মুসলিম ভাই একটু সময় হবে লেখাটা পড়ার? বোনটার জন্য একটু দুয়া করার?

বাংলাদেশ কি ভারতকেও হার মানাচ্ছে না?  ধর্ষকে ভরা এদেশ 

মেয়েটা মাত্রই কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশুনা শেষ করেছিলো।

সদ্য পাশ করা সবার মতো জীবনে তার ঠিক কী কী স্বপ্ন ছিলো জানা নেই। এখন তো জানার উপায়ও নেই। বড়ো বোনের কয়েকদিন আগে স্বামীর সাথে ছাড়াছাড়ি হয়ে গিয়েছিলো। কিন্তু স্বামীপক্ষ ছাড়াছাড়ি মানতে নারাজ। জোর করে উঠিয়ে নিতে চাইলো বাসা থেকে। মেয়েটা বাধা দিলো। যে কোনো বোনই বাধা দেবে। ফলাফল?



তাকে পাশের রুমে নিয়ে ধর্ষণ করা হলো। ধর্ষণ কিংবা গণধর্ষণ, এই শব্দগুলো এখন হয়তো অনেক পানসে হয়ে গেছে আমাদের কাছে। রোজই ঘটে। তবে মেয়েটা যাদের দ্বারা গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলো, সেটা জানলে যে কোনো বিবেকবানই মানুষই শিউরে উঠার কথা। তাকে একসাথে ধর্ষণ করেছে বড়ো বোনের স্বামী মানে তার দুলাভাই, দুলাভাইয়ের আপন দুই ভাই, মামা, মামাতো ভাই- সবাই। মানে, তিন আপন ভাই একসাথে মিলে ধর্ষণ করেছে। মামা, মামাতো ভাইকে সাথে নিয়ে।

বিকৃত মানসিকতা সম্ভবত এরচে’ বেশি নীচে নামা সম্ভব নয়। মেয়েটাকে এরপর ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। আত্মহত্যা করেছে নাকি আত্মহত্যা দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে সেটা তদন্তকারীরাই বলতে পারবেন ভালো।
দুনিয়াতে এতো কষ্ট পেয়ে মারা যাওয়া এই বোনের ওপর আল্লাহ তা‘আলা যেন রহম করেন এই দু‘আই করি।

দেশের ক্রিম-ইউনিভার্সিটিগুলোতে পড়েনি বলে হয়তো মেয়েটার ওপর হওয়া এমন বর্বরতার পরেও এটা নিয়ে সেভাবে রিপোর্ট হয় নি। কেউ সেভাবে রিএক্টও করে নি। আর রিএক্ট হলেও যে এ ধরনের ঘটনা বন্ধ হয়ে যাবে তাও মনে করি না। তাও কেন লিখলাম? হয়তো ঘটনাটা হজম করতে পারলাম না বলেই লিখলাম। আমার এক প্রিয় লেখক বলতেন, বেশির ভাগ মানুষকে কোনো জুলুম ততোদিন পর্যন্ত স্পর্শ করে না, যতোদিন পর্যন্ত না জুলুমটা তার সাথে হয়। এই বিচারহীনতার যুগে আমাদেরই কেউ একদিন মেয়েটার মতো দুঃস্বপ্নের মুখোমুখি হবে না এটা বলা কঠিন।

ভালো কথা, বারবার মেয়েটা, মেয়েটা- বলছি কেন! তার স্বপ্নের কথা না জানি, তার নামটা তো জানি। বেশ সুন্দর নাম।
তিন্নি।
- শিহাব আহমেদ তুহিন
উপরের লেখাটা পড়ে অন্তরে বিন্দু পরিমান ইমান আছে এমন মানুষের অন্তর রাগে ফেটে যাবে, অসহায় ক্ষোভ বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু কি করার আছে বলেন...ধর্ষক তো ক্ষমতায় বসে আছে :(



