তাওয়াক্বুল কাকে বলে কত প্রকার ও হাদিস এবং কিছু ঘটনা
তাওয়াক্বুল কাকে বলে কত প্রকার ও হাদিস এবং কিছু ঘটনা । Tawakkul Bangla
তাওয়াক্বুল করার অর্থ কী?
শাব্দিকভাবে তাওয়াক্বুলের রাফ অনুবাদ হল – আল্লাহ-র উপর ভরসা করা। কিন্তু এই শাব্দিক অনুবাদে তাওয়াক্বুল করার অর্থের ব্যপকতা ঠিক ধরা পড়ে না। থিওরিটিকালী তাওয়াক্বুল সম্পর্কে জানা, বোঝা কিংবা কথা বলা আর বাস্তবে এটাকে কাজে পরিণত করার মধ্যে তফাৎ শত সহস্র কোটি যোজনের। এর সবচেয়ে বড় প্রমান আমরাই। এমন এক সময়ে আমরা বসবাস করি যখন ইসলাম মেনে চলেন বা মেনে চলার চেস্টা করেন এমন মানুষগুলোও জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে, ভিন্ন ভিন্ন অ্যাসপেক্টে তাওয়াক্বুল করার সাহস পান না।
.
.
‘ব্যাঙ্কের চাকরিটা ছেড়ে দিল কী হবে’, ‘ব্যাঙ্ক লোনটা না নিলে ব্যবসার এক্সপ্যানশান কি করে হবে’, অথবা ‘কোন রকম ব্যাঙ্ক না থাকলে কেউ ব্যবসা করতে পারবে না’ (!), তাই রিবা আর রিবার ধূলো-কে একটু “ইসলামাইয” করা যাক – এমনসব চিন্তা করে আমরা অনেকে রিবা ছেড়ে আসতে পারি না।
.
.
.
মুখে তাওয়াক্বুল এর কথা বললেও সম্পূর্ণভাবে শারীয়াহ মেনে চলতে গেলে কত শত সমস্যার মুখোমুখি হত হবে, সমাজের কত তির্যক বাক্যবাণ আর ভ্রুকুটি সহ্য করতে হবে, সমবয়েসীদের তুলনায় কত ‘ব্যাকডেইটেড-অবসোলিট-আনকালচারড-আনসফিসটিকেইটেড” আর দুনিয়া পাবার দৌড়ে পিছিয়ে যেতে পড়তে হবে সেই আতঙ্কে আমরা ভুগতে থাকি।
.
.
.
আমরা ইসলাম প্রতিষ্ঠা করার কথা বলি, এই ব্যপারে তাওয়াক্বুলের কথা বলি, আল্লাহ-র নুসরাহ এর কথা বলি কিন্তু, সত্য ঘোষণার ক্ষেত্রে, দ্বীনের ফরয বিভিন্ন হুকুম পালনের ক্ষেত্রে মাক্কী জীবনের দোহাই দেই, অথবা শারীয়াতে স্থান নেই এমন সব পূর্বশর্ত জুড়ে দেই। দাওয়াহ-র ক্ষতি হয়ে যাবে(!), কুফফার রাগ করবে, আমাদের মুসলিমদের ব্যাপারে খারাপ ধারণা করবে, মাসলাহাতের দোহাই দিয়ে যে প্রশ্নে ছাড়া দেয়ার কোন এখতিয়ার আমাদের নেই, সেখানেও ছাড় দেয়ার পক্ষে যুক্তি বের করে আনি। আমরা শুধু এমনটা করেই ক্ষান্ত হই না, আমাদের এসব কাজের পক্ষে যুক্তি তৈরি করে ফেলি। নেসেসিটি, আর হিকমাহর কথা বলি। অনেক ক্ষেত্রে তাওয়াক্বুল করা আর ভ্রষ্ট সুফীদের নিস্ক্রিয়তাকে এক করে ফেলি। আবার অনেক ক্ষেত্রে তাওয়াক্বুল করাকে আকারে ইঙ্গিতে অবুঝ, বিবেচনাহীন, নির্বোধের আচরন বলি।
.
.
.
