৯০ ভাগ মুসলিমের বাংলাদেশে মুসলিমরা কেমন আছে? কারা নির্যাতিত ও অবহেলার স্বীকার?

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, সেকুলারিজম ও ৯০ ভাগ মুসলিমের বাংলাদেশ

বর্তমান বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, সেকুলারিজম- এসবের মানে হল, আইন করে ধর্মীয় ড্রেসাপ নিষিদ্ধ করা যাবে। কেউ ভালবেসে দ্বীনি পোশাক পরিধান করে আসলে তাকে অপমান ও হেনস্থা করা হবে। এখানে কারো নূন্যতম জবাবদিহিতারও সম্মুখীন হওয়া লাগবে না।


৭১ এর চেতনা আর ধর্মনিরপেক্ষতার মানে হল, মুসলিমদের আকাঙ্ক্ষা থাকা সত্বেও কেউ ধর্মীয় ড্রেসাপের বিধান জারি করতে পারবে না। করলে তাকে মাফ চাইতে হবে, এমনকি পদও হারাতে হবে।

আগেও বলেছি, আবার বলছি। ৭১ এখন কেবল বাংলাদেশের ঐতিহাসিক যুদ্ধের নাম নয়। ৭১ কে এখন বাংলাদেশের ইসলাম বিরোধী শক্তির সাইনবোর্ড বানানো হয়েছে। যেই সাইনবোর্ডের আড়াল থেকে দীর্ঘদিন যাবৎ ইসলামের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা চালানো হচ্ছে। মুসলিমদেরকে তাদের দ্বীনি শি'আর ও আহকামের ব্যাপারে ভীত ও সংশয়গ্রস্থ করে তোলা হচ্ছে। এই সত্য এবং বাস্তবতা আমাদেরকে দ্রুত বুঝতে হবে। এবং চেতনা ব্যবসায়ীরা ৭১ কে ঘিরে যেই মূর্তি দাঁড় করিয়েছে, সেটাকে চ্যালেঞ্জ করতে হবে।

বাংলাদেশে ইতিপূর্বে অনেক প্রতিষ্ঠানেই হিজাব, দাঁড়ি, পাঞ্জাবি নোটিশ আকারে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এমনকি ধর্মীয় ড্রেসাপের জন্য অনেক মুসলিমকে অপমানও করা হয়েছে। তারা কিন্তু কোন প্রকার নোটিশ ও জবাবদিহিতার সম্মুখীন হয়নি। কিন্তু আজকে ডা. আব্দুর রহীম স্যার কেবল মুসলিমদের জন্য দ্বীনি পোশাকের নোটিশ জারি করায় তাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেতে হয়েছে। শেষ পর্যন্ত তাকে পরিচালকের পদ থেকেও বরখাস্ত করা হয়েছে। এর আগে এক গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষ (যেটা একান্তই ব্যক্তি মালিকানা প্রতিষ্ঠান) নামাজের জন্য বাধ্যবাধকতা আরোপ করলে তার বিরুদ্ধেও সরকারি নোটিশ এসে যায়। এবং রাতারাতি তাকে উক্ত সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হয়।

এটাই হল সেকুলারিজম। এখানে নিরপেক্ষতা বলতে কিছু নেই। নিরপেক্ষতা আর স্বাধীনতার আড়ালে সেকুলাররা অন্যের উপর নিজেদের বিশ্বাস ও সংস্কৃতিকে চাপিয়ে দেয়। আজকে ডা. আব্দর রহীম স্যারকে পদ থেকে বরখাস্ত করায় সেকুলাররা আর ৭১ এর চেতনা ব্যবসায়ীরা উল্লাস করছে। এই চিত্র থেকে তাদের সাথে আমাদের আদর্শিক দ্বন্দ্বটা বুঝতে হবে এবং অন্যান্য মুসলিমদের বুঝাতে হবে।

আব্দুর রহীম স্যারের পক্ষে মজবুত অবস্থান প্রদর্শন ও তাকে বরখাস্তের প্রতিবাদ জানানো সেই দ্বন্দ্বেরই বহিঃপ্রকাশ। হয়ত এতে সরকারি সিদ্ধান্তে পরিবর্তন আসবে না। কিন্তু আমরা এই চিত্রকে উপলক্ষ করে ইসলাম ও সেকুলারিজমের আদর্শিক দ্বন্দ্বের আলাপটাকে ব্যাপক করতে পারি। এবং সাধারণ মুসলিমদের সামনে বিষয়টাকে পরিষ্কার করতে পারি।
- Iftekhar Sifat


শত কোটি টাকা লোপাটের পরেও শুধাংশু বাবুর কিসুই হয়নি।
মুসলিমদেরকে নিজ ধর্মের অনুশাসনে নির্দেশ দিতেই ওসডি!
এই হলো আমাদের ইসলামিক দেশ, সংখ্যা গরিষ্ঠ মুসলিমদের দেশ! ভারতের চেয়েও চরম নির্যাতনের শিকার এই দেশের মুসলমানরা আজকে । অসাম্প্রদায়িকের শ্লোগান দিয়ে মুসলমানদের কে বাঁশ দেয়া হচ্ছে। অথর্ব মুসলমানদের মাথায় কি ঢুকে না এইসব?

Next Post Previous Post