'৭১ এ নাকি এদেশে নারীদের ধর্ষণ করা হয়েছিল! ওসবের পেছনে কারা ছিল, কেন ছিল, কারা পলিটিক্যাল ইস্যু বানিয়ে ফায়দা লুটছিল, কারা কারা সুশীলতার মুখোশ পড়ে ধান্ধা করছিল- তা আজ অনেকেই জানে এবং বুঝে! কিন্তু সেই বর্বর সিচুয়েশনেও বোধহয় এভাবে কোনো নারীকে বিবস্ত্র করে তাঁর সাথে বন্য জানোয়ারের মত আচরণ করা হয়নি! কিন্তু আজকের স্বাধীন দেশ '৭১ এর সেই বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে! ছি: ছি: ছি:!
ভিডিওটি আমি দেখিনি। এসব ভিডিও দেখার মত হিম্মত সবার থাকে না। এসব দেখলে এবং শুনলে অজান্তেই নিজের ভেতরে ক্রোধ, ক্ষোভ এবং ঘৃণার উদ্রেগ হয়; যারা এই সমাজ, দেশ এবং রাষ্ট্রটাকে এমন বর্বর এবং লুটেরাদের রাজ্যে পরিণত করেছে, অথর্ব একটা দেশে পরিণত করেছে, সেইসব মানুষরূপী শুয়ো**দের প্রতি রাগে শরীরটা কাঁপতে থাকে! ধিক্! অন্তরের সবটুকু ঘৃণা ওদের জন্য বরাদ্দ থাকল!
মাত্র কয়েকদিন আগে এমসি কলেজে একটা মেয়েকে গণধর্ষণ করেছে কুলাঙ্গাররা! কিছুদিন যেতে না যেতেই এখন আরেকটা মেয়েকে গণধর্ষণ করে বিবস্ত্র করে তার ভিডিও আবার সোস্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল করেছে এই কুলাঙ্গাররা! ক্ষমতা এদেরকে এতটাই জানোয়ার বানিয়েছে!
এই যে দেশে একটার পর একটা বর্বর ঘটনা ঘটছে, এত এত অন্যায় হচ্ছে, লাগাতার গণধর্ষণ হচ্ছে- এসব কারা করছে? কার ছত্রছায়ায় ওরা ওসব করছে? কার ইশারায় এসব হচ্ছে? কাদের মদদে এমন জঘণ্য ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেও পার পেয়ে যাচ্ছে? কেন পার পেয়ে যাচ্ছে? এসব কি আজ কারো অজানা!?
তাই বিচার চাইছেন কার কাছে? কে বিচার করবে? রাষ্ট্রের রন্ধ্রেরন্ধ্রে যখন চোর, বাটপার, দুর্নীতিবাজ, নেশাখোর, ধর্ষক বসে থাকে, তাদের মাদার অফ হিউম্যাটি নিজেও ক্ষমতার জন্য সব করতে পারে, সেই রাষ্ট্রে বিচার চাওয়া আর অরণ্যে রোদন করা একই কথা! পুরো দেশটাই এখন অসভ্য ইতরদের দখলে! এখানে ভালো কিছু আশা করাটাই বোকামি! সব এখন নষ্টদের দখলে!
এসব নিয়ে তথাকথিত সুশীল নামক বাটপারদেরও কিছু বলতে শুনবেন না। নারী অধিকার নিয়ে কথা বলা আধুনিক প্রস্টিটিউটদেরও কিছু বলতে শুনবেন না। যদিওবা কিছু বলে, সেটাও ওদের ধান্ধার কারণেই বলবে! এতটাই বদমাইশ এগুলা! এই এরা তো এমন বাংলাদেশই চেয়েছিল! নিজেরা নষ্ট হয়ে গেছে, তাই অন্যকে ভাল থাকতে দেবে কেন? তাই অন্যকে ভাল থাকতে দেখলেই এদের চুলকায়! জায়গায়-বেজায়গায় চুলকায়!
আর এ চুলকানিটা বেশি হয়- ইসলাম নিয়ে কথা বললে। ইসলামের সৌন্দর্য নিয়ে কথা বললে। আজ যদি ইসলামি আইন এইদেশে কায়েম থাকত তাহলে দেশটা এতটা ভাগাড়ে পরিণত হত না। কিন্তু এই ইসলামি আইন কায়েম হলে তো আর নষ্টগুলো নষ্টামি করতে পারবে না! নিজেরা তো নষ্ট হয়েছে, অন্যদের নষ্ট করতে পারবে না! পারিবারিক বন্ধন আর সংসারে অশান্তি লাগাতে পারবে না! তাই ইসলামের সমতা আর সৌন্দর্যের কথা বললেই এদের চুলকায়! এরাই নাকি আবার মানবতার ফেরিওয়ালা! ধিক্ তোদের মত বদমাইশদের...!
এই দেশে এখন ঠিকভাবে নি:শ্বাস নেবার মতও অবস্থা নেই! সব পঁচেগলে এখন শুধু দুর্গন্ধ বের হচ্ছে! তাই এখন থেকে এই রাষ্ট্রের নাম দেয়া হোক 'ধর্ষিতা বাংলাদেশ!!'
© হূুসাইন আহমদ শ্রাবণ
Next Post Previous Post