নবিরূপী (দ্বিতীয় ফেরেশতাও) দাজ্জালকে সত্যবাদী বলছেন।
অথচ দ্বিতীয় ফেরেশতা কিন্তু প্রথম ফেরেশতার জবাব দিয়েছিলেন।
সূত্র : মুসনাদে আহমদ ৫ম খন্ড ২২১ পৃ.

আরেকটি বর্ণনা-
হযরত ইমরান বিন হুসাইন রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বলেন, আমি নবি করীম সাল্লাহু সাল্লামকে বলতে শুনেছি যে, আদম আলাই সালাম এর সৃষ্টি থেকে নিয়ে কিয়ামত পর্যন্ত সংঘটিত সকল ফেতনার মধ্যে আল্লাহ তাআলার কাছে সবচেয়ে বড় ফিতনাটি হচ্ছে দাজ্জালের ফিতনা।
-সূত্র : মুস্তাদরাক ৪র্থ খণ্ড। ৫৭৩ পৃ.।
প্রশ্ন :
এখন প্রশ্ন হতে পারেন দাজ্জালের কপালে কাফির লেখাটি স্পষ্ট থাকবে, শিক্ষিত-অশিক্ষিত সবাই তা পড়তে পারবে, তারপরও কেন লোকেরা ব্যাপকহারে দাজ্জালের ফেতনা নিপতিত হবে?

জবাব :
এপ্রসঙ্গে ইমাম নববি রহ. বলেন, فيظهر الله المؤمن عليه ويخفيها علي من أراد شقاوته
[অর্থ : আল্লাহ তায়ালা মুমিনদেরকে দাজ্জালের বিষয়টি অবহিত করিয়ে দেবেন আর হতভাগাদের কাছে অস্পষ্ট রাখবেন।]

এখানে কিছু কথা বুঝে আসে-
১. অনেক মানুষ তাকে দাজ্জাল হিসেবে চেনার পরও নিজের ঘরবাড়ি, সহায়-সম্পদ বাঁচানোর আশায়, পিতা-মাতা, স্ত্রী-সন্তানাদির মহব্বতের ফাঁদে পড়ে তার পিছু পিছু চলে যাবে এবং তাকে অনুসরণ করবে।

২. যেকোনও বিষয় পাঠ করা, জানা-বুঝা এবং তা কাজে রূপান্তরিত করা মধ্যে অনেক তফাৎ থাকে। যেমন :
আজকাল অনেক মুসলমান রয়েছে, কুরআনের বিধানসমূহ তো নিয়মিতই পড়ে থাকে; কিন্তু আমল করার নামে কোন খবর নেই।
সে জানে সুদ হারাম এবং এটা আল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার শামিল তারপর সে সুদের সঙ্গে জড়িত হয়ে যায়। সে জানে চুরি করা হারাম তারপর সে চুরি করে।

সে জানে সালাত ঠিকমত আদায় না করলে কঠিন শাস্তি হবে তারপরও সে সালাত পরিত্যাগ করতে থাকে; সুতরাং যারা এইসব বিধানের ক্ষেত্রে আল্লাহকে প্রাধান্য দিতে পারছে না তারা কীভাবে দাজ্জালের মহা পরীক্ষার সামনে আল্লাহকে প্রাধান্য দেবে!

তারাই তো আল্লাহ তা'আলার জন্য নিজের জান কুরবান করার পরিবর্তে দাজ্জালের শক্তির সামনে নত হয়ে যাবে। তাই তারা দাজ্জালের কপালে কাফির লেখাটিকে পড়তে সক্ষম হলেও তার অনুসরণে পিছপা হবে না।
শুধু অনুসরণই নয়; বরং তারা দাজ্জালকে যুগের এবং মানবতার মুক্তির দূত হিসেবে সাব্যস্ত করতে থাকবে। তার স্বপক্ষে বিভিন্ন যুক্তি-প্রমাণ দাঁড় করাবে। পাশাপাশি নিজেরা মুসলমান দাবী করবে এবং দাজ্জালের বিরুদ্ধে লড়াইরত মুসলমানদেরকে তারা পথভ্রষ্ট আখ্যা দেবে! ইন্নালিল্লাহ, কত বীভৎস সেই ফিতনা! আউযুবিল্লাহ!



