গণতন্ত্র ও ইসলামঃ কুফ্রি গণতন্ত্র নিয়ে শিক্ষা বই এ মিথ্যাচার

গণতন্ত্র ও ইসলামঃ ইসলামে কি গণতন্ত্র জায়েজ নাকি হারাম?



হযরত মুহাম্মদ ﷺ ছিলেন 'গনতন্ত্রে' বিশ্বাসী! আবু বকর রা. ছিলেন পূর্ণ 'গনতন্ত্রে' বিশ্বাসী! ইসলামের প্রথম চার খলিফা ছিলেন 'গনতন্ত্রের' ধারক বাহক! (নাউজুবিল্লাহ) উপরের একটি কথাও আমাদের নয়, কোন মুসলিম তো দূরে থাক কোন অমুসলিম ঐতিহাসিকের কাছেও তা কাম্য নয়। যা নির্জলা মিথ্যাচার ও বিশ্বনবীসহ ইসলামের সম্মানিত চার খলিফার অবমাননার শামিল। 

আর এই বানোয়াট কথাগুলোই দুঃখজনকভাবে সংযুক্ত করা হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিকের পাঠ্যবই 'ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি ১ম পত্র' বইয়ে। এরফলে শিক্ষার্থীরা ইসলামের ইতিহাস জানতে যেয়ে উল্টো সম্মানিত নবী ও বরেণ্য সাহাবাদের সম্পর্কে ভুল ধারণা নিয়ে বেড়ে উঠছেন।

নবম-দশম শ্রেণীর 'ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা' বইয়ে ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর ফারুক রা.কে গণতন্ত্রমনা বলা হয়েছে আর একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীতে এসে বহুধাপ এগিয়ে স্বয়ং আল্লাহর প্রত্যাদেশ প্রাপ্ত বার্তাবাহক বিশ্বনবী ﷺ কেই 'গনতন্ত্রে বিশ্বাসী' দাবি করা হয়েছে। আসলেই কী নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গনতন্ত্রে বিশ্বাসী ছিলেন? এই কথা বললে সমস্যাই বা কোথায় বা কতটুকু? সে প্রসঙ্গে যাবার আগে আমরা আলোচ্য পাঠ্যপুস্তকের কিছু অংশ সরাসরি উদ্ধৃত করছি,