তাই তাওয়াক্বুল করার প্রকৃত অর্থ থিওরী দিয়ে বোঝানো খুব কঠিন। এজন্য প্র্যাকটিকাল উদাহরণ দেই। উদাহরণটা দিচ্ছি এমন সব মানুষদের জীবন থেকে যাদের চাইতে ভালো ভাবে আর কোন প্রজন্ম ইসলাম বোঝেনি পালন করে নি, আঁকড়েও ধরে নি।
.
.
.
মুসলিমরা তখন সবে মিসর জয় করেছে। কুফর ও শিরক ছেড়ে মাত্র ইসলাম গ্রহন করেছে মিসরের অধিবাসীরা। কিবতী (Copt) ক্যালেন্ডার অনুযায়ী চলছে বু’না মাস। মুসলিম বাহিনীর প্রধান ‘আমর ইবনুল আস রাদিয়াল্লাহু আনহু বিজয়ীর বেশে মিসরে প্রবেশ করেছেন। এমন সময় মিসরের লোকজন তাঁর রাদিয়াল্লাহু আনহু কাছে এসে বললো –
.
‘হে আমাদের আমীর ! আমাদের নীলনদের একটি প্রথা আছে, যা পালন না করলে তা প্রবাহিত হয় না। এ মাসের বারো তারিখ শেষ হলে আমরা একটি কুমারী মেয়েকে তার পিতা-মাতার সম্মতিক্রমে সর্বোত্তম পোষাক ও অলঙ্কারাদি পড়িয়ে নীলনদে ফেলে দেই।’
.
.
.
সচেতন পাঠকমাত্রই জানার কথা মিসর নীল নদের প্রবাহের ওপর কতোটা নির্ভরশীল। ঐতিহাসিকভাবে মিসরে অনাবৃষ্টির জায়গা। এখানকার বালুময় মাটি বালুময় ফসল উৎপাদনের জন্য অনুপযোগী না। নীলনদ হয়ে যে পানি ও পলি মাটি আসে তা থেকেই মিসরবাসীর প্রয়োজনীয় ফসলাদি উৎপন্ন হয়। তাই মিসরবাসীর এই প্রথা নিছক কোন উৎসব বা কালচারাল ব্যাপার ছিল না। বরং এক অর্থে এটা ছিল তাদের জীবন ও জীবিকার প্রশ্নের সাথে জড়িত। আমর ইবন আস রাদিয়াল্লাহু আনহু মিসরবাসীর কথা শোনার পর বললেন- ‘ইসলামে এটা চলবে না। পূর্বের সব কুসংস্কারকে ইসলাম নির্মূল করে দেয়।’
.
.
.
আমর ইবনুল আস রাদিয়াল্লাহু আনহুর কথা শুনে মিসরবাসী ফিরে গেল। বু’না মাস কেটে গেল। পানির দেখা নেই। বু’নার পর আসলো আবীব মাস। তবুও পানির কোন দেখা নেই। তারপর মাসরা মাসও কেটে গেল। নীলনদ প্রবাহিত হচ্ছে না। তিন মাস অপেক্ষার পর লোকজন মিসর ছেড়ে অন্য কোন জায়গায় চলে যাবার প্রস্তুতি নেয়া শুরু করলো। কুমারী বলি দেয়া হয়নি। নীলনদ প্রবাহিত হবে না। পানি পাওয়া যাবে না, তাই এখানে বসবাসও আর করা সম্ভব না। নিরুপায় হয়ে আমর ইবন আস রাদিয়াল্লাহু আনহু চিঠি লিখলেন খালীফার কাছে – উম্মাহ-র দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ ব্যাক্তি, আমীরুল মু’মীনীন আল-ফারুক, উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু কাছে।
.
.
.
উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু জবাব দিলেন – ‘(আমর) তুমি যা করেছো ঠিকই করেছো, আমি তোমার কাছে একটি চিরকুট পাঠাচ্ছি। এই চিরুকুটটি তুমি নীলনদে ফেলে দিও।’
.
.
.