ইহুদী ও মুসলিম রাখালের গল্প 

আরবী হতে অনুবাদ/বিষ্ময়কর একটি ঘটনা।
বর্ণিত আছে, একজন ইয়াহুদী মুসলিম অধুষ্যিত গ্রাম দিয়ে যাচ্ছিলো।
সে ভাবলো এলাকার জ্ঞানী ও বুদ্ধিমানদের ইসলাম নিয়ে সন্দেহের মধ্যে ফেলবে!!
কিন্তু সে গ্রামে পৌঁছার পূর্বে একজন মুসলিম রাখালের সাক্ষাৎ পেলো।
ইয়াহুদী মনে মনে ভাবলো,
এই মূর্খ রাখাল দিয়েই শুরু করা যাক।
এবং তার দ্বীনের মধ্যে সন্দেহ প্রবেশ করাবো।
তাই ইয়াহুদী নিজেকে মুসলিম এবং মুসাফির বা পথযাত্রী হিসাবে পরিচয় দিলো।
তার সাথে কিছু সময় বসার পর ইয়াহুদী বললো,
হে ভাই তুমি কি দেখনা! আমরা মুসলিম কুরআন মুখস্থ করতে কত কষ্ট পাই???
কারণ কুরআন একতো ৩০ পারা বা অংশ।
আর বহু আয়াতে মুতাসাবেহ বা সাদৃশ্যপূণ একই রকম আয়াত বিদ্যামান।
আমরা আয়াতে মুতাসাবেহগুলো ফেলে দিতে পারি।
কারণ এগুলো কোন উপকারও নাই, আবার একই কথা বারবার বলা শ্রুতিমধুর নয়।
তারপরে কথা শুরু করলো, এবং ধোকার হাসা হাসলো!!
বললো কিছু ফেলে দিলে কুরআন ছোটও হবে, মুখস্থ করা সহজও হবে।
তারপর রাখাল বললো , ভাই তোমার কথা বেশ সুন্দর ও ফলদায়ক।
তখন ইয়াহুদী মনে মনে খুব খুশি হলো, এবং ভাবলো আমি তাকে ধোকার জালে ফেলতে পেরেছি।
তারপর রাখাল কথা বলতে শুরু করলেন।
এবং প্রশ্ন করলেন।
ভাই! তোমার দেহে কি বহু অংশ একই রকম নাই, হাত দুইটা,পা দুইটা, কান দুইটা, চোখ দুইটা, নাক দুইটা।,দাত এবং আংগুল অনেক।
তাই বেশীগুলো কেটে ফেলুন।
কারণ এগুলোর দ্বারা কোন উপকার নাই।
তোমার ও পথচলা সহজ হবে, খাওয়া দাওয়ায় শক্তি কম যাবে। খাবারের শক্তি অপচয় হবেনা।
এতগুলো অংশ বহন করা হতে রেস্ট পাবে!!
তখনই ইয়াহুদী ঘাট্টী বেধে নিল, মূখভার করে বের হলো!!
সে নিজেই আফসোস করতে করতে ফিরে যেতে যেতে বললো।
হায়রে আমি কিভাবে মুসলিম জ্ঞানীদের সন্দেহের মধ্যে ফেলবো, মুসলিমের একজন রাখালের সাথে ফিকরই আমাকে ফেরত পাঠালো!!
হে রব! আমাদের দ্বীনের বুঝ দাও!