//
•••গণতন্ত্রে বিশ্বাসী হযরত মুহাম্মদ (সা:) কাউকে তাঁর উত্তরাধিকারী মনোনীত করে যাননি। তার কোনো পুত্র সন্তান ও জীবিত ছিলেন না। এরূপ উদ্ভূত জটিল পরিস্থিতি লক্ষ্য করে ঐতিহাসিক হিট্রি বলেন, "খিলাফত প্রশ্নই ছিল ইসলামের প্রথম সমস্যা। এটি অদ্যাবধি একটি জীবন্ত সমস্যা।•••[পৃষ্ঠা:১২৮,২৫ নং লাইন]
.
•••আরব রাষ্ট্রের সর্বাধিনায়ক হয়েও তারা কখনও ত্যাগ, ন্যায়নিষ্ঠা, সরলতা, সততা এবং জনসেবা ও জনকল্যাণের আদর্শ ও লক্ষ্য হতে বিচ্যুত হননি। তাঁদের প্রতিষ্ঠিত গণতান্ত্রিক শাসনাদর্শন আজও ধ্রুবজ্যোতির মতো সকলকে দিক নির্দেশ করছে।•••[পৃষ্ঠা:১২৭,১২ নং লাইন]
.
•••খোলাফায়ে রাশেদীনদের (৬৩২-৬৬১খ্রি.) খলিফা চতুষ্টয় ছিলেন মহানবী মুহাম্মদ (সঃ) এর আদর্শ প্রতিনিধি ও গণতন্ত্রের ধারক ও বাহক তারা। তাঁরা পবিত্র কুরআন ও সুন্নাহর ভিত্তিতে ও গণতন্ত্রের আলোকে রাষ্ট্র পরিচালনা করতেন।•••[পৃষ্ঠা:১৩০,২৪ নং লাইন]
.
•••অতঃপর মহানবীর (সা.) কোনো পুত্রসন্তান জীবিত না থাকায় এবং গণতন্ত্রে বিশ্বাসী মুহাম্মদ (স.) কাউকে খিলাফতের উত্তরাধিকারী মনোনীত না করার ফলে খিলাফত প্রশ্ন ইসলামের প্রথম জটিল সমস্যা হিসেবে দেখা দিল।•••[পৃষ্ঠা:১৩২,৯নং লাইন]
.
•••অতঃপর সা'দ ব্যতীত ওসমান (রা), আবু উবাইদা, আব্দুর রহমানসহ উপস্থিত সকলে স্বতঃস্ফূর্তভাবে আবু বকরের (রা.) হস্ত চুম্বন করে আনুগত্য স্বীকার করেন। এভাবে গণতান্ত্রিক রীতিতে তিনি খলিফা নির্বাচিত হন।•••[পৃষ্ঠা:১৩২,১৪নং লাইন]
.
•••মহানবীর (সা.) ইন্তেকালের পর তাঁর (হযরত আবুবকর রা.) নির্বাচনের ফলে ইসলামের প্রাথমিক দুর্যোগ কেটে যায়। তাঁর নির্বাচনে গণতন্ত্রের জয় বিঘোষিত হয়। ইসলাম জগতে এর পর হতে রাষ্ট্রপ্রধান নির্বাচন ক্ষেত্রে গণতন্ত্র সূত্রপাত হয়।•••[পৃষ্ঠা:১৩২,১৫ নং লাইন]
.
•••তিনি (হযরত আবুবকর রা.) গণতন্ত্রে পূর্ণ বিশ্বাসী ছিলেন এবং জনগণের মতানুসারে খিলাফতের কার্যাদি সমাধা করতেন।•••[পৃষ্ঠা:১৪১,প্রথম লাইন]
//

উপরের উদ্ধৃতিগুলোর ত্রুটি বুঝতে হলে দুইটি বিষয় সম্পর্কে অবশ্যই জ্ঞাত হতে হবে। এক, ইসলাম ও ইসলামী শাসনব্যবস্থা সম্পর্কে জ্ঞান রাখা এবং গনতন্ত্র সম্পর্কে জানা থাকা। যারা ইসলাম ও গনতন্ত্র উভয় জীবনব্যবস্থা সম্পর্কে অবগত তারা অবশ্যই এখানে মারাত্মক ভ্রান্তি লক্ষ্য করবেন।


প্রথমেই প্রশ্ন করা যেতে পারে, গনতন্ত্র কী? 

এ প্রশ্নের সবচেয়ে সহজ উত্তর হতে পারে, জনগণের শাসন। অধ্যাপক গেটেলের মতে,' যে শাসন ব্যবস্থায় জনগণ সার্বভৌম ক্ষমতার প্রয়োগে অংশ নেওয়ার অধিকারী তাই গণতন্ত্র।[১] 


অর্থাৎ যেখানে আইন প্রণয়নের সার্বভৌম ক্ষমতা জনগনের তথা মানুষের। ভালো-মন্দ ,আইন-কানুন, নীতি-নৈতিকতার চূড়ান্ত মানদণ্ড নির্ধারণ করবে মানুষ। এখানে আইনের মৌলিক উৎস অধিকাংশ পার্লামেন্টারিয়ানের ইচ্ছা।


অপরদিকে ইসলামী শাসনব্যবস্থা কী

এ প্রশ্নের সহজ উত্তর হতে পারে, আল্লাহর মর্জি মতে রাষ্ট্রপরিচালনা তথা আল্লাহর সার্বভৌমত্ব ভূখণ্ডে বাস্তবায়ন করা। মানুষ এখানে আল্লাহর প্রতিনিধি ও দাস। মহান আল্লাহ তায়ালা হচ্ছেন হুকুমদাতা আর মানুষ হচ্ছে আল্লাহর গোলাম। ইসলামী বিশ্বাস অনুসারে সার্বভৌমত্ব মানুষের নয়, আল্লাহর।[২]