কী ছিল এই চিরকুটে ? কেন আমীরুল মু’মিনীন একে নীলনদে ছুড়ে ফেলতে বলেছিলেন? আমর ইবনুল আস রাদিয়াল্লাহু আনহু খালীফার চিঠি ও নির্দেশ পাবার পর চিরকুটটি খুলে দেখেছিলেন। সেখানে লেখা ছিল –
.
‘আল্লাহর বান্দা আমীরুল মু’মিনীন উমরের পক্ষ থেকে মিসরের নীলনদের প্রতি – হামদ ও সালাতের পর, “(হে নীলনদ) তুমি যদি নিজ ক্ষমতায় প্রবাহিত হয়ে থাকো, তাহলে প্রবাহিত হয়ো না। আর যদি মহাপরাক্রমশালী এক ও অদ্বিতীয় আল্লাহ তোমাকে প্রবাহিত করে থাকেন, তাহলে তাঁরই কাছে আমরা প্রার্থনা করছি যেন তিনি তোমাকে প্রবাহিত করেন।”
.
.
.
আমর ইবনুল আস রাদিয়াল্লাহু আনহু আমীরুল মু’মীনীন উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু-র পাঠানো সেই চিরকুটটি নীলনদে নিঃক্ষেপ করলেন। পরদিন দেখা গেল আল্লাহ আযযা ওয়া জাল নীলনদকে এমনভাবে প্রবাহিত করে দিয়েছেন যে, এক রাতে ষোল হাত পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
.
.
.
[সুত্রঃ ইবনু কাসীর, আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, প্রথম খন্ড। বর্ণনার সনদ যইফ। ঐতিহাসিক বর্ণনা হিসেবে বা জাস্ট আলোচ্য পয়েন্ট বোঝার জন্য গ্রহণ করুন, মুহকাম হিসেবে না।]
.
.
.
আমাদের যুগে কেউ যদি এরকম কিছু করেন বা নিছক প্রস্তাবও করেন তাহলে একশ’তে নিরানব্বই জন হয়তো তাকে নিয়ে হাসাহাসি করবো। আমরা মুসলিমরাই করবো। কিন্তু এটি কি প্রকৃত তাওয়াক্বুলের, সৃষ্টি থেকে সম্পূর্ণভাবে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে কেবল স্রষ্টার ওপর নির্ভর করার একটি উদাহরণ না? যেই আল্লাহ আযযা ওয়া জাল নীলনদকে সেদিন প্রবাহিত করেছেন, তিনিই আজো নীলনদকে প্রবাহিত করেন। তিনি চিরন্তন, তিনি হাইয়্যুল কাইয়্যুম। যেই ইসলামের ছায়াতলে এসে উমার ইবন খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু এই চিরকুট লেখার মতো ইয়াকীন অর্জন করেছিলেন, সেই ইসলামও অপরিবর্তিত। তাহলে কোন জায়গায় সমস্যা? আমাদের খুব ভালো মতো, সময় নিয়ে, ভেবে দেখা উচিত কেন এরকম ভাবে তাওয়াক্বুল করা তো দূরে থাক এরকম করার চিন্তা করাই আমাদের জন্য দুঃসাধ্য।
.
.
.
তাওয়াক্বুলের এমন উদাহরণ আমাদের যুগে বিরল। আমাদের যুগে দুনিয়াকে উপেক্ষা করে একমাত্র আল্লাহ আযযা ওয়া জাল-এর উপর ভরসা করা এবং শত প্রতিকূলতার মাঝেও এর ওপর দৃঢ় থাকতে পারার মতো বান্দা খুজে পাওয়া অত্যন্ত কঠিন। কঠিন, কিন্তু অসম্ভব না। আমাদের মধ্য শতকরা ৯৯ জন খুব প্র্যাগম্যাটিক, প্র্যাক্টিকাল হয়ে গেলেও এখনো ও উম্মাহর মধ্যে এমন কিছু মানুষ খুজে পাওয়া যায় যারা অন্য ধাতুতে গড়া। যারা পারেন সমগ্র দুনিয়া, সমগ্র বাস্তবতা, সমগ্র র্যাশেন্যালিটি উপেক্ষা করে তাওয়াক্বুল করতে। এরকম এক বান্দার গল্প দিয়ে শেষ করছি।
.