দ্বীনের উপর অটল রাখো।
সিরাতে মুসতাকিমের উপর অটল রাখো।
M Anwar Hossain



কুরাইশ গোত্র মোট চৌদ্দটি উপগোত্রে বিভক্ত ছিল। বনু জুমাহ যার অন্যতম। উসমান ইবনে মাজউন রা. এই উপগোত্রেই জন্মেছিলেন।
ইবনে ইসহাকের বর্ণনামতে, তিনি মাত্র ১৩ জনের পর ইসলাম গ্রহণ করেন। অর্থাৎ ইসলাম গ্রহণকারী ১৪ তম ব্যক্তি। ব্যক্তিগতভাবে আমার করা ক্রমানুসারে তিনি ইসলাম গ্রহণকারী ১৫ তম ব্যক্তি।
তাঁর ভাই কুদামা ইবনে মাজউন রা.
তাঁর ভাই অপর ভাই আবদুল্লাহ ইবনে মাজউন রা.
তাঁর বোন জয়নাব বিনতে মাজউন রা.
তাঁর পুত্র সায়িব ইবনে উসমান রা.
তাঁর স্ত্রী খাওলা বিনতে হাকিম রা.
তাঁরা প্রত্যেকেই ছিলেন ‘আস সাবিকুন আল আওয়ালুন’ অর্থাৎ ইসলাম গ্রহণে অগ্রবর্তীদের অন্যতম।
উমার রা. ছিলেন তাঁর ভগ্নিপতি। আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রা. ছিলেন ভগ্নিপুত্র এবং উম্মাহাতুল মুমিনিন হাফসা রা. ছিলেন তাঁর ভাগ্নি।
মক্কা থেকে ইথিওপিয়ায় হিজরতকারী প্রথম দলটির নেতৃত্বে তিনি ছিলেন। সেই দলে উসমান বিন আফফান রা. ও তাঁর স্ত্রী, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কন্যা রুকাইয়া রা. সহ চৌদ্দ জন সাহাবি শরিক ছিলেন।
মক্কার কুরাইশরা ইসলাম গ্রহণ করেছে এমন একটি ভুল সংবাদে বিভ্রান্ত হয়ে তাঁরা পুনরায় মক্কা ফিরে আসেন। এ অবস্থায় মক্কায় প্রবেশ তাঁদের জন্য ছিল সম্পূর্ণ অনিরাপদ।
সেকালে আরবে যেহেতু কোনও রাষ্ট্র কাঠামো ছিল না। ফলত শাসন বলতে যা কিছু আছে সব নির্ভর করত গোত্র প্রধানের উপর। সুরক্ষার একমাত্র পথ ছিল গোত্র।
যখন কেউ গোত্রত্যাগ করে অন্য কোনও অঞ্চলে বসতি গড়ে তখন সে গোত্রের সুরক্ষার (Safety chain) সম্পূর্ণ বাইরে চলে যায়। ফলে তাকে হত্যা করলে রক্তপণ দেবার দায়টুকুও আর অবশিষ্ট থাকে না।
এই অবস্থায় প্রত্যেকের নিজ নিজ উপায়ে কোনও না কোনও নিরাপত্তাদাতার সন্ধান করে মক্কায় প্রবেশ ব্যতীত উপায় ছিল না। সেসময় উসমান ইবনে মাজউন রা. ওয়ালিদ ইবনে মুগিরার পক্ষ থেকে নিরাপত্তা লাভ করেন।
ওয়ালিদ ইবনে মুগিরা কা’বার সামনে তাঁর হাত ধরে নিয়ে গিয়ে নিজের পক্ষ থেকে তাঁর নিরাপত্তার ঘোষণা দেন। ওয়ালিদ ইবনে মুগিরা ছিলেন বনু মাখযুমের গোত্রপতি। আবু জাহেল ছিল তারই গোত্রের।
ফলত কারো পক্ষেই উসমান ইবনে মাজউন রা. এঁর ব্যাপারে তখন বক্রদৃষ্টিতে তাকাবারও সাহস ছিল না। কিন্তু তাঁর চোখের সামনেই অন্য সব অসহায় সাহাবারা নির্যাতিত হচ্ছিলেন।