 উদাহরণস্বরূপ, গনতান্ত্রিক রাষ্ট্র চাইলে মদ বৈধও করতে পারে আবার অবৈধও করতে পারে, কিন্তু ইসলামী শাসনব্যবস্থা তথা খিলাফতে তা সম্ভব নয়। আল্লাহর যে কোন নির্দেশ বিনা বাক্যে মেনে নেয়াই খেলাফত ব্যবস্থার পবিত্র দায়িত্ব। মুসলিম হওয়ার অন্যতম শর্ত হলো আল্লাহর বিধানসমূহ বিনা বাক্যে মেনে নেয়া। অপরদিকে গণতন্ত্রে কোন বিধান গ্রহণ বা বর্জনের মাপকাঠি হলো অধিকাংশের মর্জি।


এখানেই ইসলাম ও গনতন্ত্রের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য। একটি আল্লাহর শাসনব্যবস্থা অপরটি মানুষের শাসনব্যবস্থা। একটিতে চূড়ান্ত আইনদাতা আল্লাহ তায়ালা, অপরটিতে মানুষ। আর আল্লাহর পরিবর্তে সার্বভৌমত্বের মালিক মানুষকে মনে করা সুস্পষ্ট কুফর। আল্লাহর প্রত্যাদেশ প্রাপ্ত বার্তাবাহক বিশ্বনবী মুহাম্মদ ﷺ ও জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত ইসলামের মহান খলিফাদের গনতন্ত্রের ধারক বাহক(কুফরের ধারক বাহক) বলা কত বড় ধৃষ্টতা ও জালিয়াতি তা বিজ্ঞ পাঠকরাই বিবেচনা করবেন।


এখন কেউ প্রশ্ন করতে পারেন, তাঁরা তো পরামর্শ করে কাজ করতেন, খলিফাদের শাসনামলে 'স্বাধীনতা', 'বাকস্বাধীনতা', 'সমানাধিকার' ইত্যাদি ছিলো! এজন্য কী তাঁদের গনতন্ত্রমনা বলা যাবে না?!!! 


এ কথা সত্য যে সকল খলিফারাই পরামর্শ করে কাজ করতেন। তবে তাঁরা কোন বিষয়ের পরামর্শ করতেন? এ প্রশ্নের উত্তর খোঁজা জরুরি। পরামর্শ করে কাজ করা আল্লাহর হুকুম। খলিফারা যখন পরামর্শ করতেন তা আল্লাহর হুকুমের সীমার মধ্যেই করতেন, গনতন্ত্র অনুযায়ী জনগণের সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করতে কীভাবে কোন আইন তৈরি করা যায় তার পরামর্শ করতেন না। যেখানে ইসলামে পরামর্শ করার নির্দেশনা রয়েছে কেবল সেখানেই পরামর্শ করতেন, এর অন্যথা নয়। আর তা আল্লাহর হুকুম বলেই করতেন অবশ্যই গনতন্ত্র অনুসারে নয়।


আর পরামর্শ করার নামই গনতন্ত্র এ সংজ্ঞাই বা কে দিয়েছে? পৃথিবীর এমন কোন শাসনব্যবস্থা কী দেখানো যাবে যেখানে রাজা বা রাষ্ট্রপ্রধান কখনো তার উপদেষ্টা, মন্ত্রীসভা ও বিশেষ জ্ঞানী ব্যক্তিদের সাথে পরামর্শ করেনি? 


রাজা বা রাষ্ট্রপ্রধান কারো সাথে কোন কিছু পরামর্শ করলেই তাকে কী গনতন্ত্র বলা হয়? এই বালখিল্য কথার আবিস্কারকই বা কে? রাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রের শাসকরাও তো সভাসদ ও বিশেষ ব্যক্তিদের সাথে পরামর্শ করতেন তাদেরও কী এজন্য গনতান্ত্রিক শাসক বলা যাবে?