.
.
মুসলিমদের প্রচন্ড দুরবস্থা চলছে। সম্ভবত ইতিহাসে এর চাইতে অন্ধকার কোন সময় উম্মাহকে অতিক্রম করেনি। কাফিররা সম্পূর্নভাবে শারীয়াহর শাসন উচ্ছেদ করেছে। দালালদের মাধ্যমে মুসলিম ভূখন্ডগুলোর ওপর তাদের নিয়ন্ত্রন পাকাপোক্ত করে নিয়েছে। আবারো হাতছাড়া হয়ে গেছে আল-আকসা, পবিত্র ভূমি বাইতিল-মাকদিস। চলছে ভয়ঙ্কর এক ক্রুসেড।
.
.
.
সবদিক দিয়ে হতোদ্যম হয়ে পড়েছে উম্মাহ । বুদ্ধিবৃত্তিক ও রাজনৈতিকভাবে কাফিরদের গোলামিকেই নিজেদের অদৃষ্ট হিসেবে মেনে নিয়েছে। কোনভাবেই কাফিরদের বিপুল অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তির মোকাবেলা করা সম্ভব না – এই ধারণা তাদের মনে জেঁকে বসেছে। মুসলিমরা সাফল্য খুজছে ইসলামের বদলে অন্য আদর্শ ও জীবনব্যবস্থার মাঝে।
.
.
.
এমন অবস্থায় হঠাৎ কিছু আশ্চর্য ঘটনা ঘটা শুরু করলো। কাফিরদের সব চাইতে শক্তিশালী রাজ্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে সারা পৃথিবীতে হইচই ফেলে দিলেন রাসূলুল্লাহ ﷺ এর পতাকাতলে অবস্থান নেয়া এক অশ্বারোহী । আল্লাহর নামে শপথ করলেন, যতোক্ষন না ক্রুসেডারদের কবল থেকে আল-আকসা মুক্ত হচ্ছে ততোক্ষণ তারা শান্তি ও নিরাপত্তায় দিন কাটাতে পারবে না। এটুকুতেই থেমে থাকলেন না। অকল্পনীয়কে সম্ভব করলেন। সমগ্র পৃথিবীর চোখের সামনে কাফিরদের সবচেয়ে বড় মূর্তিকে আক্রমন করলেন। আঘাত করে রক্তাক্ত ও অপমানিত করলেন। এক বিপন্ন বিস্ময়ে, অবিশ্বাসের কাছাকাছি এক অনুভুতি নিয়ে বিশ্ববাসী দেখলো, যাকে অজেয়, অপ্রতিরোধ্য মনে করা হত, সে আজ সন্ত্রস্থ, তার মুকুট ভূলুণ্ঠিত।
.
.
কাফিররা উন্মাদ হয়ে গেল তাঁকে হত্যা বা বন্দী করার জন্য। তিনি আশ্রয় নিলেন এক দরিদ্র, রুক্ষ, পশ্চাৎপদ, পার্বত্য অঞ্চলে, যেখানে এমন একজন শাসক ছিলেন যিনি হক্বের উপর দৃঢ়প্রতিষ্ঠ। সমগ্র বিশ্বের মধ্যে একমাত্র এই একটি জায়গা ছিল যেখানে শারীয়াহ প্রতিষ্ঠিত ছিল। ক্রুসেডার জোট তাদের সমগ্র শক্তি এক করে, বিপুল সামরিক এবং অর্থনৈতিক শক্তি নিয়ে উদ্যত হল এ ভূখন্ড আক্রমনে। আক্রমণের ঠিক আগ মূহুর্তে এই ভুখন্ডের শাসকের কাছে তারা একটা বার্তা পাঠালো। বার্তা না বলে হুমকি বলাই ভালো –
.
.
‘হয় তুমি এই ব্যক্তিকে আমাদের হাতে তুলে দেবে, অথবা আমরা তোমার এই দেশকে গুড়িয়ে দেবো। আমাদের ক্রোধ থেকে তুমি এবং তোমার জাতি রেহাই পাবে না।’
.
.
.