বিশেষত তাঁর স্বীয়গোত্র বনু জুমাহর গোত্রপতি উমাইয়া ইবনে খালফের কৃতদাস ছিলেন বিলাল রা.। উমাইয়া ইবনে খালফ মুসলমানদের বিরুদ্ধে শত্রুতায় শীর্ষে ছিল।
তিনি নিজে শান্তিতে আছেন অথচ অপরাপর মুসলমান অবর্ণনীয় নির্যাতনের মধ্য দিনাতিপাত করছে এটা খুব প্রবলভাবে নাড়া দেয় তাঁকে। তিনি আল ওয়ালিদ ইবনে মুগিরাকে অনুরোধ করেন যেন কা’বার সামনে গিয়ে ঘোষণা দিয়ে তাঁর দেওয়া নিরাপত্তা তিনি ফিরিয়ে নেন।
সম্ভাব্য ভয়াবহ পরিণতি আঁচ করে ওয়ালিদ তা চাইছিলেন না। উসমান বিন মাজউন রা. তাকে বললেন, ‘আল্লাহর নিরাপত্তাই আমার জন্য যথেষ্ট।‘ তাঁর পুনঃ পুনঃ অনুরোধে ওয়ালিদ নিরাপত্তা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেন।
সেখান থেকে ফেরার পথেই তিনি শারীরিক হেনস্থার শিকার হন। তাঁর একটা চোখ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ওয়ালিদ বিন মুগিরা এ খবর জানতে পেরে তাঁকে দেখতে আসেন।
আবারও নিরাপত্তা প্রদানের প্রস্তাব দেন, তিনি বলেন, ‘আল্লাহর চে’ উত্তম নিরাপত্তা আর কেইবা দিতে পারে! বরং আমার সুস্থ চোখ তো আহত চোখকে ঈর্ষা করছে।‘
ওয়ালিদ ইবনে মুগিরা তাঁর প্রতি স্নেহ পরবশ ছিলেম। আদতে উসমান ইবনে মাজউন রা. কুরাইশদের মধ্যে ইসলাম পূর্ব যুগ থেকেই উত্তম গুণের জন্য আদৃত ছিলেন। যেমন মদপান, পরনারী সঙ্গ, জুয়া থেকে নিজেকে তিনি সবসময় বিরত রেখেছেন।
তিনি মদিনাতেও স্বপরিবারে হিজরত করেন। তিনি ছিলেন বদরি সাহাবি। মুহাজিরদের মধ্যে মদিনায় তিনিই প্রথম স্বাভাবিক মৃত্যু (Natarul death)বরণ করেন। প্রথম ব্যক্তি হিসেবে তাঁকেই জান্মাতুল বাকীতে সমাধিস্থ করা হয়।
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁরই কবরের পাশে নিজ সন্তান ইব্রাহিম, জয়নাব, রুকাইয়াকে দাফন করেন।
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ওঁরা ওঁদেরই পূর্ববর্তী উত্তমকর্মপরায়ণ উসমান বিন মাজউনের কাতারে শামিল হয়েছে।
আয়েশা রা. বলেন, উসমান ইবনে মাজউনের মৃত্যুর পর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর কপালে চুমু দিয়েছেন। তাঁর কান্নায় উসমানের কপোল সিক্ত হয়েছে।
উসমান ইবনে মাজউন রা. এঁর মক্কার উদ্দিষ্ট ঘটনাটির দিকে খেয়াল করলে দেখা যায়, তিনি ওয়ালিদ ইবনে মুগিরার দেওয়া নিরাপত্তা প্রত্যাহার না করালেও পারতেন। আর তা-ই ছিল যুক্তিযুক্ত।