খোলাফায়ে রাশেদীনের সময় 'বাকস্বাধীনতা' ছিলো একথাও সত্য। কিন্তু এই বাকস্বাধীনতার ভিত্তি ছিলো ইসলাম। আর তা তিনি নিশ্চিত করতেন ইসলামী ধর্মগ্রন্থ অনুসারে। আড়াই হাজার বছর আগের প্রাচীন গ্রীসের গনতন্ত্র বা আধুনিক গনতন্ত্র অনুসারে নয়। 


ইসলামী খিলাফতে শাসকের জবাবদিহিতা ও দায়িত্বশীলতার যে নজির স্থাপন হয়েছে তা খিলাফত ছাড়া আর কোন ব্যবস্থায় খুঁজে পাওয়া যায় না, গনতন্ত্রে তো নয়ই। আর গণতন্ত্র যে অবাধ বাক স্বাধীনতার কথা বলে তার দূষণ থেকে খলিফা ওমরের রা. ইসলামী সাম্রাজ্য মুক্ত ছিলো, সেখানে বাকস্বাধীনতা নামে কোন মিথ্যা ধর্ম প্রচারের অনুমতি ছিলো না।


 কেবল ইসলাম প্রচারেরই অনুমতি ছিলো। মুসলিমদেরও শরিয়তের নির্ধারিত সীমার বাইরে কথা বলার সুযোগ ছিলো না। গনতন্ত্রের মতো বল্গাহীন ও ক্ষতিকর বাকস্বাধীনতার দূষণ থেকে ইসলামী খেলাফত মুক্ত।


গনতন্ত্র ও ইসলামের স্বাধীনতার ধারণাও ভিন্ন। ইসলামী খেলাফতে নিজের ইচ্ছে মতো ইসলাম ত্যাগের স্বাধীনতা ছিলো না, বরং তার জন্য ছিলো মৃত্যুদণ্ডের মতো সর্বোচ্চ সাজা। ইসলাম গনতন্ত্রের মতো স্বাধীনতার নামে মুসলিমদের প্রকাশ্যে পাপাচার করার সুযোগ করে দেয় না। স্বাধীনতার নামে অর্ধ নগ্ন হয়ে ঘুরে বেড়ানোরও সুযোগ ছিলো না। 


এছাড়া তৎকালীন জাজিরাতুল আরবে তো ইসলাম ব্যতীত অন্য ধর্মাবলম্বীদের স্থানী বসবাসের সুযোগই ছিলো না। কাফের গোত্রগুলো জাজিরাতুল আরবে থেকে উচ্ছেদ করে জাজিরাতুল আরবকে শিরক-কুফরের কদর্যতা থেকে মুক্ত করেছিলেন ন্যায়পরায়ণ খলিফা ওমর রা.। 


আর সমানাধিকারের প্রশ্ন আসলে, তাও ইসলাম ও গনতন্ত্রের মধ্যে বিস্তর পার্থক্য আছে। ইসলামী রাষ্ট্রে বসবাসরত মুসলিম ও কাফের কখনোই সমান নয়, তার একটি বড় উদাহরণ হতে পারে একপক্ষের জিযিয়া(নিরাপত্তা কর) দিয়ে বসবাস করতে হয়, অপরপক্ষের(মুসলিমদের) নয়।


আবার গনতন্ত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো সরকারি ও বিরোধী দল তথা একাধিক রাজনৈতিক দলের অস্তিত্ব থাকা, অপর দিকে ইসলামী খেলাফতে কোন রাজনৈতিক দলের অস্তিত্বই নেই, ইসলাম খলিফার অধীনে বাইয়াতবদ্ধ(শপথবদ্ধ) জীবনের সন্ধান দেয়। গনতন্ত্রের মতো জাতীয় অনৈক্য বা বিশৃংখলার নয়। 


