ইসকন বাংলাদেশ বিতর্ক ও মনস্তাত্ত্বিক প্রক্সি যুদ্ধ
ইসকন বাংলাদেশ বিতর্ক ও মনস্তাত্ত্বিক প্রক্সি যুদ্ধ বা ছায়া যুদ্ধ
যা যা থাকছে এই পোস্টে
- প্রক্সি যুদ্ধ কৌশলটি ব্যবহৃত হয়েছিল কোন বিশ্বযুদ্ধে
- প্রক্সি যুদ্ধ কাকে বলে
- ছায়া যুদ্ধ কাকে বলে
- মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ pdf
- ইসকন
- ইসকন কি ঠিক
- ইসকন পত্রিকা
- ইসকন বিতর্ক
- ইসকন বাংলাদেশ
প্রসঙ্গ ইস্কন - প্রক্সি ওয়ার তথা নমঃশূদ্রদের উত্থান!
প্রিয় পাঠক! প্রক্সি ওয়ার কাকে বলে সেটা কি জানা আছে আপনাদের? মূলত আরেকজনের ঘাড়ে বন্দুক রেখে শিকার করাকে বলা হয় প্রক্সি ওয়ার।
যেমন 70 এর দশকে সোভিয়েতদের বিরুদ্ধে আফগান যোদ্ধাদের সর্বাত্মকভাবে অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে যুদ্ধ করিয়েছিল আমেরিকানরা। আবার তারও আগের দশকে আমেরিকানদের বিরুদ্ধে ভিয়েতনামের দ্বারা প্রক্সি যুদ্ধ করিয়েছিল সোভিয়েত রাশিয়া।
মূলত এই প্রক্সি ওয়ার কে ধরে নেওয়া হয় কুটিল থেকে কুটিলতর সফল যুদ্ধ কৌশল হিসেবে।
অর্থাৎ আপনি নিজে যুদ্ধ করবেন না, কিন্তু আপনার নিজের লেলিয়ে দেয়া কুকুর শত্রুপক্ষের গোশত খাবলে খাবলে খাবে।
আমাদের স্মার্ট কাউবয় মোসাদ কিন্তু ঠিক একই পলিসিতে কাজ করে।
কি লিবিয়া, কি সিরিয়া, কি ইরাক, সব জায়গাতেই মোসাদ সেখানকার শাসকদের অপসারণ করার জন্যে একই পলিসি অবলম্বন করেছে।
মোসাদের লেলিয়ে দেয়া মার্কসম্যানেরা কোটি কোটি মুসলমান হত্যা করেছে।
ইহুদীরা নিজেরা যুদ্ধ করে না, তারা অন্যকে দিয়ে যুদ্ধ করায়। যেমন সিরিয়ার বিপর্যয়ের সাথে জড়িত মেন্দি এন সাফাদি ইজরায়েলি ডিপ্লোম্যাট, কিন্তু দ্রুজ শিয়া।
দ্রুজ ধর্ম মূলত শিয়া ইসলামের একটি শাখা। দ্রুজদের ধর্ম বিধানে ইব্রাহিমীর ধর্মসমূহের পাশাপাশি নিওপ্লাতিনিক এবং পিথাগোরীয় মতবাদের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। দ্রুজগণ নিজেদেরকে “আহলে তাওহীদ” (একেশ্ববাদী মানুষ বা একতাবদ্ধ মানুষ) অথবা “আল মুয়াহিদুন” বলে পরিচয় দেয়।
একইভাবে ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স এর অধিকাংশ সদস্যই দ্রুজ সম্প্রদায় এবং উপজাতি সম্প্রদায়ের।
প্রত্যেক ইহুদির কমপক্ষে দুটি পাসপোর্ট থাকে একটি থাকে খৃষ্টান নামে আরেকটি থাকে ইহুদি নামে।