এটা নাজায়েজ কিছু ছিল না। স্বয়ং রাসুল্লাল্লাহ সা. আবু তালিব, মুতিম ইবনে আদি এমনকি আবু লাহাব প্রদেয় নিরাপত্তা গ্রহণ করেছেন।
কিন্তু উসমান ইবনে মাজউন রা. ওয়ালিদ ইবনে মুগিরার দেওয়া সেই নিরাপত্তা ফিরিয়ে দিয়েছেন। অথচ নিরাপত্তা গ্রহণ করাটাই ছিল সতর্কতার পরিচয়।
আদতে একেকজনের অন্তর একেকরকম হয়। তাঁর ইখলাসের দরুণ তিনি তা করেন নি। আলী রা. তাঁর এই বীরত্বের প্রশংসা কবিতা রচনা করেছেন। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও এর বিরুদ্ধে কিছুই বলেন নি।
এ ঘটনা আমাদের শিক্ষা দেয়, বস্তুবাদী দুনিয়ার রাজনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ, অর্থ, সম্পদ, সম্মান ও নিরাপত্তা যেমন নানাক্ষেত্রেই আমাদের কাছে বিবেচ্য তেমনি একজন মুমিনের ক্ষেত্রে ইখলাসের ব্যাপারটাও বিবেচ্য।
আজকে স্বাস্থ্য সচেতনতার দরুণ মসজিদগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বহু আলেমের সম্মতিতেই ঠিক আছে। আমি, আপনি, আমরা যারা এর পক্ষে তারা তা মেনে নিয়েছি।
কিন্তু কোনও আলেম কিম্বা কোনও আবেদ যদি রব্বের ভয়ে যদি তাঁর ইখলাসের দরুণ মসজিদগুলো খুলে দিতে বলে।
আপনি, আমি তা না-ই মানতে পারি। সে মত প্রত্যাখ্যান করতেই পারি। বিরোধিতাও করতে পারি।
তবে এর জন্য এটুকুই যথেষ্ট যে, আমরা আমাদের জায়গায় নিজের মতকে ব্যক্ত করব। কিন্তু সেসব ব্যক্তিদের অপমানিত করার অধিকার কারোর নাই।
ওয়াল্লাহি, ঐ রব্বের কসম, মসজিদে আমরা যাঁর গোলামির জন্য উপস্থিত হই। নিশ্চয় আপনার আমার এই গালির জন্য, এই বাড়াবাড়ির জন্য রব্বের কাছে জবাব দিতে হবে।
আমাদের দ্বিমতের ক্ষেত্রে এই যে বিনয়ের বদলে ঔদ্ধত্য তার জন্য কি জবাব দেব আমরা? তাঁদের ইখলাস, তাঁদের আল্লাহ্‌ভীতির জন্য গালি দিয়েছি আমরা তাদের?
ইমাম কুশাইরি রহ. লিখেন, একবার ইমাম শাফেয়ী এবং ইমাম আহমাদ একত্রে বসা ছিলেন। এইসময় শায়খ শাইবান আর-রায়ী রহ. সেদিকে আসলেন।
শায়বান রহ. ছিলেন দরবেশ গোছের লোক। ফিকহি ইলম ছিল না। কিন্তু প্রচুর ইবাদাত করতেন। ইমাম আহমাদ রহ. তাঁকে প্রশ্ন করেন,
‘যদি কেউ কোনও এক ওয়াক্ত নামাজ পড়তে ভুলে যায়। আর পরে স্মরণ করতে না পারে যে, কোন ওয়াক্ত সে কাযা করেছে। এই ব্যক্তির ব্যাপারে আপনি কি বলবেন। তার কি করা উচিত?’