আল্লাহর বান্দা জবাব দিলেন – “আমি দুটো প্রতিশ্রুতি বিবেচনা করছি। একটি হল কাফিরদের প্রতিশ্রুতি, আরেকটি হল আল্লাহ তা’আলার প্রতিশ্রুতি। আল্লাহ আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে তাঁর এই যামীন বিস্তৃত। যে ব্যক্তি আল্লাহ-র উপর ভরসা করে তাঁর পথে চলবে, সে পৃথিবীর যেখানেই থাকুক, আল্লাহ তাঁকে রক্ষা করবেন। কাফিররা আমাকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে আমি পৃথিবীর যেখানেই থাকি না কেন তাদের হাত থেকে আমি রেহাই পাবো না। আমি দেখতে চাই কার প্রতিশ্রুতি সত্য।”
.
.
.
এই জবাবের পর তিনিও তাঁর বাহিনী নিয়ে কাফিরদের জোটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলেন। অসম এক যুদ্ধ। একদিকে সব চাইতে শক্তিশালী অর্থনীতি, সব চাইতে আধুনিক সামরিক বাহিনী, সর্বোত্তম টেকনোলজি আর কাটিং এজ সমরাস্ত্র। অন্যদিকে কিছু গরীব যোদ্ধা, যাদের সম্বল হল নামেমাত্র কিছু অস্ত্র আর আর তাওয়াক্বুল ‘আলা আল্লাহ – আল্লাহর ওপর ভরসা।
.
.
.
ফলাফল?
.
.
.
এই র্যাশনালিস্ট, প্র্যাগম্যাটিক, দুনিয়া খুব বেশি বুঝে ফেলা আমাদের কাছে যা অকল্পনীয় তাই ঘটে গেল। পরাজিত হল ক্রুসেডার জোট। শুধু তাই না ঘুরে গেল ইতিহাসের মোড়। শুরু হল দেবতার পতন। এক সময়ের ‘অজেয়’, ‘অপ্রতিরোধ্য’ সাম্রাজ্যের শেষের শুরু। কাফিররা আবারো অপমানিত হল। আল্লাহ-র প্রতিশ্রুতি সত্য প্রমানিত হল। আল্লাহ আযযা ওয়া জাল তাঁর উপর ভরাসাকারীকে সম্মানিত করলেন। তাঁকে হেফাযত করলেন কাফিরদের কাছ থেকে এবং তাঁকে ও তাঁর বাহিনীকে বিজয়ী করলেন। নিশ্চয় মানুষের মধ্যে এমন কেউ কেউ আছে যারা শপথ করলে, আল্লাহ সেই শপথে পূর্ণ করেন, আর যে আল্লাহর ওপর নির্ভর করে তিনি তাঁর জন্য যথেষ্ট।
.
.
.
মজার ব্যাপারটা হল, আমীরুল মু’মিনীন উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু-র পথ অনুসরনের মাধ্যমে উম্মাহ-র সামনে তাওয়াক্বুলের অপূর্ব দৃষ্টান্ত স্থাপন করা এই মানুষটার নামও ছিল উমার। আল্লাহ আযযা ওয়া জাল তাঁকে যেন রহমতের চাঁদর দিয়ে ঢেকে রাখেন তাঁকে জান্নাতে সুউচ্চ মাকাম দান করেন। আর যুগে যুগে নবীজির ﷺ পতাকাতলে জড়ো হওয়া অশ্বারোহীদের যেন তিনি হেফাযত করেন, সম্মানিত করেন, এবং সমগ্র পৃথিবীতে তাঁর বাহিনীকে বিজয় দান করেন। আমীন।
.
.
নিশ্চয় যে ব্যক্তি আল্লাহ-র উপর ভরসা করবে আল্লাহ-ই তার জন্য যথেস্ট। হাসবুনাল্লাহু ওয়া নি’মাল ওয়াক্বীল...
.
নিশ্চয় যে ব্যক্তি আল্লাহ-র উপর ভরসা করবে আল্লাহ-ই তার জন্য যথেস্ট। হাসবুনাল্লাহু ওয়া নি’মাল ওয়াক্বীল...
.
.
.
লিখেছেন ভাই আসিফ আদনান