ইহুদিবাদী মগজ ধোলাই এর কাজ গুলি তথা নৈরাজ্য সৃষ্টি করা কাজগুলি তারা ক্রিশ্চান নামের পাসপোর্ট দিয়ে করে থাকে।
প্রিয় পাঠক! এই ভূমিকার মূল উদ্দেশ্য হলো কাপুরুষ ইহুদি এবং ইহুদীবাদীদের ওয়ার্কিং প্যাটার্ন সম্পর্কে পুনর্বার মাইন্ড ম্যাপ তৈরি করা।
এবার আসুন আমরা একটু ইসকন তৈরির ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করি, এর প্রথম কারণ হল মানুষ ইসকন এর প্রতিষ্ঠার ইতিহাস জানে না।
উগ্রবাদী ইহুদি ও হিন্দুদের সংগঠন হল ইসকন।
১৯৬৬ সালে নিউইয়র্ক সিটিতে এটি নিবন্ধন করা হয় এবং শ্রীল প্রভুপাদ নামে একজন হিন্দুকে সামনে রাখা হয়।
ইহুদি Stephen Goldsmith and Carl Yeargens ছিল ইসকন এর প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি, প্রতিষ্ঠাতা সহযোগী ছিল যথাক্রমে তিন ইহুদি, Michel Grant, Jan এবং James Grune.
বিশাল হিন্দু জনগোষ্ঠীকে মুসলমানদের বিরুদ্ধে কাজে লাগানোর জন্যই ইহুদিরা ইসকন গঠন করেছে এবং কৃষ্ণভক্ত সেজেছে।
সূত্র : বই-সাম্রাজ্যবাদ,সাম্প্রদায়িকতা ও সন্ত্রাস, এস,এম নজরুল ইসলাম।
এখন প্রশ্ন উঠতে পারে কেন ইহুদিরা কৃষ্ণ ভক্ত বৈষ্ণবদের কে বেছে নিয়েছে? এর অনেকগুলো কারণ রয়েছে।
প্রথমত - ইহুদিরা ইসকনের স্ট্রাকচার কেমন ভাবে তৈরি করেছে, ঠিক একটি মনোথেইস্ট (একেশ্বরবাদী) ধর্মের মত। ব্রিটিশ আমলেও ইহুদিরা একই উদ্দেশ্যে তৈরি করেছিল একেশ্বরবাদী ব্রাহ্মসমাজ। ব্রাহ্মসমাজ ছিল হিন্দুদের থেকে আলাদা। ঠিক তেমনি ভাবে ইসকনানন্দ শুধুমাত্র এক কৃষ্ণের আরাধনা করে।
এরপর সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো কৃষ্ণের ওয়ার স্ট্রাটেজী। মহাভারতের কাহিনী অনুযায়ী দূর্যোধন এবং অর্জুন যথাক্রমে কৌরব এবং পান্ডবদের পক্ষ থেকে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের আগে কৃষ্ণের কাছে যায়।
একপর্যায়ে দূর্যোধন কৃষ্ণের ১০০০০০ প্রশিক্ষিত সেনাদল গ্রহণ করে (এভাবেই কৌরবরা অক্ষৌহিণী বাহিনী গঠন করে, প্রতি অক্ষৌহিনী তে ২ লাখ ১৮হাজার, ৭০০ গণনা করা হয়)। কিন্তু এর বিপরীত দিকে অর্জুন শুধুমাত্র কৃষ্ণ কে তার পক্ষে থাকার জন্য আহ্বান জানায়। কৃষ্ণ এই শর্তে রাজি হয় যে সে অর্জুনের রথের সারথি হবে এবং অর্জুনকে যুদ্ধ পরিচালনার সমস্ত নির্দেশনা দান করবে, কিন্তু নিজে যুদ্ধ করবে না!!!