শাইবান রহ. বললেন, ‘এই অন্তর আল্লাহর ব্যাপারে উদাসীন। তার এমন সংশোধন দরকার যেন সে আর কখনওই নিজ রব্বের ব্যাপারে উদাসীন না হয়।‘
ইমাম আহমাদ রহ. এই জন্য প্রশ্ন করেছিলেন যে, শাইবান এই মাসআলার সমাধান দিতে পারবে না। ফলে সে ফিকহ অধ্যয়নের দিকে ধাবিত হবে।
কিন্তু তিনি এমন এক উত্তর দিয়েছেন যে, ইমাম আহমাদ রহ. আল্লাহ্‌র সাথে তাঁর হৃদয়ের এই সম্পর্ক উপলব্ধি করে লজ্জায় বেঁহুশ হয়ে পড়েন।
তাই মুমিনের ব্যাপারে মন্তব্যের আগে তাঁর ইখলাসের দিকে তাকান। ফেসবুকে মসজিদ প্রসঙ্গে অত্যন্ত বাড়বাড়ন্ত কথাবার্তা চলছে। বাস্তবতা হলো, যতখানি ইখলাস তারচে’ ঔদ্ধত্যপূর্ণ পোস্ট বেশি ছিল।
কি মনে করি আমরা! ইসলামে বিধানকে নিজের মত সাজানোটা এত সআমর
আল্লাহ্‌র জাত আর ইজ্জতের কসম, ইসলামে ইতিহাসের প্রথম যে নির্মিত মসজিদ, সে মসজিদে কুবা স্থাপিত হওয়ার পর থেকে- নামাজের বিধান নাজিল হওয়ার পর থেকে- গত সোয়া চৌদ্দ শত বছরের মধ্যে এই প্রথম প্রায় সমগ্র দুনিয়ায় মসজিদসমূহ বন্ধ।
এইরকম ঘটনা উম্মতের ইতিহাসে অশ্রুতপূর্ব, অভূতপূর্ব। ফলে এটা নিয়ে ইখতিলাফ হবে না তো কি নিয়ে হবে?
আমার মত দূর্বল ঈমানের লোককে হয়ত এ ঘটনা স্পর্শ করে নাই। কিন্তু বহু আল্লাহ্‌র গোলামের অন্তরে যন্ত্রণার আগুন জ্বালিয়েছে। তাঁদের প্রসঙ্গে মন্তব্যের ব্যাপারে সাবধান হউন।
নামাজ বাড়িতেই আদায় করুন। মসজিদে জামায়েত সীমিতই থাকুক। বাড়াবাড়ি বন্ধ হোক। উম্মতের এই বেদনার কালকে অনুভব করুন।
মনে রাখতে হবে, আল্লাহর দয়াই প্রকৃতপক্ষে একমাত্র পথ। বিজ্ঞানের আবিষ্কার কি কেবলই মানুষের সক্ষমতা? কখনোই না। বরং আল্লাহ্‌রই দয়া।
জায়নামজের দোয়াই ল্যাবরেটরিতে মানুষকে বিজয় এনে দেবে। আসমানি রহমই সেখানে পথ দেখাবে। বস্তুবাদীতা আমাদের যেন অন্ধ না করে।


--


ওরা বনাম আমরা: বিভাজন (বিজয়ের হাতিয়ার)
"ওরা আমার মুখের ভাষা কাইরা নিতে চায়।" আব্দুল লতিফের এই মুখের ভাষা কেড়ে নেওয়া কথাটি গুজব কিনা তা নিয়ে আলাদা বিতর্ক থাকতে পারে । কিন্তু এই চরণের 'ওরা' শব্দটি ভাষা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে তা অস্বীকার করার সুযোগ নেই । এমনকি পাকিস্তান ভাগ হয়ে বাংলাদেশ সৃষ্টিতে 'ওরা' শব্দটির খুবই তাৎপর্য ভূমিকা আছে । একটি শব্দ বিভক্ত করে দেয় পুরো দেশের মানুষকে । তৈরি হয় দুই গ্রুপ ওরা এবং আমরা । পশ্চিম পাকিস্তানীদের ওরা বলতে না পারলে বাংলাদেশ সৃষ্টি হতো না ।