সরকারি দল বিরোধী দল বলতে কোন শব্দ ইসলামী শাসনব্যবস্থার অভিধানে নেই। আবার গনতন্ত্রে প্রার্থিতা ও প্রার্থীর নিজের পক্ষে ক্যাম্পেইন করার রীতি রয়েছে অপরদিকে ক্ষমতার লিপ্সা ও বৈধ শাসকের বিরুদ্ধে নিজের পক্ষে ক্যাম্পেইন করাও অপরাধ বলে চিহ্নিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,““আল্লাহর কসম! আমরা এমন কাউকে এ দায়িত্ব দেই না যে তা (সরকারী পদ) প্রার্থনা করে অথবা তার প্রতি লোভ রাখে।” [৩]


মহানবী ও খলিফাদের শাসনআমল ছিলো মানব সভ্যতার ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শাসনআমল। গনতন্ত্রের মতো ত্রুটিপূর্ণ শাসনব্যবস্থা নয়। দার্শনিক প্লেটোর ভাষায়, গনতন্ত্র হচ্ছে মূর্খের শাসন। ( এখানে তত্ত্ব মতে অধিকাংশের অর্চনা করা হয়,বাস্তবে যদিও একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর, জ্ঞানী মূর্খ সবার ভোটের মান সমান ধরা হয়, আর অধিকাংশ জনগণ যেহেতু রাষ্ট্রীয় ভালো মন্দ বিষয়ে জ্ঞানী নয় তাই অধিকাংশ মূর্খের ভোটে মূর্খরা বিজয়ী হবার সমূহ সম্ভাবনা থাকে যায়, এখানে একেতো আইনপ্রণেতা নির্বাচন করা হয় আবার এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও শ্রমজীবী মুচির ভোটের মানও সমান)


গনতন্ত্র নামক একটি মূর্খতাপূর্ণ অনৈতিক শাসনব্যবস্থার সাথে নবীজি ও খলিফাদের নাম জুড়ে দেওয়া কত বড় জঘন্য মিথ্যাচার তা বলার অপেক্ষা রাখে না।


গনতন্ত্রের নির্বাচন সিস্টেম থেকে শুরু করে পুরো গনতান্ত্রিক ব্যবস্থা নিয়েই যৌক্তিক সমালোচনা আছে, প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যে তা নিয়ে একাডেমিক আলোচনা রাষ্ট্রবিজ্ঞানীগন করেছেন। তবে এখানে আমাদের গনতন্ত্রের সামগ্রিক পর্যালোচনা করা উদ্দেশ্য নয়‌। 


তাই এখানে, পাঠ্যপুস্তকে সৃষ্ট সংশয় নিরসনে ইসলামের সাথে গনতন্ত্রের অল্পকিছু অমিল উপস্থাপন করা হলো। ইসলাম পূর্ণাঙ্গ দ্বীন, একমাত্র সত্য ও নির্ভুল জীবনব্যবস্থা। ইসলামের অন্য কোন ধর্ম বা মতবাদের দ্বারস্থ হওয়ার প্রয়োজন নেই। অতীতেও ছিলো না, এখনো নেই এবং ভবিষ্যতেও প্রয়োজন পড়বে না। আলহামদুলিল্লাহ আমাদের খোলাফায়ে রাশেদীন এর থেকে পবিত্র ছিলেন। 


যারা রাসুলুল্লাহ ﷺ ও সম্মানিত খলিফাদের গনতন্ত্রে বিশ্বাসী ও ধারকবাহক ট্যাগ লাগিয়ে নবীজি-খোলাফায়ে রাশেদীন ও ইসলামী ব্যবস্থাকে কলঙ্কিত করছে, আল্লাহর দরবারে তাদের হেদায়েত কামনা করি। সর্বোপরি পাঠ্যপুস্তকের যাবতীয় ভুল ভ্রান্তি দূর করে আগামী প্রজন্মকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে সকলেই যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসবেন বলে প্রত্যাশা রাখি‌।

.
তথ্যসূত্র:
১.বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়' ৯ম-১০ম শ্রেণী
২.সুরা : আরাফ, আয়াত : ১২৮
৩.islamic-content-com/hadeeth/423/bn

- Monir Ahmed Monir

Next Post Previous Post