কৃষ্ণ এবং অর্জুনের কথোপকথন সংকলনই কথিত ভগবদ্গীতা নামে পরিচিত।
কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের আগে অর্জুন আত্মীয় বন্ধু ও গুরু দ্রোণাচার্য কে দেখে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েছিল। তখন কৃষ্ণের কাউন্সেলিং, তথা প্ররোচনা তথা মগজ ধোলাই এর প্রেক্ষাপটে শেষ যুদ্ধ করতে মনস্থ হয়।
পুরো যুদ্ধতেই কৃষ্ণ নিজে অস্ত্র ধারণ না করে অর্জুনকে দিয়ে লড়াই করিয়ে নেয়। সোজা বাংলায় প্রক্সি ওয়ার করায়।
প্রিয় পাঠক! আমাদের বোঝার পয়েন্ট ঠিক এখানেই। মোসাদের ইহুদিদের ওয়ার্কিং স্ট্রাটেজীর সাথে কৃষ্ণের ওয়ার স্ট্রাটেজী পুরোপুরি মিলে যায়।
এছাড়াও ইসকনানন্দের মূল একজন ব্যক্তিত্ব হলো চৈতন্য , তার শ্লোগান ছিল “নির্যবন করো আছি সকল ভূবন।“ অর্থাৎ মুসলমানদেরকে সমূলে নিশ্চিহ্ন করা চৈতন্য তথা বিদ্যানন্দের মূল অভিপ্রায়।
এছাড়াও ইহুদিরা যে যৌন নৈরাজ্যবাদ প্রচার করতে চায়, সেজন্য জগন্নাথ তথা কৃষ্ণ একটি আদর্শ মাধ্যম। কারণ বৃন্দাবন লীলা নিয়ে গবেষণা করলে আমরা দেখতে পাই ষোলশত গোপিনী কৃষ্ণর চারিত্রিক কলুষতায় জোগান দিতো।
নেপথ্যে থেকে কাজ করা আজকে বিশ্বব্যাপী মন্দার কারণে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ অঞ্চলের সচ্ছল মুসলমানদের টাকা গুলি পাচারের জন্য ইসকনানন্দের বি টীম বিদ্যানন্দ একটি বিশাল বড় পাইপলাইন।
এদের কাজ কর্ম অনেকটা ছররা গুলির মত। ছররা গুলি যেমন একত্রে অনেক গুলি নিক্ষেপ করা হয়, ঠিক তেমনি ইহুদিবাদীরা একইসাথে অনেকগুলি এজেন্ডা বিদ্যানন্দের মাধ্যমে মুসলমানদের বিরুদ্ধে থ্রো করেছে। যদিও বা সেটা কৃষ্ণ প্রসাদ ভক্ত অনেক মুসলমান আজ বুঝতে পারছে।
এইখানে একটা মজার ব্যাপার হল ইসকনের প্রভুপাদ তার বাণীর মধ্যে বলেছে, তারা নিজেদেরকে হিন্দু বলে মনে করে না!
শ্রী ঈশোপনিষদ ভূমিকায় প্রভুপাদ স্পষ্ট ভাবে বলেছে," আমরা হিন্দু নই"। এছাড়াও সে নিউ ইয়র্কে ভগবত গীতা লেকচারে বলেছে, আমরা শিক্ষা দিচ্ছি গড কনশাস হওয়ার জন্য। ঈশ্বর হিন্দু ও না মুসলিম ও না, ক্রিশ্চান ও না।" আবার ২১.১২.১৯৬৬ সালে নিউইয়র্ক এর আরেকটি লেকচারে সে বলেছে, আমি ব্রাহ্মণ নই আমি খৃস্টান নই, আমি হিন্দুও নই......। আমি শুধু কৃষ্ণের দাসের দাসের দাস।
অর্থাৎ কি বুঝলেন প্রিয় পাঠক! ইসকনান্দের মাঝেও ইহুদিরা মনোথেইজমের ফ্লেভার দেওয়ার চেষ্টা করেছে।
এমনকি তারা যে কপালের উপর উপনয়ন অঙ্কন করে সেটাও ইহুদিদের কথিত মাসিহা এক চোখ কানা দাজ্জাল এর অনুসরণে।
- বাহাউদ্দিন কবির, ভারত