এমনকি ভারতবর্ষ ভাগ হয়ে পাকিস্তান ও ভারত রাষ্ট্রের সৃষ্টিতেও ওরা শব্দের মূখ্য অবদান আছে । সেখানে হয়েছিল ওরা হিন্দু আর আমরা মুসলমান । ওদের আর আমাদের ধর্ম আলাদা তাই ওরা আর আমরা এক হতে পারি না। তাই আমাদের আলাদা আলাদা রাষ্ট্র প্রয়োজন ।
আবার ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনটাও হয়েছে ওরা এবং আমরা সমীকরণ থেকেই, সেখানে কাজ করেছে আমরা ভারতীয় আর ওরা বহিরাগত ব্রিটিশ। আমাদের উপর ওদের আধিপত্য চলতে পারে না । ওদের আমরা বিতারিত করবোই । এখানেও সেই ওরা এবং আমরা বিভাজন ।
এভাবে দেখতে গেলে প্রতিটি স্বাধীনতা ও বিজয়ের সূচনাতেই 'ওরা' এবং 'আমরা' এই বিভাজন সৃষ্টি হয় । ইসলামের ইতিহাসের দিকে তাকালে সেখানেও আমরা এই ওরা এবং আমরা বিভাজন দেখতে পাবো । তাই ইসলামের দৃষ্টিতে মানবজাতিও প্রধাণত দুই ভাগে বিভক্ত । মুসলিম ও কাফের । সাহাবায়ে কেরাম যদি কাফেরদের ওরা বলতে না পারতেন তাহলে ইসলামের বিজয়ের প্রশ্নই আসতো না । আলাদা স্বতন্ত্র জাতিসত্ত্বার উন্মেষ হতো না । কাফেরদের আমরা না ভেবে, ওরা ভাবার কারণেই কাফেরদের থেকে ক্রমাগত রাজ্য জয় করে খিলাফত দ্য গ্রেট গড়ে উঠেছিল ।
আজকে আমাদের আদর্শিক পতন ঘটেছে । তাই আদর্শের ভিত্তিতে কাফেরদের ওরা বলতে পারিনা । তাই ওদের গোলামী করতেও আমাদের অসুবিধা হয় না । আমরা কাফেরদের যখন ওরা ভাবতে শিখবো তখনই আমাদের অর্ধেক স্বাধীনতা অর্জিত হবে । আর ওদের যাতে আমরা ওরা বলে না পারি তাই গড়ে উঠছে "মুভ ফাউন্ডেশনের" মত সংগঠন । হচ্ছে নানা ইন্টারফেথ প্রোগ্রাম । ধ্বংস করা হচ্ছে আমাদের আদর্শিক অবস্থান।
তবে ওদের যতই আমারা ওরা না ভাবিনা কেন ? বন্ধুত্ব ও ভ্রাতৃত্বের কথা বলি না কেন ওরা ঠিকই আমাদের আপন ভাবে না, ওরাই ভাবে । তাই আমাদের আক্ষেপ করে বলতে হয় , "মুসলিমদের মানবাধিকার থাকতে নেই" মানবাধিকার যেন শুধু ওদের জন্যই সৃষ্ট । ওরা যে কখনোই আমাদের আপন ভাববে না তা আল্লাহ তায়ালা বলে দিয়েছেন ,
"আর ইয়াহুদী ও নাসারারা আপনার প্রতি কখনো সন্তুষ্ট হবে না, যতক্ষণ না আপনি তাদের মিল্লাতের অনুসরণ করেন।" (সূরা বাকারা:১২০)
সুতরাং আমরা ইসলামের বিজয় দেখতে ও আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে চাইলে, অবশ্যই আমাদের "আল ওয়ালা ওয়াল বারা" এর আকিদা ঠিক করতে হবে। ওরা এবং আমরা বিভাজন শিখতে হবে। যতদিন আমরা ওদেরকে 'ওরা' বলতে না পারব, ততদিন আমাদের বিজয়ের স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে। তাই আসুন আদর্শবান হই , ওরা বলতে শিখি 
Next Post Previous Post