আমরা এসব কি শিখাচ্ছি আমাদের বাচ্চাদের?
" বোরকা আবৃত কখনো ভূত হয় না"
এইতো কয়েকদিন আগের কথা, অর্ধাঙ্গ কে সাথে করে একটু বেড়িয়েছি।।
হেদায়াত পাওয়ার পর থেকে পর্দা মেইনটেইন করে চলার চেষ্টা করি (আলহামদুলিল্লাহ)।। তো সেই সুবাদে সেদিনও টপ টু বটম কালো বোরকায় আবৃত ছিলাম।।
আমি আর আমার অর্ধাঙ্গ রাস্তার পাশ ধরে হাঁটছিলাম, তো তখন সালোয়ার - কামিজ পরা এক তরুণী মা তার ৪ কি ৫ বসর বয়সী ছেলেকে ভয় দেখাচ্ছে!
"ওই দেখো ভূত!! যদি তুমি আবার বায়না করো,তাহলে কিন্তু ওই ভূতের কাছে তোমাকে দিয়ে আসবো!!
বাচ্চাটি আমার দিকে ভয়ার্ত ভাবে তাকিয়ে চুপ হয়ে গেলো। আমি নির্বাক চোখে তাকিয়ে তার কথা গুলো শুনতে শুনতে তাদের পাশ কাটিয়ে চলে গেলাম।
বাসায় ফেরার পরও সেই কথাগুলো আমার কানে বাজছিলো।।
অনেক ভাবলাম, ভাবতে ভাবতে অনেক প্রশ্নের সম্মুখীন ও হলাম, কিন্তু উত্তর এখনও অজানা।।
কিছুদিন আগে শুনলাম ফ্রান্সে হিজাব নিষিদ্ধ কারণ তাতে নাকি বাচ্চারা ভয় পায়।। তারা বিজাতীয়,তারা ইসলামের শত্রু তাদের কথা যতটা না কষ্ট দেয় তার থেকে বহু গুনে কষ্ট দেয়,যখন আমাদেরই তথাকথিত মুসলিম বোনেরা তাদের বাচ্চাদের কেই, আমাদের মত মজলুম পর্দাকারি বোনদেরকে দেখিয়ে ভূতের ভয় দেখায়।।
বাচ্চাদের মন একদম সাদা কাগজের মতন,তাদের সেই কাগজে যাই লিখা হবে সারাজীবন তারা তাই বহন করবে।।
যেমন; তুমি যদি এই কাজটা না করো,তাহলে আল্লাহ তোমার উপর অখুশি হবেন।
তুমি এভাবে চললে আল্লাহ্ এবং রাসূল সাঃ তোমার উপর খুশি হবেন।।
বাচ্চাদের সাথে আল্লাহর ভয় সম্পর্কে কোনো কথা বললে তারাও আল্লাহ্ সম্পর্কে জানতে আরো বেশি আগ্রহী হয়ে উঠবে।।
কিন্তু আমরাই যদি সন্তানকে বোরকা দেখিয়ে ভয় দেখাই তাতে কি পর্দা কে অপমান করা হয়না??পর্দা কি আসলেই ভয়নক কোনো বস্তু??
একটা ছোট্ট শিশুর মনে কি বোরকা বা পর্দা মানেই ভয়,এই চিন্তার উদগ্রীব হবে না??
বড় হয়ে যে সে পর্দার বিরুদ্ধে কথা বলবে না তার কি গ্যারান্টি আছে??
আসলে শেষ কথা এটাই বলতে চাই,আমার যেসব বোনদের ছোট্ট কোমলমতি শিশু আছে তাদের ভয় দেখাতে হলে অবশ্যই কৌশলে আল্লাহর ভয় দেখান।।
আর যদি তা সম্ভব না হয় অন্তত আসে পাশে কোনো পর্দা করা বোনকে দেখিয়ে ভূতের ভয় দেখবেন না।।
এতে করে যেমন আপনার সন্তানের মাঝে পর্দা সম্পর্কে একটা নেগেটিভ প্রভাব পড়বে পাশা পাশি যে বোনটিকে নিয়ে উপহাস করবেন সেও মনে মনে আঘাত পাবে।।